গাছের কথা জগদীশচন্দ্র বসু সহায়িকা বিষয়সংক্ষেপ প্রশ্ন ও উত্তর [নতুন]

গাছের কথা জগদীশচন্দ্র বসু সহায়িকা বিষয়সংক্ষেপ প্রশ্ন ও উত্তর: আমরা আজকে এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব। এরকম পোস্ট আমদের মতো কেউ করতে পারবে না। আমরা হলাম official-result.com. তাই আমাদের ওয়েবসাইটকে কখনো ভুলে জাবেন না। 😉😉

গাছের কথা জগদীশচন্দ্র বসু সহায়িকা বিষয়সংক্ষেপ প্রশ্ন ও উত্তর

গাছের কথা জগদীশচন্দ্র বসু সহায়িকা বিষয়সংক্ষেপ প্রশ্ন ও উত্তর

বিষয়সংক্ষেপ

লেখক জগদীশচন্দ্র বসু যখন থেকে গাছ, পাখি ও কীটপতঙ্গদেরকে নিবিড়ভাবে ভালােবেসেছেন, তখন থেকে তাঁর জীবনের একাকিত্ব দূরীভূত হয়েছে এবং তাদের জীবনের অনেক কথাই তিনি বুঝতে পেরেছেন। আমাদের মতাে তারাও যে আহার করে বেড়ে ওঠে, পরস্পরের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে তােলে, কষ্টে পড়ে কখনােকখনাে এদের মধ্যে কেউ কেউ চুরি ডাকাতি করে তা তিনি উপলদ্ধি করতে পারেন। তিনি লক্ষ করেছেন “গাছের জীবন মানুষের জীবনের ছায়ামাত্র।” এই প্রসঙ্গে তিনি জীবন বলতে বােঝাতে চেয়েছেন, গতিশীলতাকে। তবে কখনাে-কখনাে জীবন সুপ্ত অবস্থায় থাকে। মাটি, জল ও উত্তাপের সংস্পর্শে তা অঙ্কুরে পরিণত হয়। ডিমের মধ্যে জীবন যেমন সুপ্ত অবস্থায় থাকে, তেমনই গাছের বীজও একপ্রকার কঠিন ঢাকনারূপী আবরণ যার মধ্যে প্রাণ সুপ্ত অবস্থায় থাকে এবং উপযুক্ত পরিবেশে তা অঙ্কুরিত হয়। নানা উপায়ে বীজ ছড়িয়ে পড়ে মাটিতে। কখনাে পাখিদের দ্বারা, কখনাে বা বাতাসের দ্বারা। প্রত্যেকটি বীজ থেকেই যে গাছ জন্মায়, তা বলা যায় না। মূলত অঙ্কুর বের হতে গেলে জল, মাটিও উত্তাপের প্রয়ােজন। এক-এক বীজ এক-এক সময়ে পাকে এবং মাটিতে ঝরে পড়ে। মাটিও যেন তাদের কোলে তুলে নেয় এবং মায়ের মতােই পরম আদরে বাইরের ঝড়ঝঞ্চা থেকে মায়ের মতােই রক্ষা করে, লালনপালন করে।

নামকরণ
নামকরণ কখনাে হয় বিষয়কেন্দ্রিক, কখনাে হয় চরিত্রকেন্দ্রিক, আবার, কখনাে হয় ব্যঞ্জনাবাহী। নামকরণ-এর মধ্যেই থাকে মূল বিষয়ের গূঢ়তা। লেখক জগদীশচন্দ্র বসু আলােচ্য প্রবন্ধটির নামকরণ করেছেন গাছের কথা। জগদীশচন্দ্র বসু যেহেতু একজন বিজ্ঞানী, তথাকথিত সাহিত্যিক নন, তাই তিনি প্রবন্ধটির নামকরণ সরল ভাষায়, সহজ ভঙ্গিতে করেছেন। যা সরাসরি বিষয়বস্তুকে উপস্থাপিত করে। প্রবন্ধটি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত লেখক গাছের কথাই বলে গিয়েছেন। গাছের বিভিন্ন লক্ষণ অর্থাৎ তারাও আমাদের মতাে আহার করে, ধীরে ধীরে বেড়ে ওঠে, আমাদের মতাে তাদেরও অভাব, দুঃখ-কষ্ট আছে, আমাদের মতাে তারাও পরস্পরের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে তােলে, একে অপরকে সাহায্য করে সব কথাই লেখক তুলে ধরেছেন। কীভাবে বীজ মাটিতে ছড়িয়ে পড়ে এবং কীভাবে জল, মাটি ও উত্তাপের সংস্পর্শে বীজ থেকে বৃক্ষশিশুর জন্ম হয়, তারও বর্ণনা দিয়েছেন লেখক। গাছের মৃত ডালের সঙ্গে জীবিত ডালের পার্থক্যও লেখক পাঠ্যাংশে তুলে ধরেছেন। সমগ্র অংশ জুড়ে রয়েছে গাছের প্রসঙ্গ। তাই পাঠ্যাংশটির নামকরণ ‘গাছের কথা অবশ্যই যথার্থ ও সার্থক হয়েছে।

