পৃথিবীর অন্দরমহল অষ্টম শ্রেণী সহায়িকা প্রশ্ন ও উত্তর [নতুন]

পৃথিবীর অন্দরমহল অষ্টম শ্রেণী সহায়িকা প্রশ্ন ও উত্তর: আমরা আজকে এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব। এরকম পোস্ট আমদের মতো কেউ করতে পারবে না। আমরা হলাম official-result.com. তাই আমাদের ওয়েবসাইটকে কখনো ভুলে জাবেন না। 😉😉

পৃথিবীর অন্দরমহল অষ্টম শ্রেণী সহায়িকা প্রশ্ন ও উত্তর

পৃথিবীর অন্দরমহল অষ্টম শ্রেণী সহায়িকা প্রশ্ন ও উত্তর

অধ্যায়ভিত্তিক কয়েকটি সংজ্ঞা :

➡️ ম্যাগমা: ভূগর্ভের পদার্থ প্রচণ্ড চাপ ও তাপে গ্যাস, বাম্প মিশ্রিত হয়ে গলিত অবস্থায় থাকলে তাকে ম্যাগমা বলে। 

➡️ লাভা: ভূগর্ভের গলিত, উত্তপ্ত অর্ধতরল ম্যাগমা ফাটল দিয়ে ভূপৃষ্ঠের বাইরে বেরিয়ে এলে তাকে লাভা বলে। 

➡️ উষ্ণপ্রসবণ: পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ তাপের প্রভাবে মাটির তলার জল বা ভৌমজল উত্তপ্ত হয়ে ফুটতে শুরু করে। ওই ফুটন্ত জল ভূপৃষ্ঠের ফাটল বা ছিদ্রপথ দিয়ে বাইরে বেরিয়ে এলে তাকে উয় প্রস্রবণ বলে। 

➡️ ভূতাপ শক্তি: পৃথিবীর কেন্দ্রের তাপ ধীরে ধীরে পৃথিবীপৃষ্ঠের দিকে আসতে থাকে। এই তাপশক্তিকে ভূতাপ শক্তি বলে। 

➡️ ঘনত্ব: একক আয়তনের পদার্থের যতটুকু ভর আছে তার পরিমাণকে বলে ওই পদার্থের ঘনত্ব। 

➡️ ভূমিকম্প তরঙ্গ: ভূমিকম্পের ফলে সৃষ্ট তরঙ্গকে ভূমিকম্প তরঙ্গ বলে। এই তরঙ্গসমূহ বিভিন্ন ধরনের পদার্থের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার সময় কখনও দীর্ঘ, কখনও ক্ষুদ্র আবার কখনও দ্রুত বা ধীর গতিসম্পন্ন হয়। 

➡️ সিয়াল: সিলিকন (Si) এবং অ্যালুমিনিয়াম (Al) দিয়ে তৈরি ভূত্বকের সবচেয়ে ওপরের হালকা স্তরটি হল সিয়াল। এটি গ্রানাইট শিলা দিয়ে গঠিত। এই স্তরে মহাদেশগুলি গঠিত হওয়ায় এই স্তরকে মহাদেশীয় ভূত্বকও বলা হয়। 

➡️ সিমা: সিয়ালের নীচে সিলিকন (si) এবং ম্যাগনেশিয়াম (Mg) দিয়ে তৈরি স্তরটি হল সিমা। ব্যাসল্ট শিলা দিয়ে গঠিত এই স্তরটি সিয়াল স্তর অপেক্ষা ভারী। মহাসাগরীয় ভূত্বক গঠিত হয় এই স্তর দিয়ে, তাই একে মহাসাগরীয় স্তর বলা হয়। 

➡️ বিযুক্তিরেখা: ভূপৃষ্ঠ থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত যেখানে যেখানে ভূমিকম্পের তরঙ্গের গতিবেগ পরিবর্তিত হয়, সেইসব স্থানকে ভূতত্ত্ববিদরা বিযুক্তিরেখা হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। পৃথিবীর অভ্যন্তরে মােট 5টি বিযুক্তিরেখা চিহ্নিত করা হয়েছে। যেমন— সিয়াল ও সিমা স্তরের মাঝে কনরাড বিযুক্তিরেখা, ভূত্বক ও গুরুমণ্ডলের মাঝে মােহােররাভিসিক বিযুক্তিরেখা, ক্রোফেসিমা ও নিফেসিমার মাঝে রেপিত্তি বিযুক্তিরেখা, গুরুমণ্ডল ও কেন্দ্রমণ্ডলের মাঝে গুটেনবার্গ এবং বিযুক্তিরেখা অন্তঃকেন্দ্রমণ্ডল ও বহিঃকেন্দ্রমণ্ডলের মাঝে লেহম্যান বিযুক্তিরেখা অবস্থিত।

