টিস্যু কাকে বলে: আজকে আমরা জানবো টিস্যু কাকে বলে? এই প্রশ্নের উত্তর পেতে আমাদের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন। আশা করি আপনারা এই প্রশ্নের উত্তর ভালো ভাবে বুঝতে পারবেন।

টিস্যু কাকে বলে?
একই গঠনবিশিষ্ট একগুচ্ছ কোষ একত্রিত হয়ে যদি একই কাজ করে এবং তাদের উৎপত্তিও যদি অভিন্ন হয় তখন তাদের টিস্যু বা কলা বলে।
টিস্যু কত প্রকার কি কি?
টিস্যু দুই ধরনের যথা :
- ভাজক টিস্যু
- স্থায়ী টিস্যু
ভাজক টিস্যু বিভাজনে সক্ষম কিন্তু স্থায়ী টিস্যু বিভাজিত হতে পারে না।
ভাজক টিস্যু
যে সব টিস্যুর কোষ বিভাজন ক্ষমতা রয়েছে সেগুলােকে ভাজক টিস্যু বলে। উদ্ভিদের বর্ধিষ্ণু অঞ্চলে (যেমন – কচি পাতায়,কান্ড ও মূলের শীর্ষে ), পুষ্প, কান্ডমুকুল, পর্বমধ্য ও কান্ডের পরিধিতেও ভাজক টিস্যু থাকে। ভাজক কোষ দিয়ে ভাজক টিস্যু গঠিত হয়৷
এই টিস্যুর কোষগুলো বার বার বিভক্ত হয়, ফলে উদ্ভিদের বৃদ্ধি ঘটে। ভাজক টিস্যু হতেই অন্যান্য স্থায়ী টিস্যু সৃষ্টি হয়৷
Also Read: শক্তি কাকে বলে
উৎপত্তি অনুসারে ৩ প্রকার
- প্রারম্ভিক
- প্রাইমারি
- সেকেন্ডারি
অবস্থান অনুসারে ৩ প্রকার
- শীর্ষস্থ
- স্থায়ী টিস্যু মধ্যস্থ
- পার্শ্বীয়
বিভাজন অনুসারে ৩ প্রকার
- মাস
- প্লেট
- রিব
কাজ অনুসারে ৩ প্রকার
- প্রোটোডার্ম
- প্রোক্যাম্বিয়াম
- গ্রাউন্ড মোরিস্টেম
স্থায়ী টিস্যু
যে টিস্যুর কোষগুলি বিভাজনে অক্ষম এবং আকার, আকৃতি ও বিকাশে স্থায়িত্ব লাভ করেছে তাকে স্থায়ী টিস্যু বলা হয়। ভাজক টিস্যুর কোষ বিভাজনের ফলে স্থায়ী টিস্যু তৈরী হয়। বিশেষ অবস্থা ছাড়া এই সব স্থায়ী টিস্যু আর বিভাজিত হতে পারেনা।
স্থায়ী টিস্যু তিন প্রকার, যথা :
- সরল টিস্যু
- জটিল টিস্যু
- নিঃস্রাবী টিস্যু (ক্ষরণকারী)
টিস্যু (সাধারণ জ্ঞান)
- আকৃতি অবস্থান ও কাজের প্রকৃতিভেদে আবরনী টিস্যু– ৩ ধরনের।
- জীবকোষে প্রোটিন সংশ্লেষিত হয়– রাইবোজোমে।
- আদিকোষ– ব্যাকটেরিয়া।
- কোষের প্রাণশক্তি বলা হয়– মাইটোকন্ড্রিয়াকে।
- প্লাস্টিড থাকে– সাইটোপ্লাজমে।
- সবুজ টমেটো পাকার পর লাল হয়– ক্লোরোফিল তৈরি বন্ধ হওয়ার কারণে।
- সবুজ ফল পাকলে রঙিন হয়– জ্যান্থোফিলের উপস্থিতির কারণে।
- একটি পূর্নাঙ্গ স্নায়ুকোষকে বলা হয়– নিউরন।
- প্রাণী দেহের দীর্ঘতম কোষ– নিউরন।
- কোষের মস্তিষ্ক বলা হয়– নিউক্লিয়াসকে।
- একাধিক নিউক্লিয়াস থাকে– পেশি কোষে।
- সকল সজীব কোষে থাকে– সাইটোপ্লাজম।
- মাইটোকন্ড্রিয়া অনুপস্থিত– ব্যাকটেরিয়ায়।
- একাধিক কোষ বিভিন্ন কাজের জন্য মিলিতভাবে তৈরি করে– কলা।
- দেহকোষ নয়– শুক্রাণু।
- স্থায়ী টিস্যুর বৈশিষ্ট্য– কোষগুলো বিভাজনে অক্ষম।
- উদ্ভিদের বৃদ্ধি সবচেয়ে বেশি হয়– মূল ও কাণ্ডের অগ্রভাগে।
- মাইটোকন্ড্রিয়ায় প্রোটিন শতকরা– ৭৩%।
- ক্যান্সার রোগের কারণ– কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি।
- ব্যাকটেরিয়াতে কোষ বিভাজন হয়– অ্যামাইটোসিস ধরনের।
- লিপিড, প্রোটিন ও পলিমার দিয়ে তৈরি কোষ প্রাচীর– ব্যাকটেরিয়ার।
- পুষ্প রঙিন ও সুন্দর হয়– ক্রোমোপ্লাস্ট এর জন্য।
- উদ্ভিদ মাটি থেকে পানি ও খনিজ লবণ পরিবহন করে– জাইলেম কলার মাধ্যমে।
- মানুষের শরীরে কোনো স্থানে ক্যান্সার হলে সেখানে– দ্রুত কোষের সংখ্যা বেড়ে যায়।
- ব্যাকটেরিয়া– ১টি কোষ দ্বারা গঠিত।
- প্লাস্টিডবিহীন উদ্ভিদ– Agaricus।
- প্রোটিন ফ্যাক্টরি বলা হয়– রাইবোজোমকে।
- মাইটোকন্ড্রিয়া হলো– শ্বসন অঙ্গাণু।
Also Read: নদী কাকে বলে
তো আজকে আমরা দেখলাম যে টিস্যু কাকে বলে এবং আরো অনেক বিস্তারিত বিষয় । যদি পোস্ট ভালো লাগে তাহলে অব্যশয়, আমাদের বাকি পোস্ট গুলো ভিসিট করতে ভুলবেন না!