হাতে কলমে

১.১ জগদীশচন্দ্র বসুর লেখা একটি বইয়ের নাম লেখাে।

উঃ জগদীশচন্দ্র বসুর লেখা একটি বইয়ের নাম ‘অব্যক্ত। 

১.২ জগদীশচন্দ্র বসু কী আবিষ্কার করেছিলেন ? 

উঃ জগদীশচন্দ্র বসু আবিষ্কার করেছিলেন গাছেদেরও প্রাণ আছে। এ ছাড়াও তিনি ক্রেসকোগ্রাফ’ নামক একটি যন্ত্র আবিষ্কার করেছিলেন।

২ নীচের প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর একটি বাক্যে লেখাে : 

২.১ লেখক কবে থেকে গাছেদের অনেক কথা বুঝতে পারেন ? 

উঃ লেখক যেদিন থেকে গাছেদেরকে ভালােবাসতে শিখেছেন, সেদিন থেকেই গাছেদের অনেক কথা বুঝতে পারেন। 

২.২ ‘ইহাদের মধ্যেও তাহার কিছু কিছু দেখা যায়। —কী দেখা যায় ? 

উঃ মানুষের মধ্যে যেসব সদগুণ আছে, গাছেদের মধ্যেও তার কিছু কিছু দেখা যায়। 

২.৩ জীবিতের লক্ষণ কী তা লেখকের অনুসরণে উল্লেখ করাে। 

উঃ জীবিতের লক্ষণ হল— যা জীবিত তা ক্রমশ বাড়তে থাকে এবং যার গতি আছে। অর্থাৎ, জীবিতের লক্ষণ। হল— বৃদ্ধি ও গতি। 

২.৪। বৃক্ষশিশু নিরাপদে নিদ্রা যায়।বৃক্ষশিশু কোথায় নিদ্রা যায় ? 

উঃ বীজের উপরে থাকা কঠিন ঢাকনার মধ্যে বৃক্ষ শিশু নিরাপদে নিদ্রা যায়। 

২.৫ অঙ্কুর বের হওয়ার জন্য কী কী প্রয়ােজন ?

উঃ
 অঙ্কুর বের হওয়ার জন্য উপযুক্ত উত্তাপ, জল ও মাটি প্রয়ােজন।

৩ নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখাে : 

৩.১ ‘আগে এসব কিছুই জানিতাম না।—কোন্ বিষয়টি লেখকের কাছে অজানা ছিল ? 

উঃ লেখক জগদীশচন্দ্র বসু যেদিন থেকে গাছ, পাখি ও কীটপতঙ্গদের ভালােবাসতে শিখেছেন, সেদিন থেকেই তিনি গাছেদের অনেক কথাই বুঝতে পারেন। তিনি বুঝেছিলেন, গাছেরা কথা না বললেও এদেরও একটা জীবন আছে। আমাদের মতাে এরাও যে আহার করে এবং দিন দিন বেড়ে ওঠে, তাও তিনি বুঝতে পারেন। আগে তিনি এসব কিছুই জানতে পারতেন না। 

৩.২’ ইহাদের মধ্যেও তাহার কিছু কিছু দেখা যায়।’ —কাদের কথা বলা হয়েছে ? তাদের মধ্যে কী লক্ষ করা যায় ? আলােচ্য অংশে গাছ, পাখি ও কীটপতঙ্গের কথা বলা হয়েছে। 