➡️ ক্রোফেসিমা: গুরুমণ্ডলের 30-700 কিমি পর্যন্ত অংশে ক্রোমিয়াম (Cr), লােহা (Fe), সিলিকন (Si) এবং ম্যাগনেশিয়াম (Mg)-এর আধিক্য থাকায় এই স্তরের নাম ক্রোফেসিমা (Cro + Fe + Si + Ma)। 

➡️ নিফেসিমা: ক্রোফেসিমার নীচে গুরুমণ্ডলের 700-2900 কিমি গভীরতা পর্যন্ত অংশে নিকেল (Ni), লােহা (Fe), সিলিকন (Si) এবং ম্যাগনেশিয়াম (Mg)-এর আধিক্য থাকায় এই স্তরের নাম নিফেসিমা (Ni + Fe +Si+ Ma) 

➡️ অ্যাথেনােস্ফিয়ার: শিলামণ্ডলের নীচে এবং গুরুমণ্ডলের ওপরের অংশের সান্দ্র ও নমনীয় স্তরটি হল অ্যাথেনােস্ফিয়ার। 

➡️ শিলামণ্ডল: ভূত্বক ও গুরুমণ্ডলের উপরের অংশ নিয়ে গঠিত স্তরটি শিলামণ্ডল নামে পরিচিত। 

➡️ কেন্দ্রমণ্ডল: ভূত্বক ও গুরুমণ্ডলের পরবর্তী এবং পৃথিবীর কেন্দ্রের চারিদিকে বেষ্টনকারী প্রায় 3500 কিমি পুরু স্তরটির নাম কেন্দ্রমণ্ডল। 

➡️ নিফে: পৃথিবীর কেন্দ্রমণ্ডল অত্যন্ত ভারী নিকেল (Ni) আর লােহা (Fe) দিয়ে তৈরি হয় বলে একে নিফে (Nife) বলে।

➡️ অন্তঃকেন্দ্রমণ্ডল: পৃথিবীর কেন্দ্রের চারিদিকে অবস্থিত যে স্তরটির গভীরতা 5100 কিমি থেকে 6370 কিমি, সেই স্তরটি অন্তঃকেন্দ্রমণ্ডল নামে পরিচিত। 

➡️ বহিঃকেন্দ্রমণ্ডল: অন্তঃকেন্দ্রমণ্ডলের চারিদিকে অবস্থিত যে স্তরটি 2900 কিমি থেকে 5100 কিমি পুরু, সেই স্তরটি বহিঃকেন্দ্রমণ্ডল নামে পরিচিত।

1 ব্যাখ্যামূলক উত্তরভিত্তিক প্রশ্নাবলী: প্রতিটি  প্রশ্নের মান ৫

১ ভূত্বক কাকে বলে? এর বৈশিষ্ট্যগুলি লেখাে।

 উঃ ভূত্বক গুরুমণ্ডলের চারিদিকে যে হালকা ও শক্ত শিলাস্তর গুরুমণ্ডলকে আবরণের মতাে ঘিরে রয়েছে, সেই স্তরটি ভূত্বক (crust) নামে পরিচিত। ভূত্বকের বৈশিষ্ট্য ভূত্বকের বৈশিষ্ট্যগুলি হল— 

➡️ উপাদান: ভূত্বক প্রধানত গ্রানাইট ও ব্যাসল্ট জাতীয় কঠিন শিলা দ্বারা গঠিত। এই স্তরেই সিলিকন, অ্যালুমিনিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম প্রভৃতি হালকা পদার্থ বেশি পরিমাণে উপস্থিত থাকে।

➡️ গভীরতা: সমুদ্রের তলায় ভূত্বক গড়ে 5 কিলােমিটার এবং মহাদেশগুলির তলদেশে গড়ে 60 কিলােমিটার পুরু। সামগ্রিকভাবে ভূত্বকের গভীরতা গড়ে 30 কিলােমিটার। 

➡️ আপেক্ষিক গুরুত্ব: পৃথিবীর তিনটি স্তরের মধ্যে এটি সবচেয়ে হালকা, এই স্তর জলের চেয়ে প্রায় 2-3গুণ ভারী। 

➡️ গঠন: ভূত্বকের উপরের অংশ সিলিকা (Si) ও অ্যালুমিনিয়াম (Al) দিয়ে তৈরি হওয়ায় এর নাম সিয়াল (SIAL) এবং নীচের অংশ সিলিকা (Si) ও ) দিয়ে তৈরি হওয়ায় ৯ অংশের নাম সিমা (SIMA)। এর ঘনত্ব 2.9 গ্রাম/ঘনসেমি।

পৃথিবীর অন্দরমহল অষ্টম শ্রেণী সহায়িকা প্রশ্ন ও উত্তর

২ শিলামণ্ডল বা অশ্মমণ্ডলের বিবরণ দাও।

উঃ শিলামণ্ডল বা অশ্মমণ্ডল সমগ্র ভূত্বক এবং গুরুমণ্ডলের সবচেয়ে ওপরের অংশ নিয়ে গঠিত স্তরটি হল অশ্মমণ্ডল বা শিলামণ্ডল (Lithosphere)। বৈশিষ্ট্য শিলামণ্ডলের বৈশিষ্ট্যগুলি হল— 

