পদ: আজকে আমরা জানবো পদ কাকে বলে? এই প্রশ্নের উত্তর পেতে আমাদের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন। আশা করি আপনারা এই প্রশ্নের উত্তর ভালো ভাবে বুঝতে পারবেন।
পদ কাকে বলে?
বাক্যে ব্যবহৃত বিভক্তযুক্ত শব্দ ও ধাতুকে পদ বলে।
এক কথায় বলা যায়, বাক্যে ব্যবহৃত প্রত্যকটি শব্দই একেকটি পদ। যেমন – মানুষ, তাঁরা, জন্য, আকাশ ইত্যাদি।
Pod Kake Bole?
বাক্যে ব্যবহৃত প্রত্যেকটি শব্দই এক একটি পদ।
সহজ বিকল্প ১: প্রথাগত বাংলা ব্যাকরণ অনুসরণে বলা হয় যে, অর্থবোধক বর্ণ বা বর্ণসমষ্টি দিয়ে গঠিত কোনো শব্দ বাক্যে ব্যবহৃত হলে তাকেই পদ বলে।
সহজ বিকল্প ২: অথবা আমরা বলতে পারি, যে শব্দ বা ধাতু বিভক্তি যুক্ত হয়ে বাক্যে প্রয়োগ করবার উপযোগী হয় তাই পদ।
আরো বিস্তারিত ভাবে পদ কাকে বলে তা বললে, বাক্যে ব্যবহৃত প্রতিটি শব্দই অপর কোনো বর্ণ বা বর্ণসমষ্টির সাথে যুক্ত হয়ে রূপান্তর লাভ করে পদে। শব্দের সাথে এরূপ বর্ণ বা বর্ণসমষ্টি যোগ হলে একে বলা হয় বিভক্তি। বিভক্তি যুক্ত শব্দই আসলে পদ।
পদ কত প্রকার? পদের প্রকারভেদ এবং শ্রেণীবিভাগ
পদ প্রধানত ২ প্রকার। যথাঃ-
- সব্যয় পদ
- অব্যয় পদ
সব্যয় পদ আবার ৪ প্রকার। এগুলো হলো –
- বিশেষ্য
- বিশেষণ
- সর্বনাম
- ক্রিয়া
বিশেষ্য কাকে বলে?
বাক্যমধ্যে ব্যবহৃত যে সমস্ত পদ দ্বারা কোন ব্যাক্তি, বস্তু,স্থান, জাতি,কাল,ভাব ইত্যাদি নাম বোঝানো হয়, তাদের বিশেষ্য পদ বলে। ইফাদ, ঢাকা, নদী,গীতাঞ্জলি, চাল ইত্যাদি।
বিশেষ্য পদ কত প্রকার?
বিশেষ্য পদ ছয় প্রকার:
- ব্যক্তিবাচক বিশেষ্য।
- বস্তুবাচক বিশেষ্য।
- জাতিবাচক বিশেষ্য।
- গুণবাচক বিশেষ্য।
- সমষ্টিবাচক বিশেষ্য।
- ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য।
বিশেষণ কাকে বলে?
যে পদ দ্বারা বিশেষ্য, সর্বনাম ও ক্রিয়াপদের দোষ, গুণ,অবস্থা, সংখ্যা,পরিমাণ ইত্যাদি প্রকাশ করে, তাকে বিশেষণ পদ বলে। যেমন – নীল আকাশ, দক্ষ কারিগর,বেলে মাটি।
বিশেষণ পদ কত প্রকার?
বিশেষণ পদ 4 প্রকার:
- বিশেষ্য বিশেষণ।
- বিশেষণের বিশেষণ।
- ক্রিয়া বিশেষণ।
- সর্বনামের বিশেষণ।
সর্বনাম কাকে বলে?
বিশেষ্যের পরিবর্তে যে শব্দ ব্যবহৃত হয় তাকে সর্বনাম পদ বলে। যেমন – আমি, আমরা, ঐ,কেহ,অন্য,পর ইত্যাদি।
সর্বনাম পদ কত প্রকার?
সর্বনাম পদ 8 প্রকার:
- ব্যক্তিবাচক সর্বনাম পদ।
- নির্দেশক সর্বনাম পদ।
- অনির্দেশক সর্বনাম পদ।
- আত্মবাচক সর্বনাম পদ।
- প্রশ্ন বাচক সর্বনাম পদ।
- সাপেক্ষ সর্বনাম পদ।
- সমষ্টিবাচক সর্বনাম পদ।
- পারস্পারিক সর্বনাম পদ।
অব্যয় কাকে বলে?
ন ব্যয় = অব্যয়। যার ব্যয় বা পরিবর্তন হয় না, অর্থাৎ, যা অপরিবর্তনীয় শব্দ তাই অব্যয়।
যে পদ সর্বদা অপরিবর্তনীয় থেকে কখনো বাক্যের শোভাবর্ধন করে,কখনো একাধিক পদের, বাক্যাংশের বা বাক্যের সংযোগ বা বিয়োগ সম্বদ্ধ ঘটায়, তাকে অব্যয় পদ বলে। যেমন – আর, আবার, ও, এবং,কিন্তু ইত্যাদি।
যে পদ সর্বদা অপরিবর্তনীয় থাকে, যার সঙ্গে কোন বিভক্তি যুক্ত হয় না এবং পুরুষ বা বচন বা লিঙ্গ ভেদে যে পদের রূপের বা চেহারারও কোন পরিবর্তন হয় না, তাকে অব্যয় পদ বলে। অর্থাৎ বাক্যে ব্যবহারের সময় যে পদগুলির কোনভাবেই পরিবর্তন হয়না তাকে অব্যয় পদ বলে।
যে পদ সর্বদা অপরিবর্তনীয় থেকে কখনো বাক্যের শোভাবর্ধন করে,কখনো একাধিক পদের, বাক্যাংশের বা বাক্যের সংযোগ বা বিয়োগ সম্বদ্ধ ঘটায়, তাকে অব্যয় পদ বলে। অব্যয় কথার অর্থ হল- যা অপরিবর্তনীয় থাকে।
অব্যয় পদ কত প্রকার?
অব্যয় পদ 3 প্রকার:
- পদান্বয়ী অব্যয় পদ।
- অনন্বয়ী অব্যয় পদ।
- বাক্যান্বয়ী অব্যয় পদ।
ক্রিয়া কাকে বলে?
যার দ্বারা কোন কার্য সম্পাদন করা বোঝায়, তাকে ক্রিয়া বলে। যেমন – খাই, যাই,খান ইত্যাদি।
উদাহরণঃ
- রফিক বই পড়ছে।
- কুড়ি মাছ ধরছে।
ক্রিয়াপদ কত প্রকার?
ক্রিয়াপদ পদ 2 প্রকার:
- সমাপিকা ক্রিয়া।
- অসমাপিকা ক্রিয়া।
তো আজকে আমরা দেখলাম যে পদ কাকে বলে এবং আরো অনেক বিস্তারিত বিষয়। যদি পোস্ট ভালো লাগে তাহলে অব্যশয়, আমাদের বাকি পোস্ট গুলো ভিসিট করতে ভুলবেন না!