উঃ আমাদের জীবনে যেমন মাঝে মাঝে অভাব, দুঃখ ও কষ্ট দেখা যায়, তেমনই এদের মধ্যেও সেগুলি দেখা যায়। কষ্টে পড়ে এরাও আমাদের মতাে কেউ কেউ চুরি-ডাকাতি করে। মানুষের মধ্যে যেমন সচরাচর কিছু কিছু সদগুণ লক্ষ করা যায়, তেমনই এদের মধ্যেও সেই সমস্ত সদগুণের প্রকাশ লক্ষ করা যায়। 

৩.৩ ‘গাছের জীবন মানুষের ছায়ামাত্র। – লেখকের এমন উক্তি অবতারণার কারণ বিশ্লেষণ করাে।

উঃ লেখক জগদীশচন্দ্র বসু গাছকে নিবিড়ভাবে ভালােবেসে তাদের জীবনের বিভিন্ন দিকগুলিকে পর্যবেক্ষণ করেছেন। এর থেকে তাঁর মনে হয়েছে, গাছের বৈশিষ্ট্যগুলি মানুষের মধ্যেকার নানান স্বভাব বৈশিষ্ট্যের অনুরূপ। মানুষের মতাে এদের জীবনেও অভাব-অনটন এবং দুঃখকষ্ট আছে। অভাবে পড়ে এরাও মানুষের মতাে চুরি-ডাকাতি করে। মানুষের মধ্যে যেমন সদগুণ আছে, এদের মধ্যেও সেই সগুণের বহিঃপ্রকাশ লক্ষ করা যায়। এরাও একে অন্যকে সাহায্য করে। এদের মধ্যেও বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে উঠতে দেখা যায়। মানুষের প্রধান গুণ। হল— স্বার্থত্যাগ। এই গুণটি গাছেদের মধ্যেও লক্ষ করা যায়। মনুষ্য সমাজে মা তার নিজের জীবন দিয়ে সন্তানের জীবন রক্ষা করে। উদ্ভিদের ক্ষেত্রেও এই মানবিক বৈশিষ্ট্যের পরিচয় মেলে। এই সমস্ত লক্ষণের প্রতি দৃষ্টিপাত করে জগদীশচন্দ্র বসু বলেছেন, “গাছের জীবন মানুষের জীবনের ছায়ামাত্র”। 

৩.৪ জীবনের ধর্ম কীভাবে রচনাংশটিতে আলােচিত ও ব্যাখ্যাত হয়েছে তা বিশ্লেষণ করাে।

উঃ ‘গাছের কথা’ নামক রচনায় বিজ্ঞানাচার্য জগদীশচন্দ্র বসু গাছের জীবনধর্মের আলােচনা প্রসঙ্গে জীবনের স্বাভাবিক ও সাধারণ ধর্ম সম্পর্কে সুচিন্তিত মতামত দিয়েছেন। শুকনাে ডাল আর জীবিত গাছের তুলনা করে তিনি বলেছেন— বিকাশ, বৃদ্ধি ও গতি হল জীবনের ধর্ম। শুকনাে ডালের এই বৈশিষ্ট্য নেই।‘গতি’ বােঝাতে লেখক লতানাে গাছের উদাহরণ দিয়েছেন। বিকাশ ও পরিণতি যে প্রাণের ধর্ম— তা বােঝাতে তিনি বীজ ও ডিমের কথা বলেছেন। উত্তাপ, জল ও মাটির সংস্পর্শে বীজ থেকে অঙ্কুরােদগম হয় এবং তা থেকে যথাসময়ে চারাগাছ বৃদ্ধি পেয়ে পরিণত হয়ে ওঠে। অনুরূপভাবে, মানব জীবনেও উপযুক্ত পরিবেশের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। 

৩.৫, নানা উপায়ে গাছের বীজ ছড়াইয়া যায়। উপায়গুলি পাঠ্যাংশ অনুসরণে আলােচনা করাে। 

উঃ বীজ ছড়ানাের প্রক্রিয়া সম্পর্কে লেখক জানিয়েছেন প্রথমত, পাখিরা ফল খেয়ে দূর দূর দেশে বীজ নিয়ে যায়। ফলে অনেক জনমানবহীন দ্বীপেও গাছ জন্মে থাকে। এ ছাড়া অনেক সময় বীজ প্রবল বাতাসে উড়ে গিয়ে দূর দূরান্তে ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষত, শিমুল গাছের ফল রৌদ্রে ফেটে যাওয়ার পর তার বীজ তুলাের সঙ্গে উড়ে বেড়াতে থাকে। এইভাবে দিনরাত দেশদেশান্তরে বীজ ছড়িয়ে পড়ছে। 

