কোরআন ও হাদিসের মধ্যে পার্থক্য কি?

কোরআন ও হাদিসের মধ্যে পার্থক্য কি: আজকে আমরা জানবো কোরআন ও হাদিসের মধ্যে পার্থক্য কি? এই প্রশ্নের উত্তর পেতে আমাদের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন। আশা করি আপনারা এই প্রশ্নের উত্তর ভালো ভাবে বুঝতে পারবেন।

কোরআন ও হাদিসের মধ্যে পার্থক্য কি?
কোরআন ও হাদিসের মধ্যে পার্থক্য কি

কোরআন ও হাদিসের মধ্যে পার্থক্য কি?

কোরআনহাদিস
আল-কুরআন আল্লাহ প্রদত্ত, যা এসেছে জিবরাঈল (আ)-এর মাধ্যমে। এর ভাষা ও শব্দচয়ন নিশ্চিতরূপ লাওহে মাহফুয’ হতে নাযিল হয়েছে।হাদীসে কুদ্‌সীর মূল বক্তব্য আল্লাহর নিকট হতে প্রাপ্ত, কিন্তু এর ভাষা রাসূল (স) প্রদেয় ।
কুরআন তিলাওয়াত ছাড়া নামায সহীহ হয় না। নামাযে কেবল কুরআন তিলাওয়াত করা হয়, অন্য কিছু তেলাওয়াতের সুযােগ নেই।হাদীসে কুদ্সী নামাযে তিলাওয়াত করা হয় না, কুরআনের পরিবর্তে এটা নামাযে তিলাওয়াত করলে নামায হয় না।
কুরআন অপবিত্র অবস্থায় স্পর্শ করা যায় না।হাদীসে কুদসী বিনা উযুতে স্পর্শ করা যায় ।
কুরআন মাজীদ, পাঠকদের উদ্দীপিত করার মত সম্মােহক।হাদীসে কুদ্‌সী মুজিযা নয়।
নামাযে কুরআন পাঠ করা ফরয।নামাযে হাদীস পাঠ করা যায় না।
কুরআন মাজীদ আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রত্যক্ষ অহী।হাদীস আল্লাহর পক্ষ থেকে পরােক্ষ অহী।
কুরআনের শব্দাবলি ও ভাষা উভয়ই আল্লাহর নিজের।হাদীসের শব্দাবলি রাসূলের নিজস্ব।
কুরআনকে বলা হয় “অহীয়ে মাতলু” বা পঠিতব্য প্রত্যাদেশ।হাদীসকে বলা হয় “অহীয়ে গায়রে মাতলু” বা অপঠিতব্য প্রত্যাদেশ।

তো আজকে আমরা দেখলাম যে কোরআন ও হাদিসের মধ্যে পার্থক্য কি এবং আরো অনেক বিস্তারিত বিষয় । যদি পোস্ট ভালো লাগে তাহলে অব্যশয়, আমাদের বাকি পোস্ট গুলো ভিসিট করতে ভুলবেন না!

Leave a Comment