কোয়ান্টাম সংখ্যা কাকে বলে? | Quantum Sunkha Kake Bole? | কোয়ান্টাম সংখ্যা কি? | কোয়ান্টাম সংখ্যা কত প্রকার?

কোয়ান্টাম সংখ্যা কাকে বলে: আজকে আমরা জানবো কোয়ান্টাম সংখ্যা কাকে বলে? এই প্রশ্ন সহ আরো প্রশ্নের উত্তর পেতে আমাদের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন। আশা করি আপনারা এই প্রশ্নের উত্তর ভালো ভাবে বুঝতে পারবেন।

কোয়ান্টাম সংখ্যা কাকে বলে

কোয়ান্টাম সংখ্যা কাকে বলে?

যে সকল রাশি বা সংখ্যা দ্বারা পরমাণুতে ইলেকট্রনের কক্ষপথ বা শক্তি স্তরের আকার ও আকৃতি, ত্রিমাত্রিক বিন্যাস এবং ইলেকট্রনের কক্ষপথের অক্ষ বরাবর স্পিন বা আবর্তন গতি সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায় তাকে কোয়ান্টাম সংখ্যা বলে।

কোয়ান্টাম সংখ্যা কি?

কোয়ান্টাম বলবিদ্যা অনুসারে পরমাণুর ইলেকট্রনের কক্ষপথ বা শক্তিস্তরের আকার, কক্ষপথের আকৃতি ও কক্ষ পথের ত্রিমাত্রিক দিক বিন্যাস নির্দেশক পরস্পর বরাবর ঘূর্ণন প্রকাশক চারটি রাশি আছে। এ চারটি রাশিকে কোয়ান্টাম সংখ্যা বলে ।

কোয়ান্টাম বলবিদ্যা অনুসারে পরমাণুর ইলেকট্রনের কক্ষপথ বা শক্তিস্তরের আকার (size), কক্ষপথের আকৃতি (shape) ও কক্ষপথের ত্রিমাত্রিক দিক বিন্যাস (orientation) নির্দেশক পরস্পর সম্পর্কযুক্ত তিনটি রাশি রয়েছে।

এছাড়া পারমাণবিক বর্ণালির সূক্ষ্ম গঠন বিশ্লেষণের জন্য ইলেকট্রনের অক্ষ বরাবর ঘূর্ণন (spin) প্রকাশক চতুর্থ রাশি আছে। এ চারটি রাশিকে কোয়ান্টাম সংখ্যা বলা হয়। এ চারটি কোয়ান্টাম সংখ্যার নির্দিষ্ট মান দ্বারা একটি পরমাণুতে প্রতিটি আবর্তনশীল ইলেকট্রনের শক্তি ও অবস্থানের সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ বর্ণনা দেয়া যায়।

Also Read: সমাজবিজ্ঞান কাকে বলে?

কোয়ান্টাম সংখ্যা কত প্রকার?

তোমাদের হাত পা ৪ টি 🙄, তাই কোয়ান্টাম সংখ্যা ৪ প্রকার, এই ভাবে তোমাদের ইনশাল্লাহ মনে থাকবে।

কোয়ান্টাম সংখ্যা প্রধানত চারটি:

  1. প্রধান কোয়ান্টাম সংখ্যা (Principal quantum number)
  2. সহকারী কোয়ান্টাম সংখ্যা (Subsidiary quantum number)
  3. ম্যাগনেটিক কোয়ান্টাম সংখ্যা (Magnetic quantum number)
  4. স্পিন কোয়ান্টাম সংখ্যা (Spin quantum number)

১.প্রধান কোয়ান্টাম সংখ্যা

প্রধান কোয়ান্টাম সংখ্যা

যে কোয়ান্টাম সংখ্যার সাহায্যে পরমাণুতে অবস্থিত ইলেকট্রনের শক্তিস্তরের আকার নির্নয় করা যায় তাকে প্রধাণ কোয়ান্টাম সংখ্যা বলে।

১৯১৩ সালে বিজ্ঞানী নীল’স বোর পরমাণু গঠন সম্পর্কিত যে মতবাদ দেন তা অনুসারে পরমানুর ইলেকট্রনসমূহ কতগুলো নির্দিষ্ট শক্তিস্তরে নিউক্লিয়াসকে কেন্দ্র করে ঘুরছে।

এগলোকে যথাক্রমে K,L,M,N,O,P….দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। এই শক্তিস্তরগুলোর প্রধান কোয়ান্টাম সংখ্যার মান K=1,L=2,M=3,N=4 এইভাবে উর্ধ্বক্রমে প্রকাশ করা হয়।

প্রধান কোয়ান্টাম সংখ্যাকে ‘n’দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। অর্থাৎ কোন ইলেকট্রেনের প্রধান কোয়ান্টাম সংখ্যা n=4 হলে ইলেকট্রনটি N শেল বা শক্তিস্তরে অবস্থিত।

উপরের প্যারাটুকু এই ভাবে লেখতে পারো: প্রধান কোয়ান্টাম সংখ্যাকে n দ্বারা প্রকাশ করা হয়। যেমনঃ- n=1,2,3,4,5 ইত্যাদি ।

