ঘুরে দাঁড়াও প্রণবেন্দু দাশগুপ্ত সহায়িকা বিষয়সংক্ষেপ প্রশ্ন ও উত্তর [নতুন]

ঘুরে দাঁড়াও প্রণবেন্দু দাশগুপ্ত সহায়িকা বিষয়সংক্ষেপ প্রশ্ন ও উত্তর: আমরা আজকে এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব। এরকম পোস্ট আমদের মতো কেউ করতে পারবে না। আমরা হলাম official-result.com. তাই আমাদের ওয়েবসাইটকে কখনো ভুলে জাবেন না। 😉😉

ঘুরে দাঁড়াও প্রণবেন্দু দাশগুপ্ত সহায়িকা বিষয়সংক্ষেপ প্রশ্ন ও উত্তর

ঘুরে দাঁড়াও প্রণবেন্দু দাশগুপ্ত সহায়িকা বিষয়সংক্ষেপ প্রশ্ন ও উত্তর

বিষয়সংক্ষেপ

আবহমান স্রোতের মুখােমুখি দাঁড়িয়ে কবি জীবনকে দেখেছেন বাস্তবের পটভূমিকায়। জীবনের টানাপােড়েনে বিপন্ন মানুষের অসহায়তা দেখলেও কবি প্রতিবাদের সাথে ঘুরে দাঁড়াতে বলেছেন তাদের। কবি প্রণবেন্দু দাশগুপ্ত বলেছেন, নিজেকে সরিয়ে রাখার কোথাও প্রয়ােজন নেই, বরং ঘুরে দাঁড়িয়ে তুক করার মতাে বাইরেটা পালটে দেওয়া দরকার। সময়ের সঙ্গে নিজেকে বদলে ফেলা দরকার। সাইকেল রিকশাগুলি চলে যাক বনে-বনান্তরে। ছায়াপথের কাছাকাছি উঠে পড়ুক কাদাভরতি রাস্তা। গাছগুলি স্নান করে আসুক নদীর জলে আর সশব্দে জেগে উঠুক শহরতলি। বদলে না-দিতে পারলে মৃত্যু অনিবার্য। হাত বাড়িয়ে যেখানে যা-আছে টেনে আনাে, ঘুরে দাঁড়াও। না-হলে বিন্দুর মতাে মিলিয়ে যাবে একদিন।

নামকরণ 

নামকরণের মধ্য দিয়েই পাঠক প্রাথমিকভাবে সৃষ্টির গভীরে প্রবেশের সুযােগ পায়। নামকরণ হল সাহিত্যের দর্পণ স্বরূপ। কবি প্রণবেন্দু দাশগুপ্তের ‘ঘুরে দাঁড়াও’ কৃবিতাটিও তার ব্যতিক্রম নয়। কবিতাটিতে কবি মানুষের প্রতিবাদ সত্তার জাগরণ ঘটাতে চেয়েছেন। মানবধর্মের চরম অপমানকর পরিস্থিতিতে বিপর্যস্ত মানুষ আজ দেয়ালে ঠেকে গিয়েছে। পরিবেশের দূষণ আজ এতটাই বিস্তৃত যে, মানুষকে ঘুরে দাঁড়াতেই হবে। নইলে মৃত্যুই হবে তাদের একমাত্র অনিবার্য পরিণতি। অন্তরে শক্তি সঞ্চয় করে আগে বাইরের জগৎকে বদলাতে হবে, অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে সােচ্চার হতে হবে। ইচ্ছাশক্তির সাহায্যে গতানুগতিকতা ছেড়ে সব শেষ হওয়ার আগে আবার সৃষ্টিসুখে মাততে হবে। কবি মানুষকেও সেই আহ্বান জানিয়েছেন। মানুষের অন্তরাত্মার জাগরণ ঘটিয়ে অনিবার্য মৃত্যুর হাত থেকে জগৎ ও জীবনকে রক্ষা করার জন্য নতুন আদর্শে উদ্বুদ্ধ করেছেন। ঘুরে দাঁড়াও কবিতাটির নামকরণ তাই সার্থক ও যথাযথ হয়েছে।

হাতে কলমে

১.১ প্রণবেন্দু দাশগুপ্ত সম্পাদিত কবিতা পত্রিকাটির নাম কী ?