➡️ গভীরতা: মহাদেশীয় ভূত্বক, মহাসাগরীয় ভূত্বক এবং গুরুমণ্ডলের উধ্বাংশ নিয়ে অশ্মমণ্ডল গঠিত বলে এর গভীরতা প্রায় 100 কিমি

➡️ উপাদান : অক্সিজেন, সিলিকন, অ্যালুমিনিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, লােহা প্রভৃতি। 

➡️ নামকরণ: গ্রিক শব্দ Lithos’-এর অর্থ “ শিলা’ এবং sphere’-এর অর্থ মণ্ডল। তাই এই স্তরের নাম শিলামণ্ডল বা অশ্বমণ্ডল। 

➡️ উন্নতা: সাধারণত এর বাইরের অংশে উয়তা কম এবং ভিতরের অংশে বেশি। গড়ে প্রতি 1 কিমি গভীরতায় 30° সে তাপমাত্রা বৃদ্ধি ঘটে। 

➡️ আপেক্ষিক গুরুত্ব: এই স্তর জল অপেক্ষা 23 গুণ ভারী।

পৃথিবীর অন্দরমহল অষ্টম শ্রেণী সহায়িকা প্রশ্ন ও উত্তর

৩ কেন আমরা পৃথিবীর অভ্যন্তর সম্পর্কে সরাসরি কোনাে তথ্য পাই না ? 

উঃ পৃথিবীর অভ্যন্তর সম্পর্কে সরাসরি কোনাে তথ্য না পাওয়ার কারণ পৃথিবীর অভ্যন্তরভাগের তাপমাত্রা এত বেশি থাকে যে সেখানে পৌঁছে অভ্যন্তর সম্পর্কে জানা সম্ভব নয়। সাম্প্রতিক উন্নত প্রযুক্তি ও কারিগরি পদ্ধতি ব্যবহার করে এবং ভূকম্পন তরঙ্গের গতিবিধি লক্ষ করে পৃথিবীর ভিতরের মাত্র কয়েক কিমি পর্যন্ত তথ্য জানা সম্ভব হয়েছে। তবে বর্তমানে বিজ্ঞানীরা আরও অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে পৃথিবীর অভ্যন্তরভাগ সম্পর্কে জানার চেষ্টা করছেন। পৃথিবীর ভিতর সম্পর্কে আমরা তেমনভাবে কোনাে তথ্য জানতে পারিনি, কারণ

➡️ পৃথিবীর অভ্যন্তরের সান্দ্র অবস্থা : পৃথিবীর বাইরের অংশটি ঠান্ডায় কঠিন হলেও ভিতরে এখনও অত্যন্ত তাপ এবং চাপে সব কিছু তরল ও সান্দ্র অবস্থায় আছে। 

➡️ সুদীর্ঘ দূরত্ব : পৃথিবীর কেন্দ্র পর্যন্ত যেতে গেলে আমাদের প্রায় 6370 কিমি গভীর গর্ত খুঁড়তে হবে, যা একপ্রকার অসম্ভব। 

➡️ ক্রমবর্ধমান তাপ: ভূপৃষ্ঠ থেকে যতই পৃথিবীর কেন্দ্রের দিকে যাওয়া হবে তাপমাত্রা ততই বাড়তে থাকবে। ওই অতিরিক্ত তাপমাত্রায় কারও পক্ষে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। 

➡️ অক্সিজেনের হ্রাস: ভূপৃষ্ঠ থেকে কেন্দ্রের দিকে গেলে অক্সিজেনের পরিমাণ ক্রমশ কমে যায়।

➡️ প্রবল চাপ: পৃথিবীর উপরিভাগের তুলনায় কেন্দ্রের দিকে চাপ অনেক বেশি হয়।

৪ কেন্দ্রমণ্ডলের বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো।

উঃ কেন্দ্রমণ্ডলের বৈশিষ্ট্যগুলি হল— 

➡️  অবস্থান: এই স্তরটি পৃথিবীর সবথেকে নীচে, পৃথিবীর কেন্দ্রকে বেষ্টন করে অবস্থিত। 

➡️ উপাদান: সর্বাপেক্ষা ভারী উপাদান নিকেল (Ni) ও লােহা (Fe) দিয়ে গঠিত বলে একে নিফে বলা হয়। 

➡️ উষ্ণতা : এই স্তরের গড় তাপমাত্রা সবথেকে বেশি, প্রায় 5000° সে। 

➡️ ঘনত্ব: এই স্তরের গড় ঘনত্ব 9.1-13.1 গ্রাম/ঘনসেমি। 5. উপস্তর: কেন্দ্রমণ্ডলের দুটি উপস্তর আছে, যথা—2900 কিমি 5100 কিমি গভীরতা পর্যন্ত স্তরটি হল বহিঃকেন্দ্রমণ্ডল এবং 5100 কিমি-6370 কিমি বা কেন্দ্র পর্যন্ত বিস্তৃত স্তরটি হল অন্তঃকেন্দ্রমণ্ডল। 