৩.৬ লেখক তার ছেলেবেলার কথা পাঠ্যাংশে কীভাবে স্মরণ করেছেন, তা আলােচনা করাে। 

উঃ বিজ্ঞানাচার্য জগদীশচন্দ্র বসু তাঁর গাছের কথা নামক প্রবন্ধে নিজের ব্যক্তিগত অনুভূতি-অভিজ্ঞতার প্রেক্ষিতে ছেলেবেলার দিনগুলির কথা স্মরণ করেছেন। প্রবন্ধের শুরুতেই তিনি বলেছেন— ছেলেবেলায় একা মাঠে বা পাহাড়ে বেড়াতে গেলে সবকিছুই যেন খালি খালি লাগত। গাছ, পাখি, কীটপতঙ্গকে লেখক তখনও সেভাবে ভালােবাসতে শেখেননি। পরে যখন ভালােবাসতে শিখলেন, তখন তাদের সঙ্গে একাত্ম হয়ে বুঝতে পারলেন যে, গাছ কথা না-বললেও এদের জীবন আছে। লেখক প্রকৃতির সঙ্গে একাত্ম হয়ে অপার আনন্দ লাভ করতে শিখলেন। পেয়ে গেলেন চেতনার চাবিকাঠি। দৃশ্যমান প্রকৃতিতে তিনি নিয়ম-শাসিত বলিষ্ঠ অন্য জীবনের সন্ধান পেলেন। এরপর শিমুল ফল ফেটে তুলাের সঙ্গে হাওয়ায় উড়তে থাকার ঘটনার উল্লেখ করে তিনি ছােটোবেলার কথা মনে করেছেন। বাতাসে ভাসতে থাকা তুলাের পিছনে তিনি যখন ছুটোছুটি করতেন, সেগুলি বাতাসের গতিতে এদিক-ওদিক চলে যেত। হাত বাড়িয়ে ধরা সম্ভব হত না। কিন্তু লেখক এর মধ্যে খেলার আনন্দ খুঁজে পেতেন। এভাবেই লেখক পাঠ্যাংশে তাঁর ছেলেবেলার কথা স্মরণ করেছেন। 

৩.৭ ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন বীজ পাকিয়া থাকে। উদ্ধৃতিটির সাপেক্ষে নীচের ছকটি পূরণ করাে।

১. আম, কাঁঠাল — গ্রীষ্ম ঋতু

২. লিচু, জাম — গ্রীষ্ম ঋতু

৩. তাল — বর্ষা ঋতু 

৪. ধান — শরৎ ও হেমন্ত ঋতু

৫. কূল — বসন্ত ঋতু 

৩.৮ পৃথিবী মাতার ন্যায় তাহাকে কোলে লইলেন। —বিশ্বপ্রকৃতি সম্পর্কে লেখকের গভীর উপলব্ধি উদ্ধৃতিটিতে কীভাবে প্রতিফলিত হয়েছে তা আলােচনা করাে।

উঃ  জগদীশচন্দ্র বসু বিজ্ঞানী হলেও তাঁর মধ্যে ভারতীয় দর্শন চেতনা ছিল প্রবল। ভারতীয় দর্শনে প্রকৃতির মধ্যে মাতৃত্বসত্তার প্রকাশ লক্ষ করা যায় । তাই গাছের কথা’ প্রবন্ধে প্রাকৃতিক ঘটনার মধ্যে মাতৃসত্তার বিকাশকে লক্ষ করেছেন লেখক। বিশ্ব প্রকৃতিকে লেখক মায়ের সঙ্গে তুলনা করেছেন। মা যেমন সন্তানকে পরম স্নেহে কোলে তুলে নেয় এবং সমস্ত প্রতিকূল পরিস্থিতি থেকে সন্তানকে আড়াল করে তাকে লালিত পালিত করে, বিশ্ব প্রকৃতিও তেমনই গাছের বীজকে সন্তান স্নেহে কোলে তুলে নেয়। তার ধুলাে ও মাটি দ্বারা তাকে আবৃত করে রাখে এবং শীত ও ঝড়ের হাত থেকে তাকে রক্ষা করে। মায়ের মতাে বিশ্বপ্রকৃতিও বীজরূপী সন্তানকে ধীরে ধীরে জল-আলাে-বাতাস ও মাটি দ্বারা ছােট্ট চারা গাছ থেকে বৃহৎ বৃক্ষে পরিণত করে। এভাবে বিশ্বপ্রকৃতি যথার্থ মায়ের ভূমিকা পালন করে। 