উঃ প্রণবেন্দু দাশগুপ্তের সম্পাদিত কবিতা পত্রিকাটির নাম অলিন্দ।

১.২ তাঁর রচিত দুটি কাব্যগ্রন্থের নাম লেখাে। 

উঃ প্রণবেন্দু দাশগুপ্তের লেখা দুটি কাব্যগ্রন্থের নাম— ‘এক ঋতু’ আর ‘নিজস্ব ঘুড়ির প্রতি’।

২ নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখাে :

২.১ কবিতায় কবি কোন্ আহ্বান জানিয়েছেন ?

উঃ
 কবিতায় কবি মানুষকে ঘুরে দাঁড়ানাের আহ্বান জানিয়েছেন।

২.২ “ছােট্ট একটা তুক করে বাইরেটা পালটে দাও” —বাইরেটায় কী ধরনের বদল ঘটবে বলে কবি আশা করেন ? সেই কাঙ্ক্ষিত বদল ঘটলে জীবন কীভাবে অন্যরকম হবে বলে কবি মনে করেন ?

উঃ
 কবি আশা করেন, সাইকেল-রিকশাগুলি এক বন থেকে অন্য বনে শিস দিয়ে চলে যাবে, ছায়াপথের কাছাকাছি উঠে পড়বে কাদাভরতি রাস্তা, নদীর জলে স্নান করবে গাছগুলি, সারা-রা-রা করে জেগে উঠবে উপান্তের শহরতলি ।

    ➡️ সেই কাঙ্ক্ষিত বদল ঘটলে জীবন হবে বৈচিত্র্যময় ও সুন্দর। নাগরিক জীবনের আত্মকেন্দ্রিক কুশ্রীতা অনেকটাই দূর হবে। সুন্দর হয়ে উঠবে পৃথিবী। জীবনে চলার পথ হবে সুগম, স্বচ্ছ ও শঙ্কাহীন। গাছপালাগুলাে আরও সতেজ, সবুজ, প্রাণবন্ত ও স্বাস্থ্যকর হয়ে। মানুষকে উদার করে দেবে।

২.৩ “সরতে সরতে সরতে তুমি আর কোথায় সরবে ?”—কবি কোথা থেকে এই ‘সরণ লক্ষ করেছেন ? এক্ষেত্রে তাঁর দেওয়া পরামর্শটি কী ?

উঃ সমাজ সচেতন কবি প্রণবেন্দু দাশগুপ্ত লক্ষ করেছেন, মানুষ দিন দিন তার প্রতিবাদীধর্ম থেকে সরে যাচ্ছে। সামাজিক অন্যায় অবিচারকে তারা সহ্য করে নিচ্ছে। এভাবে মানুষ প্রতি মুহূর্তে আদর্শ, মর্যাদা, বলিষ্ঠ ধ্যান ধারণা ও জীবনবােধ থেকে পিছু হটছে। মানুষের মধ্যেকার শুভভাবনার প্রকাশ নেই, অন্যায়ের প্রতিবাদ নেই, অসংগতির বিরুদ্ধে সােচ্চার প্রতিরােধ নেই। এসবগুলিও কবি বেদনাহত চিত্তে লক্ষ করছেন।