২.সহকারি কোয়ান্টাম সংখ্যা

সহকারি কোয়ান্টাম সংখ্যা

যে কোয়ান্টাম সংখ্যার সাহায্যে শক্তিস্তরের আকৃতি নির্নয় করা যায় তাকে সহকারী কোয়ান্টাম সংখ্যা বলে।

একে l দ্বারা প্রকাশ করা হয়। l = 0 ~ (n-1). সহকারী কোয়ান্টাম সংখ্যা প্রধান কোয়ান্টাম সংখ্যার উপর নির্ভরশীল।

সহকারী কোয়ান্টাম সংখ্যাকে ইংরেজিতে Angular Momentum Quantum Number বলে। যা মূলত অরবিটালের আকৃতি সম্পর্কে ধারনা প্রদান করে।

এছাড়াও সহকারী কোয়ান্টাম সংখ্যা-

  • অ্যাজিমুথ্যাল কোয়ান্টাম সংখ্যা (Azimuthal Quantum Number),
  • সেকেন্ডারি কোয়ান্টাম সংখ্যা (Secondary Quantam Number),
  • সাবসিডিয়ারি কোয়ান্টাম সংখ্যা (Subsidiary Quantum Number)

হিসেবেও পরিচিত।

৩.ম্যাগনেটিক কোয়ান্টাম সংখ্যা

ম্যাগনেটিক কোয়ান্টাম সংখ্যা

যে সকল সংখ্যার সাহায্যে ইলেকট্রনের কক্ষপথের ত্রিমাতৃক দিক বিন্যাস প্রকরন সমূহ প্রকাশ করা হয় তাকে ম্যাগনেটিক কোয়ান্টাম সংখ্যা বলে। একে m দ্বারা প্রকাশ করা হয় । m = 0 ~ l

আরো ব্যাখ্যা: ইলেকট্রন সমূহ নেগেটিভ ও নিউক্লিয়াস পজিটিভ চার্জযুক্ত হওয়ায় পরমাণুর অভ্যন্তরে চৌম্বক ক্ষেত্রের সৃষ্টি হয় এবং ইলেকট্রন কক্ষ পথের ত্রিমাত্রিক দিক বিন্যাস ঘটে। এই বিন্যাসগুলোকে প্রকাশ করার জন্য ম্যাগনেটিক কোয়ান্টাম সংখ্যা ‘m’ ব্যবহার করা হয়।

‘m’ এর মান 0 সহ (+) l পর্যন্ত। ‘m’-এর একাধিক মান থাকতে পারে। ‘m’ এর মান হতে উপস্তরের অরবিটাল সংখ্যা জানা যায়। যেমন- m=-1,0,1 হলে অরবিটাল হবে ৩ টি। মূলত এই -1,0,1 ত্রিমাতৃক স্থানে p এর সম্ভাব্য স্থান নির্দেশ করে। এই ক্ষেত্রে -1,0,1 মান x,y,z অক্ষে অরবিটালের সম্ভাব্য স্থান px, py এবং pz-কে নির্দেশ করছে।

৪.স্পিন কোয়ান্টাম সংখ্যা

স্পিন কোয়ান্টাম সংখ্যা

নিজস্ব অক্ষের চারদিকে ইলেকট্রনের ঘুর্ননের দিক প্রকাশক সংখ্যা সমূহকে স্পিন কোয়ান্টাম সংখ্যা বলে।

আরো ব্যাখ্যা : প্রতিটি অরবিটালে সর্বোচ্চ দুই এর গুনিতক করে ইলেকট্রন থাকতে পারে, বা ইলেকট্রন সমূহ জোড়ায় থাকে। যেমন d অরবিটালে ৬ টি বা ৩ জোড়া ইলেকট্রন থাকে। যাদের প্রতি জোড়ার প্রথমটির স্পিন ক্লকওয়াইজ (+) হলে অপরটির স্পিন অ্যান্টি ক্লকওয়াইজ (-) হবে।

এদের প্রথমটিকে এবং অপরটিকে -½ দ্বারা প্রকাশ করা হয়। তবে সর্বোচ্চ সংখ্যক ইলেকট্রন না থাকলে হুন্ডের নিয়মে অরবিটালে ইলেকট্রন প্রবেশ করবে। হুন্ডের নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত ইলেকট্রন বিন্যাস নিয়ে পোষ্ট করবো, তাতে পেয়ে যাবেন।

স্পিন কোয়ান্টাম সংখ্যাকে ‘s’দ্বারা প্রকাশ করা হয়। s = + , –

কোয়ান্টাম সংখ্যা কাকে বলে সংজ্ঞা, কোয়ান্টাম সংখ্যা কোয়ান্টাম সংখ্যা কত প্রকার,কোয়ান্টাম সংখ্যা কি

তো আজকে আমরা দেখলাম যে কোয়ান্টাম সংখ্যা কাকে বলে এবং আরো অনেক বিস্তারিত বিষয়। যদি পোস্ট ভালো লাগে তাহলে অব্যশয়, আমাদের বাকি পোস্ট গুলো ভিজিট করতে ভুলবেন না!

Leave a Comment