৩.৯ প্রত্যেক বীজ হইতে গাছ জন্মে কিনা, কেহ বলিতে পারে না। বীজ থেকে গাছের জন্মের জন্য অত্যাবশ্যকীয় শর্তগুলি আলােচনা করাে। 

উঃ বীজ থেকে গাছের জন্মের জন্য অত্যাবশ্যকীয় শর্তগুলি হল—উত্তাপ, জল ও মাটি। প্রতিটি বীজ থেকে গাছ। জন্মায় কিনা তা কেউ বলতে পারে না। কারণ, কোনাে। বীজ হয়তাে পাথরের ওপর পড়ল, ফলে সেখানে সেই বীজ থেকে অঙ্কুর বের হওয়া সম্ভব হল না। যতক্ষণ মাটির সংস্পর্শে উপযুক্ত স্থানে বীজ পড়ে—ততক্ষণ পর্যন্ত তা থেকে অঙ্কুর জন্মাতে পারে না। জল ছাড়া বীজের অঙ্কুরােদগম সম্ভব হয় না। জল শােষণ করেই বীজ থেকে গাছ জন্মায়। অতিরিক্ত উন্নতা বা শীতলতা। বীজের অঙ্কুরােদগমের পক্ষে সহায়ক নয়। যথােপযুক্ত অনুকুল উয়তা প্রয়ােজন। সর্বোপরি যথােপযুক্ত অনুকূল পরিবেশেই বীজের অঙ্কুরােদগম ঘটে। 

৩.১০ ‘তখন সব খালি খালি লাগিত।’—কখনকার অনুভূতির কথা বলা হল ? কেন তখন সব খালি-খালি লাগত ? ক্রমশ তা কীভাবে অন্য চেহারা পেল তা পাঠ্যাংশ অনুসরণে বুঝিয়ে দাও। 

উঃ লেখক জগদীশচন্দ্র বসু যখন একা একাই মাঠে কিংবা পাহাড়ে বেড়াতে যেতেন, তখনকার অনুভূতির কথা বলা হয়েছে।  

➡️তখন সব খালি খালি লাগত। কারণ তখন তিনি গাছ পাখি বা কীটপতঙ্গদেরকে নিবিড়ভাবে ভালােবাসতে পারেননি। ফলে তাদের সঙ্গে তাঁর হার্দিক সম্পর্কও গড়ে ওঠেনি। তাই সব খালি খালি লাগত।  

➡️লেখক যখন থেকে গাছ, পাখি ও কীটপতঙ্গদের গভীরভাবে ভালােবেসেছেন, তখন থেকেই তাদের জীবনের অনেক কথা তিনি বুঝতে পারেন। তারাও যে আমাদের মতাে আহার করে, দিন দিন বেড়ে ওঠে, মানুষের মতাে তাদেরও যে আলাদা আলাদা চরিত্র-বৈশিষ্ট্য আছে, তা তিনি বুঝতে পারলেন। ফলে, তার একাকিত্ব আর হয় না।

৪ নির্দেশ অনুসারে বাক্য পরিবর্তন করাে । 

৪.১ আগে যখন একা মাঠে কিংবা পাহাড়ে বেড়াইতে যাইতাম, তখন সব খালি খালি লাগিত।(সরল বাক্যে) 

উঃ আগে একা মাঠে কিংবা পাহাড়ে বেড়াইতে গেলে সব খালি খালি লাগত। 

৪.২ তাদের অনেক কথা বুঝিতে পারি, আগে যাহা পারিতাম না। (হা-সূচক বাক্যে) 