➡️ প্রকৃতি:  অত্যধিক চাপের ফলে অন্তঃকেন্দ্রমণ্ডলের পদার্থগুলি কঠিন অবস্থায় আছে।

➡️ চৌম্বকত্ব: বহিঃকেন্দ্রমণ্ডলে সান্দ্র অবস্থায় থাকা লোহা প্রচন্ড গতিতে ঘোরার ফলে বৈদ্যুতিক ক্ষেত্র তৈরী করেছে। এই বৈদ্যুতিক ক্ষেত্র থেকেই পৃথিবীর চৌম্বকত্ব সৃষ্টি হয়েছে। 

2 সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যামূলক উত্তরভিত্তিক প্রশ্নাবলি: প্রতিটি প্রশ্নের মান ৩

১ ভূতাপশলিতে কী বোঝ ? অথবা, ভূতাপ তাপ কী ?

উঃ ধারণা: পৃথিবীর কেন্দ্র পৃথিবীপৃষ্ঠ অপেক্ষা বহুগুণ বেশি উয়। পৃথিবীর কেন্দ্রের এই তাপ ধীরে ধীরে বাইরের দিকে অর্থাৎ পৃথিবীপৃষ্ঠের দিকে আসতে থাকে। এই তাপশক্তিকে ভূতাপশক্তি বলে। 

ব্যবহার: পৃথিবীর অনেক দেশ ভূতাপ শক্তিকে কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে। এর মধ্যে আইসল্যান্ড তাদের দেশের মােট বিদ্যুৎ চাহিদার প্রায় 30 শতাংশ ভূতাপ শক্তি থেকে উৎপাদন করে। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভূতাপশক্তি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে। প্রকৃতপক্ষে, ভূতাপ শক্তি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করলে জীবাশ্ম জ্বালানির (কয়লা, খনিজ তেল) ব্যবহার কমানাে যায়।

২ পৃথিবীপৃষ্ঠ হালকা পদার্থ দ্বারা গঠিত কেন? 

উঃ  পৃথিবীপৃষ্ঠ হালকা পদার্থ দ্বারা গঠিত হওয়ার কারণ: পৃথিবী যেসব উপাদান দ্বারা গঠিত, তাদের মধ্যে কিছু পদার্থ ভারী এবং কিছু পদার্থ হালকা। আমরা জানি, ভারী পদার্থ নীচে থিতিয়ে পড়ে এবং হালকা পদার্থ ওপরে ভেসে ওঠে। সৃষ্টির সময় পৃথিবী যখন খুব উত্তপ্ত ছিল তখন ঘন অর্থাৎ ভারী পদার্থসমূহ, যেমন—লােহা, নিকেল, ক্রোমিয়াম প্রভৃতি মাধ্যাকর্ষণের টানে পৃথিবীর কেন্দ্রের দিকে চলে যায়। অপরদিকে, অপেক্ষাকৃত হালকা পদার্থসমূহ, যেমন—ম্যাগনেশিয়াম, সিলিকন, অ্যালুমিনিয়াম প্রভৃতি ওপরের দিকে ভেসে ওঠে। ফলস্বরুপ পৃথিবীপৃষ্ঠ এই হালকা পদার্থ দ্বারাই গঠিত হয়েছে।

৩ ভূ-অভ্যন্তরভাগে পদার্থগুলি কোথাও তরল, কোথাও কঠিন ৰা অর্ধতরল অবস্থায় কেন রয়েছে ?

উঃ  ভূ-অভ্যন্তরের পদার্থসমূহের অবস্থার তারতম্যের কারণ: ভূ অভ্যন্তরভাগের বিভিন্ন অংশে পদার্থের ঘনত্ব ও প্রকৃতি বিভিন্ন। ভু অভ্যন্তরভাগে গভীরতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রাও বাড়তে থাকে। আবার একেবারে কেন্দ্রর নিকটবর্তী অংশে পদার্থগুলি অত্যন্ত চাপে থাকায় প্রায় কঠিন পদার্থের মতাে আচরণ করে। এই কারণে কোথাও কঠিন, কোথাও তরল, কোথাও বা অর্ধতরল অবস্থায় পদার্থগুলি আছে। যেমন—গুরুমণ্ডলের উপরিভাগের অ্যাথেনােস্ফিয়ারে পদার্থগুলি অর্ধতরল অবস্থায়, গুরুমণ্ডল এবং বহিঃকেন্দ্রমণ্ডলে তরল অবস্থায় এবং অন্তঃকেন্দ্রমণ্ডলে পদার্থগুলি কঠিন অবস্থায় আছে।

৪  সিয়াল কী?

