কবিতা কাকে বলে: আজকে আমরা জানবো কবিতা কাকে বলে? এই প্রশ্নের উত্তর পেতে আমাদের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন। আশা করি আপনারা এই প্রশ্নের উত্তর ভালো ভাবে বুঝতে পারবেন।
কবিতা কাকে বলে?
পদ্যে, যা লিখিত হয় তাকেই আমরা ‘কবিতা’ বলে থাকি।
OR: ছন্দোবদ্ধ ভাষায় যে সকল পদ্য লেখা হয় তাকে কবিতা বলে।
OR: মানব মনের কল্পনা-ভাবনা যখন অনুভূতি রঞ্জিত যথাবিহীত শব্দসম্ভারে বাস্তব সুষমামন্ডিত চিত্রাত্মক ও ছন্দোময় রূপ লাভ করাকেই কবিতা বলে।
কবিতার প্রধান দুটি রূপভেদ হলো- মহাকাব্য ও গীতিকবিতা।
বাংলা ভাষায় মহাকাব্যের চূড়ান্ত সফল রূপ প্রকাশ করেছেন মাইকেল মধুসূদন দত্ত তাঁর ‘মেঘনাদ-বধ’ কাব্যে। মহাকাব্য রচিত হয় যুদ্ধবিগ্রহের কোনো কাহিনী অবলম্বন করে। ভারতবর্ষ উপমহাদেশের সর্বপ্রাচীন দুটি কাহিনীর একটি হলো ‘রামায়ণ’ আর অন্যটি ‘মহাভারত’।
Also Read: জড়তার ভ্রামক কাকে বলে
বাংলা কবিতায় বিশেষ দুটি ধারার জনক কাজী নজরুল ইসলাম ও জসীম উদ্দীন। প্রথম জন আমাদের সাহিত্যে ‘বিদ্রোহী কবি’ ও দ্বিতীয় জন ‘পল্লি-কবি’ হিসেবে স্থায়ী আসন লাভ করেছেন। নজরুলের কবিতায় যে উদ্দীপ্ত কণ্ঠস্বর ও দৃপ্ত ভাবের দেখা মেলে তা পূর্বে বাংলা কাব্যে ছিল না। জসীম উদ্দীনের ‘সেজনবাদিয়ার ঘাট’ ও ‘নকশীকাঁথার মাঠ’ জাতীয় কোনো কাব্য পূর্বে কেউ রচনা করন নি এবং এক্ষেত্রে তাঁর অনুসারীও কেউ নেই।
কবিতায় ছন্দ কত প্রকার ও কি কি?
এটি মূলত তিন প্রকার। যথাঃ
- স্বরবৃত্ত ছন্দ।
- মাত্রাবৃত্ত ছন্দ।
- অক্ষরবৃত্ত ছন্দ।
তো আজকে আমরা দেখলাম যে কবিতা কাকে বলে এবং আরো অনেক বিস্তারিত বিষয় । যদি পোস্ট ভালো লাগে তাহলে অব্যশয়, আমাদের বাকি পোস্ট গুলো ভিসিট করতে ভুলবেন না!