সংগঠন কাকে বলে: আজকে আমরা জানবো সংগঠন কাকে বলে? এই প্রশ্নের উত্তর পেতে আমাদের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন। আশা করি আপনারা এই প্রশ্নের উত্তর ভালো ভাবে বুঝতে পারবেন।
সংগঠন কাকে বলে?
একটি সাধারণ লক্ষ্য অর্জনের জন্য যখন একাধিক ব্যক্তি সমবেত হয় এবং ধারাবাহিকভাবে সেই লক্ষ্য অর্জনের কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত থাকে তাকে সংগঠন বলে।
OR: সাধারণত সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনের প্রতিষ্ঠানে প্রাপ্ত উপকরণাদির সুশৃংখল সমন্বয় বিধানের প্রক্রিয়াকে সংগঠন বলে।
OR: লক্ষ্য অর্জনের জন্য যখন কিছু ব্যক্তি একত্রিত হয় এবং ধারাবাহিকভাবে সেই লক্ষ্য অর্জনের জন্য বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত থাকে তাকে সংগঠন বলে।
ব্যাপক অর্থে বলতে গেলে “ব্যবসায় কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জন ও পরিকল্পনা কার্যকর বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় কার্যাদি বিভিন্ন ভাগে বিভক্তিকরণ, উৎপাদন উপকরণের সমন্বয়, দায়িত্ব ও কর্তব্য বন্টন এবং এগুলোর মধ্যে সহযোগিতা ও সুসম্পর্ক নির্ধারণের পদ্ধতি কে ব্যবস্থাপনায় সংগঠন বলা হয়”
উৎপাদনের উপাদান চারটি ( ভূমি, শ্রম, মূলধন, সংগঠন) মধ্যে অন্যতম উপাদান হলো সংগঠন এক্ষেত্রে সংগঠন ব্যবস্থাপনার একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। ব্যবস্থাপনা বিকৃত প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জন কোনোভাবেই সম্ভব নয়।
যতই বলা যায় – “পূর্ব নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জনে প্রতিষ্ঠান কার্যাদি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য যে প্রক্রিয়ায় উৎপাদন উপকরণের সমন্বয় ও কর্মীদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্কের নিশ্চয়তা বিধান করা হয় তাকে সংগঠন বলে।
ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞদের মতে সংগঠনের সংজ্ঞা
R. W. Griffin সংগঠনের সংজ্ঞায় বলেন
“Organizing is deciding how best to group organizational activities and resources.”
অর্থাৎ, সাংগঠনিক কার্যক্রম ও সম্পদসমূহকে কিভাবে সর্বোত্তম উপায়ে বিভক্তিকরণ করা যায় তার সিদ্ধান্ত গ্রহণকে সংগঠিতকরণ বলে।
Prof. J. L. Massie এর মতে সংগঠন
“Organization is the structure and process by which a co-operative group of human being allocates its tasks among its members, identifies relationships and integrates its activities towards common objectives.”
অর্থাৎ, সংগঠন হলাে এমন একটি কাঠামাে ও পদ্ধতি যা দ্বারা কতিপয় সহযােগী মানুষের মধ্যে দায়িত্ব বণ্টন করে পারস্পরিক সম্পর্ক গড়ে তােলে এবং কতিপয় সাধারণ উদ্দেশ্যে তাদের কার্যক্রমকে একই সূত্রে গ্রথিত করে।
Also Read: সংগঠন কাকে বলে
Also Read: কর্মদক্ষতা কাকে বলে
Prof. L. A Allen এর মতে সংগঠন
“Organization is the process of identifying and grouping the work to be performed, defining and delegating responsibility and authority and establishing relationships for the purpose of enabling people to work most effectively together in accomplishing objectives.”
অর্থাৎ, সংগঠন হচ্ছে একটি প্রক্রিয়া যা পালনীয় কার্যের চিহ্নিতকরণ ও বিভক্তিকরণ, কর্তৃত্ব ও দায়িত্বের সুনির্দিষ্ট করণ ও হস্তান্তর এবং উদ্দেশ্য অর্জনের নিমিত্তে জনগণের মধ্যে সর্বাধিক কার্যকর সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করে।
অধ্যাপক ম্যাকফারল্যান্ড এর ভাষায় সংগঠন
“Management organization is best defined as the structure or network of relationships among individuals and positions in a work setting and the processes by which the structure is created, maintained and used.”
অর্থাৎ, ব্যবস্থাপনা সংগঠন হলাে কতিপয় কর্মরত ব্যক্তি ও পদের কাঠামাে বা তাদের পারস্পরিক সম্পর্কের একটি নেটওয়ার্ক এবং একটি প্রক্রিয়া যা দ্বারা কাঠামােটি সৃষ্ট, সংরক্ষিত এবং ব্যবহৃত হয়।
Prof. Haney A, এর মতে সংগঠন
“Organization is a harmonious adjustment of specialized parts for the accomplishment of some common purpose or purposes.”
অর্থাৎ, কতিপয় সাধারণ উদ্দেশ্য সাধনের নিমিত্তে বিশিষ্ট অংশগুলাের সুসামঞ্জস্যপূর্ণ সমন্বয় বিধানকে সংগঠন বলে।
Terry and Franklin এর ভাষায় সংগঠন
“Organizing is the establishing of effective behavioral relationships among persons so that they may work together efficiently and gain personal
satisfaction in doing selected tasks under given environmental conditions for the purpose of achieving some goal or objective.”
অর্থাৎ, সংগঠন হলাে কতিপয় ব্যক্তির মধ্যে কার্যকর আচরণগত সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করা, যাতে তারা দক্ষতার সাথে কতিপয় লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য অর্জনে পারিপার্শ্বিক অবস্থার প্রেক্ষিতে সম্ভষ্টি সহকারে একত্রে কাজ করতে পারে।
তো আজকে আমরা দেখলাম যে সংগঠন কাকে বলে এবং আরো অনেক বিস্তারিত বিষয় । যদি পোস্ট ভালো লাগে তাহলে অব্যশয়, আমাদের বাকি পোস্ট গুলো ভিসিট করতে ভুলবেন না!