উঃ  ধারণা : ভূত্বকের ওপরের অংশ প্রধানত সিলিকন (Silicon) এবং অ্যালুমিনিয়াম (Aluminium)—এই দুটি উপাদান দ্বারা গঠিত। ভূত্বকের এই অংশটিই সিয়াল (Si-Al) নামে পরিচিত। 

➡️ অন্য নাম: সাধারণভাবে মহাদেশগুলি সিয়াল ভূত্বকেই গঠিত হওয়ায় এর আর-এক নাম মহাদেশীয় ভূত্বক (Continental Crust)। 

➡️ উপাদান: সিয়াল স্তরটি হালকা এবং প্রধানত গ্রানাইট-জাতীয় শিলা দ্বারা গঠিত। 

➡️ গভীরতা: সিয়াল ভূত্বক কোনাে কোনাে এলাকায় প্রায় 60 কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। 

➡️ ঘনত্ব : আম্লিক শিলা দ্বারা গঠিত হওয়ায় এই স্তরের ঘনত্ব 2.6-2.9 গ্রাম/ঘনসেমি। 

পৃথিবীর অন্দরমহল অষ্টম শ্রেণী সহায়িকা প্রশ্ন ও উত্তর

৫ সিমা কী?

উঃ  ধারণা: ভূ-ত্বকের নীচের অপেক্ষাকৃত ভারী অংশ প্রধানত সিলিকন (Silicon) এবং ম্যাগনেশিয়াম (Magnesium)-এই দুই উপাদান দ্বারা গঠিত। তাই ভূত্বকের এই অংশটিকে সিমা (Si-Ma) বলে। 

➡️ অন্য নাম: সমুদ্রের তলদেশের সামান্য পলিস্তর বাদ দিয়ে বাকি এলাকা এই সিমা ভূত্বক দ্বারা গঠিত হওয়ায় এর আর-এক নাম মহাসাগরীয় ভূত্বক (oceanic crust)। 

➡️ উপাদান: এই স্তর ভারী এবং প্রধানত ব্যাসল্ট-জাতীয় ক্ষারকীয় শিলা রাি গঠিত।

➡️ গভীরতা: এই স্তরটি মাত্র 5-10 কিমি গভীর।

➡️ ঘনত্ব: এই স্তরের ঘনত্ব 2.98গ্রাম/ঘনসেমি।

৬ বিযুক্তিরেখা কীভাবে নির্ণয় করা হয় এবং এর দ্বারা কী জানা যায় ?

উঃ নির্ণয়ের পদ্ধতি : ভূপৃষ্ঠ থেকে পৃথিবীর অভ্যন্তরভাগ বা কেন্দ্র পর্যন্ত ভূমিকম্পের তরঙ্গের গতিবিধি লক্ষ করা হলে তরঙ্গের গতিবেগ যেখানে যেখানে পরিবর্তিত হয়, সেই স্থানগুলিকেই ভূতত্ত্ববিদরা এক-একটি বিযুক্তিরেখা হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। 

➡️ বিযুক্তিরেখার গুরুত্ব : বিযুক্তিরেখায় ভূমিকম্পের তরঙ্গের গতিবেগ পরিবর্তিত হয়।  

৭ ভূঅভ্যন্তরের ম্যান্টল বা গুরুমণ্ডল সম্পর্কে কী জান?

উঃ  অবস্থান: গুরুমণ্ডল বা ম্যান্টল স্তরটি ভূত্বক ও কেন্দ্রমণ্ডলের মধ্যবর্তী স্তর। 

➡️ উপবিভাগ: গুরুমণ্ডলের দুটি উপবিভাগ। যথা—[i] অন্তঃগুরুমণ্ডল ও [i] বহিঃগুরুমণ্ডল। অন্তঃগুরুমণ্ডলে নিকেল (Ni), লােহা (Fe), সিলিকন (Si) ও ম্যাগনেশিয়াম (Mg) বৈশি থাকায় একে নিফেসিমা (Ni-Fe-Si-Ma) বলে। বহিঃগুরুমণ্ডলে ক্রোমিয়াম (Cr), লােহা (Fe), সিলিকন (Si) ও ম্যাগনেশিয়াম (Mg) বেশি আছে বলে এর নাম ক্রোফেসিমা (Cro-Fe-Si-Ma)

➡️ গভীরতা: এই স্তরটি ভূত্বকের নীচে প্রায় 2900 কিলােমিটার গভীরতা পর্যন্ত বিস্তৃত। এর মধ্যে 30-700 কিলােমিটার পর্যন্ত অংশে ক্রোফেসিমা এবং 700-2900 কিলােমিটার পর্যন্ত অংশে নিফেসিমা বিস্তৃত। 

