অভিস্রবণ কাকে বলে: আজকে আমরা জানবো অভিস্রবণ কাকে বলে? এই প্রশ্নের উত্তর পেতে আমাদের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন। আশা করি আপনারা এই প্রশ্নের উত্তর ভালো ভাবে বুঝতে পারবেন।
অভিস্রবণ কাকে বলে?
কম ঘন স্থান থেকে কোনো দ্রাবকের অধিক ঘন স্থানের দিকে যাওয়ার প্রক্রিয়াকে অভিস্রবণ বলে।
অভিস্রবণের প্রকারভেদ
অভিস্রবণ দু’ প্রকার। যথা:
১. অন্তঅভিস্রবণ এবং
২. বহিঅভিস্রবণ।
১. অন্তঅভিস্রণ
দ্রাবক যখন কোষের বাইরে থেকে ভেতরে প্রবেশ করে তখন অন্তঅভিস্রবণ ঘটে। অন্তঅভিস্রবণের ফলে মাটি থেকে পানি মূলরোমে প্রবেশ করে; উদ্ভিদ মাটি থেকে পানি শোষণ করতে পারে। উদাহরণ – কিসমিস পানিতে ভিজিয়ে রাখলে ধীরে ধীরে ফুলে উঠে।
২. বহিঅভিস্রবণ
দ্রাবক যখন কোষের ভেতর থেকে বাইরে আসে তখন বহিঅভিস্রবণ ঘটে। টসটসে আঙ্গুর ঘন চিনির কিম্বা লবণের দ্রবণে ডুবিয়ে রাখলে কিছুটা চুপসে যায়। কারণ বহিঅভিস্রবণের ফলে আঙ্গুরের ভেতরের পানি বাইরের ঘন দ্রবণে চলে আসে।
অন্তঅভিস্রবণ এবং বহিঅভিস্রবণ প্রক্রিয়ায় সম্মিলিত কার্যক্রমের ফলে উদ্ভিদের কোষ থেকে কোষান্তরে পানির চলাচল ঘটে।
Also Read: বন্ধু কাকে বলে
অভিস্রবণ এর গুরুত্ব
- কাণ্ড ও পাতাকে সতেজ ও খাড়া রাখতে সাহায্য করে।
- প্রাণীর অন্ত্রে খাদ্য শোষিত হয় অভিস্রবণ প্রক্রিয়ায়।
- অভিস্রবণের মাধ্যমে জীবকোষের মধ্যে বিভিন্ন জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়াগুলো সচল থাকে।
- উদ্ভিদ এককোষী মূলরোম দিয়ে মাটি থেকে পানি এবং পানিতে দ্রবীভূত খনিজ লবণ শোষণ করে।
তো আজকে আমরা দেখলাম যে অভিস্রবণ কাকে বলে এবং আরো অনেক বিস্তারিত বিষয় । যদি পোস্ট ভালো লাগে তাহলে অব্যশয়, আমাদের বাকি পোস্ট গুলো ভিসিট করতে ভুলবেন না!