পোলার যৌগ কাকে বলে? বিস্তারিত…

পোলার যৌগ কাকে বলে: আজকে আমরা জানবো পোলার যৌগ কাকে বলে? এই প্রশ্নের উত্তর পেতে আমাদের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন। আশা করি আপনারা এই প্রশ্নের উত্তর ভালো ভাবে বুঝতে পারবেন।

পোলার যৌগ কাকে বলে
পোলার যৌগ কাকে বলে

পোলার যৌগ কাকে বলে?

যে সকল যৌগ জলীয় দ্রবণে দ্রবীভূত অবস্থায় ধনাত্মক (+) ও ঋণাত্মক (-) প্রান্ত সৃষ্টি করতে পারে তাদের পোলার যৌগ বলে। যেমন, হাইড্রোজেন ক্লোরাইড (HCl)।

H₂O একটি পোলার যৌগ- ব্যাখ্যা করো?

সমযোজী বন্ধনে অংশগ্রহণকারী অধাতব মৌলের পরমাণু দুটির তড়িৎ ঋণাত্মকতার পার্থক্য 0.5 অপেক্ষা বেশি কিন্তু 1.7 অপেক্ষা কম হলে সংশ্লিষ্ট অণুকে পােলার অণু বলা হয়।

H₂O যৌগের ক্ষেত্রে H ও O এর তড়িৎ ঋণাত্মকতা যথাক্রমে 2.1 ও 3.5 এ দুটি পরমাণুর মধ্যে তড়িৎ ঋণাত্মকতার পার্থক্য 3.5 – 2.1 = 1.4। তাই H₂O একটি পোলার যৌগ।

Also Read: এসাইনমেন্ট কাকে বলে

পোলার যৌগ তৈরী হয় কিভাবে?

পোলার যৌগ তৈরী হয় কিভাবে: পোলার যৌগ তৈরি হওয়ার নিয়ম আপনারা যারা জানতে চেয়েছেন তারা আমাদের নিম্নে বিস্তারিত তথ্য থেকে জানতে পারবেন।

রসায়ন বিষয়টি অধ্যায়ন করার ফলে আমরা সকলেই জানি যে, পরমাণু হিসেব বিবেচিত এবং সমযোজী যৌগ গুলো ইলেকট্রন ভাগ করে ব্যবহার করে থাকে। যেহেতু আয়নিক যৌগের ইলেকট্রনের আদান-প্রদান হয়ে থাকে সেহেতু সেখানে পরমাণুর তাদের কাছাকাছি অবস্থান করে থাকে এবং নিষ্ক্রিয় গ্যাসের গঠন অর্জন করে একটি নির্দিষ্ট অবস্থানে চলে যায়।

কিন্তু তখন সেখানে পোলার তৈরি হবার মতো কোনও নির্দিষ্ট অবস্থার বা অবকাশ থাকে না।

তবে অবশিষ্ট সমযোজী যৌগ রয়ে যাবে আর সেখানে ইলেকট্রন দুটি পরমাণু ব্যবহার করে অর্থাৎ ঐ পরমাণুর ইলেকট্রন এর ভারসাম্য ঠিক না হয়ে ঋণাত্মকতার মাত্রা বেড়ে যায় অর্থাৎ পোলার তৈরি হয়ে যায়।

যদি দুটি পরমাণুর তড়িৎ ঋণাত্মকতার পার্থক্য ০.৫ হয় অথবা এর চেয়ে বেশি হয় এবং যদি কোন যৌগ গঠন করে তখন সে যৌগের মধ্যে পোল তৈরি হয়। তবে যে পরমাণুর তড়িৎ ঋণাত্মকতা বেশি থাকে সে ইলেকট্রন ধরে রাখে।

আর এজন্য পরমাণুর তড়িৎ ঋণাত্মকতা বৃদ্ধি পায় এবং এক দিকে যেমন তড়িৎ ঋণাত্মকতা ইলেকট্রনের আধানের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় অন্যদিকে ঠিক তেমনই অবস্থার সৃষ্টি করে। অর্থাৎ/ 4 আধান ঘাটতি দেখা দেয় আর এজন্য সমপরিমাণ উদ্ভব হয়ে থাকে এবং সেখানে সৃষ্টি করে। আর এ ধরনের যৌগ পোলার যৌগ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়।

উদাহরণস্বরূপঃ নন পোলার যৌগঃ H-H, O-O, N-N, Cl-Cl, F-F, C-H ইত্যাদি। এবং সালফার ডাই অক্সাইড, হাইড্রোক্সাইড(পানি) ইত্যাদি।

তো আজকে আমরা দেখলাম যে পোলার যৌগ কাকে বলে এবং আরো অনেক বিস্তারিত বিষয় । যদি পোস্ট ভালো লাগে তাহলে অব্যশয়, আমাদের বাকি পোস্ট গুলো ভিসিট করতে ভুলবেন না!

Leave a Comment