➡️ উষ্ণতা : গুরুমণ্ডলের গড় উয়তা প্রায় 2000 °সে – 3000 °সে। 

➡️ ঘনত্ব: গুরুমণ্ডলের ঘনত্ব 3.4-5.6 গ্রাম/ঘনসেমি। 

৮ অ্যাথেনােস্ফিয়ার সম্পর্কে টীকা লেখাে। 

উঃ  অ্যাথেনােস্ফিয়ার: অ্যাথেনােস্ফিয়ার শব্দটি গ্রিক শব্দ ‘অ্যাস্থেনেস’ থেকে এসেছে, যার অর্থ দুর্বল। অর্থাৎ অ্যাস্থেনােস্ফিয়ার শব্দের অর্থ দুর্বল স্তর। 

অবস্থান: অ্যাথেনােস্ফিয়ার হল শিলামণ্ডলের ঠিক নীচে অবস্থিত গুরুমণ্ডলের ওপরের সান্দ্র ও নমনীয় স্তর। মনে করা হয় 100 কিমি থেকে 250 কিমি গভীরতা পর্যন্ত অঞ্চলটি বিস্তৃত। মধ্য-সামুদ্রিক শৈলশিরা

বৈশিষ্ট্য: ➡️ অত্যধিক তাপ ও চাপে অ্যাথেনােস্ফিয়ারের শিলা অর্ধ তরল বা সান্দ্র অবস্থায় রয়েছে। ➡️ অ্যাথেনােস্ফিয়ারের ওপর ভূত্বকের পাতগুলি ভাসমান বা সচল অবস্থায় রয়েছে। ➡️ এই স্তরেই পরিচলন স্রোতের সৃষ্টি হয়। এই ঘােতের ফলে ভূগর্ভের তাপ ওপরে উঠে আসে। ➡️ ভূকম্প তরঙ্গ এই স্তরের মধ্য দিয়ে ধীর গতিতে প্রবাহিত হয়।

পৃথিবীর অন্দরমহল অষ্টম শ্রেণী সহায়িকা প্রশ্ন ও উত্তর

৯ পৃথিবীর অভ্যন্তর সম্বন্ধে ধারণা তৈরি করতে কী কী বিষয় জানা দরকার ?

উঃ পৃথিবীর অভ্যন্তর সম্পর্কে ধারণা: পৃথিবীর অভ্যন্তর সম্পর্কে ধারণা তৈরি করতে যে যে বিষয় সম্পর্কে জানা দরকার, সেগুলি হল  

➡️ স্তর: পৃথিবীর অভ্যন্তর একাধিক পৃথক স্তরে বিভক্ত। 

➡️ ভারী পদার্থের অবস্থান: অপেক্ষাকৃত ভারী পদার্থ নীচের দিকে অর্থাৎ পৃথিবীর কেন্দ্রের দিকে থিতিয়ে পড়ে। 

➡️ হালকা পদার্থের অবস্থান: তুলনায় হালকা পদার্থ বা উপাদান ভূপৃষ্ঠের কাছাকাছি উঠে আসে। 

➡️ প্রাপ্ত তথ্য: ভূত্বক বা শিলামণ্ডল সম্বন্ধে যতটা জানা গেছে, সেই তুলনায় গুরুমণ্ডল ও কেন্দ্রমণ্ডল সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানা সম্ভব হয়নি। 

➡️ ভূকম্প তরঙ্গের গতিবিধি: ভূকম্প তরঙ্গের গতিবিধি সম্পর্কিত গবেষণা থেকে পৃথিবীর অভ্যন্তর সম্পর্কে সঠিক ধারণা পাওয়া যায়।

10 পৃথিবীর অন্দরমহলের গঠন ও উপাদান কী রকম? 

উঃ পৃথিবীর অন্দরমহলের গঠন ও উপাদান:ভূবিজ্ঞানীরা পৃথিবীর অন্দরমহলকে প্রধানত 3টি ভাগে ভাগ করেছেন। যথা—কেন্দ্রমণ্ডল, গুরুমণ্ডল ও ভূত্বক। পৃথিবীর অন্দরমহলের বিভিন্ন অংশের উপাদান ও গঠন হল —-

➡️ কেন্দ্রমণ্ডল (Core): ভূ-অভ্যন্তরে 2900 কিমি থেকে 6370 কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে কেন্দ্রমণ্ডল। [i] তাপমাত্রা: এই স্তরের গড় তাপমাত্রা 5000°সে। [ii] ঘনত্ব: এই স্তরের গড় ঘনত্ব 9.1-13.1 গ্রাম/ঘনসেমি। [iii] উপবিভাগ: কেন্দ্রমণ্ডলের দুটি উপবিভাগ, যথা—[a] অন্তঃকেন্দ্রমণ্ডল এবং [b] বহিঃকেন্দ্রমণ্ডল। [iv] উপাদান: কেন্দ্রমণ্ডল নিকেল ও লােহা দিয়ে গঠিত। 

