খাদ্য কাকে বলে: আজকে আমরা জানবো খাদ্য কাকে বলে? এই প্রশ্নের উত্তর পেতে আমাদের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন। আশা করি আপনারা এই প্রশ্নের উত্তর ভালো ভাবে বুঝতে পারবেন।
খাদ্য কাকে বলে?
যে সব আহার্য সামগ্রী গ্রহণ করলে জীবদেহের শক্তি উৎপাদন, ক্ষয়পূরন হয়, দেহ গঠনে এবং জীবনকে বজায় রাখে তাকেই খাদ্য বলে।
খাদ্য হলো, পুষ্টিগুণযুক্ত কোনও পদার্থ যা মানুষ বা প্রাণীরা খায় বা পান করে বা গাছপালা জীবন ও বৃদ্ধি বজায় রাখার জন্য শোষণ করে।
খাদ্যের কাজ
- আমাদের শরীর উষ্ণ রাখে এবং আমাদের শক্তি প্রদান করে
- আমাদের শরীরকে সুস্থ এবং আঘাতের মেরামত বা নিরাময়।
- আমাদের মস্তিষ্কের বৃদ্ধি এবং সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে।
- রোগ প্রতিরোধ বা প্রতিরোধ করতে আমাদের ইমিউন সিস্টেমকে সাহায্য করে
খাদ্যের উপাদান কি কি?
আমরা খাবার থেকে সব কিছু পাই, যা আমাদের শরীরের বৃদ্ধি ও বিকাশে সাহায্য করে এবং আমাদের সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। যদি একজনের খাদ্যে সমস্ত পুষ্টি পাওয়া যায় তবে তার বৃদ্ধি এবং বিকাশ সম্পূর্ণভাবে ঘটে। বিভিন্ন খাবার বিভিন্ন পুষ্টি প্রদান করে।
খাদ্যের পুষ্টি উপাদান রয়েছে ৬টি:
- ভিটামিন
- খনিজ লবণ
- শর্করা
- চর্বি
- পানি
- আমিষ
শর্করা: শর্করা হল আপনার শরীরের শক্তির প্রধান উৎস। মস্তিষ্ক, কিডনি, হৃদপিণ্ডের পেশী এবং কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রকে জ্বালানি দিতে সাহায্য করে। কিছু শর্করা জাতীয় খাবার হলো: গম, ভুট্টা, যব, আলু ইত্যাদি।
আমিষ: আমিষ জাতীয় খাবার আমাদের দেহের ক্ষয়পূরণ, বৃদ্ধি সাধন, রক্ত কণিকা গঠনে সহায়তা করে।
চর্বি (স্নেহ পদার্থ): চর্বি হল অপরিহার্য ফ্যাটি অ্যাসিডের উৎস, যা শরীর নিজেই তৈরি করতে পারে না। অল্প পরিমাণে চর্বি স্বাস্থ্যকর, সুষম খাদ্যের একটি অপরিহার্য অংশ। চর্বি শরীরকে ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি এবং ভিটামিন ই শোষণ করতে সাহায্য করে । এই ভিটামিনগুলি চর্বি-দ্রবণীয়, যার মানে এই ভিটামিনগুলি শুধুমাত্র চর্বিগুলির সাহায্যে শোষিত হতে পারে।
পানি: পানির অপর নাম জীবন। পানি খাদ্য হজমে ও শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।আমাদের শরীরের বেশিরভাগ পানি দিয়ে গঠিত এবং দেহের প্রতিটি কোষ ও অঙ্গ সঠিকভাবে কাজ করার জন্য পর্যাপ্ত পানি প্রয়োজন।
ভিটামিন: ভিটামিন রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং রোগ থেকে বাঁচতে, খাদ্য হজমে, এবং সুস্থ থাকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ১৩ টি প্রয়োজনীয় ভিটামিন রয়েছে — ভিটামিন A, C, D, E, K এবং B ভিটামিন (থায়ামিন, রিবোফ্লাভিন, নিয়াসিন, প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড, বায়োটিন, B6 , B12 এবং ফোলেট)। শরীরকে সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করার জন্য ভিটামিনের বিভিন্ন কাজ রয়েছে।
খনিজ লবণ : খনিজ লবণ জীবের জন্য অপরিহার্য। জলীয় ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করে, অ্যাসিড-ক্ষার ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করে, শক্তিশালী হাড় ও দাঁত তৈরি করে ইত্যাদি।
Also Read: সমকোণী ত্রিভুজ কাকে বলে
খাদ্যের প্রয়োজনীয়তা কী?
খাদ্যের প্রয়োজন এক কথায় শেষ করা যায় না। আমরা খাদ্যের কারণে বেঁচে থাকি। ক্ষুধা লাগলেই খাদ্যের প্রয়োজন হয়।
এই খাদ্য আমাদের দেহে তাপ ও শক্তি যোগায়। কঠিন ও তরল যাবতীয় খাদ্যবস্তু গ্রহণ করে দেহ তার নানাবিধ প্রয়োজন মিটায়, খাদ্য গ্রহণের পর হজম প্রক্রিয়ার খাদ্য তরল পদার্থে পরিণত হয়।
তারপর তরল পদার্থ নানান প্রক্রিয়ায় দেহের রক্ত তরলে প্রবাহিত হয় বিশেষণের জন্য। পুষ্টি প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই খাদ্য দেহের বিভিন্ন কাজ করে পুষ্টি সাধন করে। অতএব খাদ্য গ্রহণ আমাদের দেহের সুস্থতা, সক্ষমতা ও জীবনধারণের জন্য অপরিহার্য।
খাদ্যের উপাদান
খাদ্যের উপাদান ছয়টি যথা:- শর্করা, আমিষ, স্নেহ, পানি ভিটামিন এবং খনিজ লবণ।
খাদ্য কাকে বলে কত প্রকার ও কি কি?
পুষ্টি উপাদানের ভিত্তিতে খাদ্য ৬ ধরনের। যথাঃ ১) শর্করা (ভাত, ভুট্টা, আলু), ২) আমিষ (মাছ, মাংস), ৩) চর্বি (ঘি, বাদাম), ৪) ভিটামিন (লেবু, পেয়ারা, ডিমের কুসুম) ৫) খনিজ লবণ (মলা মাছ, খাবার লবণ, কচু শাক) এবং ৬) জল/পানি।
তো আজকে আমরা দেখলাম যে খাদ্য কাকে বলে এবং আরো অনেক বিস্তারিত বিষয় । যদি পোস্ট ভালো লাগে তাহলে অব্যশয়, আমাদের বাকি পোস্ট গুলো ভিসিট করতে ভুলবেন না!