    ➡️ কবি মানবতার লাঞ্ছনা সহ্য করতে পারছেন না। তার পরামর্শ, অবস্থা পালটাতে হবে। নিরুপায়, অসহায়ভাবে শেষ হওয়ার আগে সমাজবদলের চেষ্টায় শামিল হতে হবে। কোনাে কিছু না-করে মৃত্যুবরণ করে লাভ নেই। বরং, প্রতিকূল বিরুদ্ধ পরিবেশকে নিজের আয়ত্তে এনে মানুষের জন্য কিছু করার মধ্যেই মানব জীবনের সার্থকতা। সেই উদ্দেশ্যসাধনের জন্যে কবি ঘুরে দাড়ানাের পরামর্শ দিয়েছেন।

২.৪ “এবার ঘুরে দাঁড়াও।” আর “এখন ঘুরে দাঁড়াও।”— পঙক্তি দুটিতে ‘এবার’ আর ‘এখন’ শব্দদুটির প্রয়ােগ সার্থকতা বুঝিয়ে দাও।

উঃ ‘এবার’ আর ‘এখন’ কথা দুটির অর্থ একই—এই সময়। তবে কবিতায় ‘এবার’ কথাটি ব্যবহৃত হয়েছে এই অর্থে যে, বারবার সরতে সরতে সরে দাঁড়ানাের জায়গা যখন নেই, তখন ঘুরে দাঁড়াতেই হবে।

➡️ ‘এখন’ বলতে এই মুহূর্তকে বােঝানাে হয়েছে অর্থাৎ, কবির কথা শােনামাত্র সময়টুকুকে। কারণ, প্রথম কথাটিতে অতীতের একাধিক স্মরণ-এর কথা আছে, তাই এবার’ কথাটি এখানে যথাযথভাবে ব্যবহৃত হয়েছে। দ্বিতীয় কথাটিতে ভবিষ্যৎ অনুমানের কথা আছে। তাই এখন কথাটি এখানে প্রযুক্ত।

৩ নির্দেশ অনুসারে বাক্য পরিবর্তন করাে :

৩.১ তুমি আর কোথায় সরবে ? (প্রশ্ন পরিহার করাে) 

উঃ তােমার আর কোথাও সরার জায়গা নেই।

৩.২ এবার ঘুরে দাঁড়াও। (না-সূচক বাক্যে)

উঃ
 এবার ঘুরে না-দাঁড়ালে চলবে না। 

৩.৩ তুমি যদি বদলে দিতে না পারাে তাহলে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মরতে হবে। (সরল বাক্যে)

উঃ
 তুমি বদলে দিতে না-পারলে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মরতে হবে। 

৩.৪ নইলে সরতে সরতে তুমি বিন্দুর মতাে মিলিয়ে যাবে। (প্রশ্নবােধক বাক্যে)

উঃ
 নইলে সরতে সরতে তুমি কি বিন্দুর মতাে মিলিয়ে যাবে না?

৩.৫ গাছগুলাে নদীর জলে স্নান করে আসুক। (নির্দেশক বাক্যে)

উঃ গাছগুলােকে নদীর জলে স্নান করতে হবে।

৪ ব্যাসবাক্য-সহ সমাসের নাম লেখাে : বনান্তর, ছায়াপথ, উপান্ত, সাইকেল-রিকশা।

➡️ বনান্তর = অন্য বন —নিত্য সমাস।

➡️ ছায়াপথ = ছায়া প্রধান পথ — মধ্যপদলােপী কর্মধারয় সমাস।

➡️ উপান্ত = অন্তের সমীপে — অব্যয়ীভাব সমাস। 

➡️ সাইকেল-রিকশাে = সাইকেল ও রিকশাে দ্বন্দ্ব সমাস।

আশা করি আপনারা এই বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন। “.ঘুরে দাঁড়াও প্রণবেন্দু দাশগুপ্ত সহায়িকা বিষয়সংক্ষেপ প্রশ্ন ও উত্তর” এরকম আরো অনেক বিষয় জানতে হলে অব্যশয় আমাদের অন্যান্য পোস্ট পড়তে ভুলবেন না। ধন্যবাদ ❤

Leave a Comment