উঃ তাহাদের অনেক কথা বুঝিতে পারি, আগে যাহা বুঝিতে অপারগ ছিলাম। 

৪.৩ ইহাদের মধ্যেও আমাদের মতাে অভাব, দুঃখ-কষ্ট দেখিতে পাই। (জটিল বাক্যে)

উঃ
 আমাদের মধ্যে যে অভাব, দুঃখকষ্ট আছে ইহাদের মধ্যেও তাহা দেখিতে পাই। 

৪.৪ তােমরা শুষ্ক গাছের ডাল সকলেই দেখিয়াছ। (না-সূচক বাক্যে)  

উঃ তােমাদের মধ্যে এমন কেহ নাই যারা শুষ্ক গাছের ডাল দ্যাখাে নাই। 

৪.৫। প্রবল বাতাসের বেগে কোথায় উড়িয়া যায়, কে বলিতে পারে ? (প্রশ্ন পরিহার করাে) 

উঃ প্রবল বাতাসের বেগে কোথায় উড়িয়া যায়, কেহ বলিতে পারে না।

৫ নীচের শব্দগুলির ব্যাসবাক্য-সহ সমাসের নাম লেখাে : কীটপতঙ্গ, স্বার্থত্যাগ, বৃক্ষশিশু, বনজঙ্গল, জনমানবশূন্য, দিনরাত্রি, দেশান্তরে, নিরাপদ।

➡️ কীটপতঙ্গ = কীট ও পতঙ্গ – দ্বন্দ্ব সমাস। 

➡️ স্বার্থত্যাগ = স্বার্থকে ত্যাগ —কর্ম তৎপুরুষ সমাস।  

➡️ বৃক্ষশিশু = বৃক্ষের শিশু — সম্বন্ধ তৎপুরুষ সমাস। 

➡️ বনজঙ্গল = বন ও জঙ্গল— সমার্থক দ্বন্দ্ব সমাস।

➡️ জনমানবশূন্য = জনমানব শূন্য যে স্থান — কর্মধারয় সমাস। 

➡️ দিনরাত্রি = দিন ও রাত্রি — বিপরীতার্থক দ্বন্দ্ব সমাস।  

➡️ দেশান্তরে = অন্য দেশে – নিত্য সমাস। 

➡️ নিরাপদ = নয় আপদ — নঞ-তৎপুরুষ সমাস।

৬ নিম্নেরেখাঙ্কিত অংশের কারক-বিভক্তি নির্দেশ করাে :

৬.১ ইহাদের মধ্যে একের সহিত অপরের বন্ধুত্ব হয়।

➡️ বন্ধুত্ব = কর্মকারকে শূন্য বিভক্তি। 

৬.২ আর কিছুকাল পরে ইহার চিহ্নও থাকিবে না। 

➡️ ইহার = সম্বন্ধপদে ‘র’ বিভক্তি। 

৬.৩ বীজ দেখিয়া গাছ কত বড়াে হইবে বলা যায় না।

➡️ বীজ = কর্মকারকে শূন্য বিভক্তি। 

৬.৪ মানুষের সর্বোচ্চ গুণ যে স্বার্থত্যাগ, গাছে তাহাও দেখা যায়।  

️গাছে = অধিকরণ কারকে ‘এ’ বিভক্তি।

৭ সন্ধিবদ্ধ পদগুলি খুঁজে নিয়ে সন্ধিবিচ্ছেদ করাে : 

৭.১ তাহার মধ্যে বৃক্ষশিশু নিরাপদে নিদ্রা যায়। 

➡️ নিরাপদে = নিঃ + আপদে। 

৭.২ অতি প্রকাণ্ড বটগাছ সরিষা অপেক্ষা ছােটো বীজ হইতে জন্মে। 

➡️ অপেক্ষা = অপ + ইক্ষা।

৭.৩ এই প্রকারে দিনরাত্রি দেশদেশান্তরে বীজ ছড়াইয়া পড়িতেছে। 

➡️ দেশান্তরে =দেশ + অন্তরে।

আশা করি আপনারা এই বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন। “.গাছের কথা জগদীশচন্দ্র বসু সহায়িকা বিষয়সংক্ষেপ প্রশ্ন ও উত্তর” এরকম আরো অনেক বিষয় জানতে হলে অব্যশয় আমাদের অন্যান্য পোস্ট পড়তে ভুলবেন না। ধন্যবাদ ❤

Leave a Comment