➡️ গুরুমণ্ডল (Mantle) : ভূ-অভ্যন্তরে 30 কিমি থেকে 2900 কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত স্তরটি হল গুরুমণ্ডল। [i] তাপমাত্রা: এই স্তরের গড় তাপমাত্রা 2000° সে-3000° সে। [ii] ঘনত্ব: এই স্তরের গড় ঘনত্ব 3.4-5.6 গ্রাম/ঘনসেমি। [iii ] উপবিভাগ: গুরুমণ্ডল দুটি ভাগে বিভক্ত–[a] ক্রোফেসিমা এবং [b] নিফেসিমা। [iv] উপাদান; এই করটি নিকেল, লােহা, ক্রোমিয়াম, সিলিকন, ম্যাগনেশিয়াম দিয়ে গঠিত।

➡️ ভূত্বক (Crust) : ভূ অভ্যন্তরে গড়ে 30 কিমি পর্যন্ত এই স্তর বিস্তৃত। [i] ঘনত্ব: এই স্তরের ঘনত্ব 2.9 গ্রাম/ঘনসেমি। [ii] উপবিভাগ: ভূত্বক দুটি ভাগে বিভক্ত—[a] সিয়াল এবং [b] সিমা। [ii] উপাদান: এই স্তর সিলিকন, অ্যালুমিনিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, লােহা, অক্সিজেন, ক্যালশিয়াম প্রভৃতি দিয়ে গঠিত।

3 সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্নাবলী:প্রতিটি প্রশ্নের মান ২

১ পৃথিবীর কেন্দ্র পর্যন্ত দেখতে গেলে কত গভীর গর্ত খুঁড়তে হবে? {সারগাছি রামকৃয় মিশন হাই স্কুল (এইচএস)] এখনও পর্যন্ত মানুষ পৃথিবীর অভ্যন্তরে কতদূর পর্যন্ত যেতে পেরেছে? 

উঃ পৃথিবীর কেন্দ্র পর্যন্ত দেখতে গেলে পৃথিবীর ব্যাসার্ধ অর্থাৎ 6370 কিলােমিটার পর্যন্ত গর্ত খুঁড়তে হবে।এখনও পর্যন্ত মানুষ উত্তর-পশ্চিম রাশিয়ার কোলা উপদ্বীপে 12কিলােমিটার গভীর গর্ত খুঁড়তে পেড়েছে। এটি হল পৃথিবীর গভীরতম কৃত্রিম গর্ত।

পৃথিবীর অন্দরমহল অষ্টম শ্রেণী সহায়িকা প্রশ্ন ও উত্তর

২ পৃথিবীর ভেতরটা কেমন তা কতটা জানা সম্ভব হয়েছে?

উঃ সরাসরিভাবে বা প্রত্যক্ষভাবে পৃথিবীর অভ্যন্তরভাগে পৌঁছােনাে সম্ভব নয়। তবে বিজ্ঞানের কিছু শাখা, যেমন—ভূকম্পনবিদ্যা, গণিত, পদার্থবিদ্যা ও জ্যোতির্বিজ্ঞানের সাহায্যে পৃথিবীর অভ্যন্তরভাগের প্রধান উপাদান, ঘনত্ব, তাপমাত্রা, পদার্থসমূহের প্রকৃতি প্রভৃতি সম্পর্কে অনেকটাই জানা সম্ভব হয়েছে।

৩ ম্যাগমা কাকে বলে? অথবা, ম্যাগমা কী ?

উঃ সংজ্ঞা: ভূগর্ভের মধ্যে প্রচণ্ড চাপ ও উয়তার কারণে ভূ-অভ্যন্তরের সকল পদার্থসমূহ গলিত বা অর্ধগলিত অবস্থায় আছে। এই গলিত বা অর্ধগলিত পদার্থসমূহকে ম্যাগমা বলে। বৈশিষ্ট্য: ম্যাগমার মধ্যে বিভিন্ন গ্যাস ও বাম্প মিশ্রিত অবস্থায় থাকে।

৪ লাভা কাকে বলে ? অথবা, লাভা কী ?

উঃ সংজ্ঞা: ভূগর্ভের গলিত উত্তপ্ত অর্ধতরল ম্যাগমা যখন ভূপৃষ্ঠের দুর্বল অংশ বা ফাটল দিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসে, তখন তাকে লাভা (lava) বলে। বৈশিষ্ট্য: লাভা সঞ্চিত হয়ে ভূপৃষ্ঠে পর্বত, মালভূমি প্রভৃতি ভূমিরূপ গঠিত হয়।

পৃথিবীর অন্দরমহল অষ্টম শ্রেণী সহায়িকা প্রশ্ন ও উত্তর

  ৫ আগ্নেয়গিরির মুখ বা জ্বালামুখ বলতে কী বােঝ?

