দৈর্ঘ্য কাকে বলে: আজকে আমরা জানবো দৈর্ঘ্য কাকে বলে? এই প্রশ্নের উত্তর পেতে আমাদের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন। আশা করি আপনারা এই প্রশ্নের উত্তর ভালো ভাবে বুঝতে পারবেন।
![দৈর্ঘ্য কাকে বলে, দৈর্ঘ্য নির্ণয়ের সূত্র, বস্ত্রের দৈর্ঘ্য পরিমাপের দেশীয় পদ্ধতি, মেট্রিক পদ্ধতি দৈর্ঘ্য পরিমাপ দৈর্ঘ্য কাকে বলে,মেট্রিক পদ্ধতি দৈর্ঘ্য পরিমাপ,দৈর্ঘ্য নির্ণয়ের সূত্র,বস্ত্রের দৈর্ঘ্য পরিমাপের দেশীয় পদ্ধতি](https://official-result.com/wp-content/uploads/2022/05/দৈর্ঘ্য-কাকে-বলে.png)
দৈর্ঘ্য কাকে বলে?
দুরত্বের পরিমাপকে দৈর্ঘ্য বলে। সাধারণভাবে বললে, কোনো বস্তুর বৃহত্তম মাত্রা হলো দৈর্ঘ্য। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, একটি আয়তক্ষেত্রের বৃহত্তম মাত্রাকে দৈর্ঘ্য বলে।
দৈর্ঘ্য পরিমাপের একক হল মিটার। পৃথিবীর উত্তর মেরু হতে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের দ্রাঘিমা বরাবর বিষুব রেখা পর্যন্ত দৈর্ঘ্যের কোটি ভাগের এক ভাগকে এক মিটার হিসেবে গণ্য করা হয়।
কিন্তু এ দৈর্ঘ্য মাপ সুবিধাজনক নয় বিধায়, পরবর্তীতে প্যারিসের মিউজিয়ামে রক্ষিত একখণ্ড প্লাটিনাম রড এর দৈর্ঘ্য ১ মিটার হিসেবে স্বীকৃত হয়েছে।
ঐ দৈর্ঘ্যকে একক হিসেবে ধরে রৈখিক মাপ করা হয়। দৈর্ঘ্যের একক মিটার থেকে মেট্রিক পদ্ধতির নামকরণ করা হয়। দৈর্ঘ্যের পরিমাণ কম হলে সেন্টিমিটারের প্রকাশ করা হয় এবং দৈর্ঘ্যের পরিমাণ বেশি হলে কিলোমিটারে প্রকাশ করা হয়।
দৈর্ঘ্য কাকে বলে,মেট্রিক পদ্ধতি দৈর্ঘ্য পরিমাপ,দৈর্ঘ্য নির্ণয়ের সূত্র,বস্ত্রের দৈর্ঘ্য পরিমাপের দেশীয় পদ্ধতি
মেট্রিক পদ্ধতি দৈর্ঘ্য পরিমাপ
- ১০ মিলিমিটার = ১ সেন্টিমিটার
- ১০ সেন্টিমিটার = ১ ডেসিমিটার
- ১০ ডেসিমিটার = ১ মিটার
- ১০০ সেন্টিমিটার = ১ মিটার
- ১০ মিটার = ১ ডেকামিটার
- ১০ ডেকামিটার = ১ হেক্টোমিটার
- ১০ হেক্টোমিটার = ১ কিলোমিটার
- ১ কিলোমিটার = ১০০০ মিটার
- ১ মিটার = ৩৯.৩৭ ইঞ্চি (প্রায়)
- ১ কিলোমি. = ০.৬২ মাইল (প্রায়)
- ১ ইঞ্চি = ২.৫৪ সে.মি.
- ১ মাইল = ১.৬০ কিলোমিটার
- ১ নটিক্যাল মাইল = ১.৮৫৩ কিলোমিটার/ ১৮৫৩.১৮ মিটার
- ২০০ নটিক্যাল মাইল = ৩৭০ কিলোমিটার (প্রায়)
দৈর্ঘ্য নির্ণয়ের সূত্র
দৈর্ঘ্য শুধু একটি মাত্রাকে প্রতিনিধিত্ব করে। কিন্তু একটি আয়তাকার তলের ক্ষেত্রফল তার দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের সাথে সম্পৃক্ত।
এ ধরণের তলের দৈর্ঘ্যকে প্রস্থ দ্বারা গুণ করলে ক্ষেত্রফল পাওয়া যায়। তাই যে কোনো তলের ক্ষেত্রফল দ্বিমাত্রিক জ্যামিতির সাথে জড়িত।
Also Read: আদর্শ গ্যাস কাকে বলে
তলের মাত্রা দুইটি হলো দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ। একটি আয়তক্ষেত্র বা আয়তাকার পৃষ্ঠতলের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের গুণফলই হলো তার ক্ষেত্রফলের পরিমাপ। ফলে ক্ষেত্রফলকে প্রস্থ দ্বারা ভাগ করলে দৈর্ঘ্য পাওয়া যায়।
অতএব, আয়তাকার পৃষ্ঠতলের ক্ষেত্রফলের সূত্রটি দাঁড়ায়,
আয়তাকার পৃষ্ঠতলের ক্ষেত্রফল = (দৈর্ঘ্য × প্রস্থ) বর্গ একক।
দৈর্ঘ্য = (আয়তাকার পৃষ্ঠতলের ক্ষেত্রফল ÷ প্রস্থ) একক।
আয়তাকার পৃষ্ঠতলের দৈর্ঘ্য নির্ণয়ের সূত্র
দৈর্ঘ্য = (আয়তাকার পৃষ্ঠতলের ক্ষেত্রফল ÷ প্রস্থ) একক
বস্ত্রের দৈর্ঘ্য পরিমাপের দেশীয় পদ্ধতি
- ৩ যবোদার = ১ আঙ্গুলী
- ৩ আঙ্গুলী = ১ গিরা
- ৩ গিরা = ১ হাত
- ১৬ গিরা = ১ গজ
- ১৮ ইঞ্চি = ১ হাত
- ৩৬ ইঞ্চি = ১ গজ
- ২ হাত = ১ গজ
- ২০ গজ = ১ থান
Also Read: প্রতিবিম্ব কাকে বলে
ভূমির/জমির ক্ষেত্রফল পরিমাপে দেশীয় ও ব্রিটিশ পদ্ধতি
- ১ বর্গ হাত = ১ গন্ডা
- ২০ গন্ডা = ১ ছটাক
- ১ ছটাক = ৫ বর্গগজ
- ১৬ ছটাক = ১ কাঠা
- ১ কাঠা = ৮০ বর্গগজ
- ১ বিঘা = ২০ কাটা/ ১৬০০ বর্গগজ
- ১০৮ ঘনহাত = ১ কুয়া
- ৩৬৪ ঘনফুট = ১ কুয়া
- ১০০০ ঘনফুট = ২.৭৫ কুয়া
- ১৪৪ বর্গ ইঞ্চি = ১ বর্গফুট
- ৯ বর্গফুট = ১ বর্গগজ
- ১৭৬০ গজ = ১ মাইল
- ৪৮৪০ বর্গগজ = ১ একর
তো আজকে আমরা দেখলাম যে দৈর্ঘ্য কাকে বলে এবং আরো অনেক বিস্তারিত বিষয় । যদি পোস্ট ভালো লাগে তাহলে অব্যশয়, আমাদের বাকি পোস্ট গুলো ভিসিট করতে ভুলবেন না!
দৈৰ্ঘ্যের সূত্র পিজ্জ