উঃ ধারণা: আগ্নেয়গিরির সবচেয়ে উঁচু অংশ যেখান থেকে লাভা নির্গত হয় সেই অংশটিকে আগ্নেয়গিরির মুখ বা জ্বালামুখ বলে। বৈশিষ্ট্য: সাধারণত সব আগ্নেয়গিরিতে একটি প্রধান জ্বালামুখ এবং একাধিক গৌণ জ্বালামুখ থাকে।

পৃথিবীর অন্দরমহল অষ্টম শ্রেণী সহায়িকা প্রশ্ন ও উত্তর

৬ ভারতের কোথায় কোথায় ভূতাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র আছে জানার চেষ্টা করাে। 

উঃ ভারতে ভূতাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের আঞ্চলিক অবস্থান: ভারতের কয়েকটি ভূতাপ বিদ্যুৎশক্তি উৎপাদক অঞ্চল হল— (i) হিমাচল প্রদেশের মণিকরণ, (ii)  লাডাকের পুগা উপত্যকা, (iii)  গুজরাটের কাম্বে অববাহিকা, ও (iv) উত্তরাখণ্ডের তপােবন প্রভৃতি। 

৭ উষ্ণ  প্রস্রবণে ভূগর্ভ থেকে ফুটন্ত জল বের হয় কেন?  

উঃ উষ্ণ  প্রস্রবণ থেকে ফুটন্ত জল বেরিয়ে আসার কারণ : ভূ-অভ্যন্তরে গভীরতা বৃদ্ধির সাথে সাথে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। তাই পৃথিবীর ভৌমজল ভূতাপের সংস্পর্শে এসে গরম হয়ে ফুটতে শুরু করে। ওই ফুটন্ত জলই কোনাে দুর্বল স্থান বা ফাটলের মধ্য দিয়ে ভূপৃষ্ঠে বেরিয়ে এসে উয় প্রস্রবণের সৃষ্টি করে।

৮ ভারতের কোথায় উষ্ণ  প্রস্রবণ দেখা যায় ?

উঃ ভারতের  উষ্ণ  প্রস্রবণের অবস্থান: ভারতে পশ্চিমবঙ্গের বক্রেশ্বর, ঝাড়খণ্ডের রাজগির, ছত্তিশগড়ের তাতাপানি, হিমাচল প্রদেশের মনিকরণ, লাডাকের পুগা ভ্যালি ইত্যাদি স্থানে উয় প্রস্রবণ দেখা যায়।

৯ ঘনত্ব (Density) কী ?

উঃ ধারণা: একক আয়তনের পদার্থের মধ্যে যে পরিমাণ ভর আছে, সেই পরিমাণকেই ওই পদার্থের ঘনত্ব বলে। অর্থাৎ, প্রতি ঘনসেমি জায়গায় পদার্থের ভর কতটা, সেটিই ওই পদার্থের ঘনত্ব। বৈশিষ্ট্য: কোনাে পদার্থের অণু ও পরমাণুগুলি কত কাছাকাছি বা দূরে অবস্থিত তার ধারণা পাওয়া যায় পদার্থটির ঘনত্ব জানা থাকলে।

১০ পৃথিবীর অন্দরমহল বলতে কী বােঝ?

উঃ ধারণা : পৃথিবীর অভ্যন্তরভাগই হল পৃথিবীর অন্দরমহল। ভূমিকম্পের তরঙ্গের গতিবিধি ও আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ থেকে বেরিয়ে আসা লাভা পর্যবেক্ষণ করে বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর অন্দরমহল সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করেন। শ্রেণিবিভাগ: পৃথিবীর অন্দরমহলের তিনটি অংশ রয়েছে — (i) কেন্দ্রমণ্ডল, (ii) গুরুমণ্ডল এবং (iii)  ভূত্বক।

১১ পৃথিবীর  অভ্যন্তর সম্পর্কে কীভাবে জানা গেছে? অথবা, পৃথিবীর ভিতরটা সম্পর্কে মানুষ যতটা জেনেছে, সেটুকু জানল কীভাবে? 

উঃ পৃথিবীর অভ্যন্তরের ভর সম্পর্কে জানার উপায়: বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর অভ্যন্তর সম্পর্কে জানার জন্য ভূকম্পন তরঙ্গের প্রকৃতি, তরঙ্গের গতিবিধি, অগ্নদগমজনিত বিভিন্ন ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া এবং অগ্নগমের ফলে উদ্ভূত পদার্থের বিশ্লেষণ করেছেন। এর থেকেই তারা পৃথিবীর অভ্যন্তরের তিনটি স্তর—ভূত্বক, গুরুমণ্ডল এবং কেন্দ্রমণ্ডলের অবস্থান এবং তাদের প্রকৃতি সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

১২ কেন আমরা পৃথিবীর কেন্দ্র পর্যন্ত যেতে পারি না?

উঃ পৃথিবীর কেন্দ্র পর্যন্ত যেতে না পারার কারণ : পৃথিবীর যতই অভ্যন্তর ভাগের দিকে যাওয়া যায়, তাপমাত্রা ততই বাড়তে থাকে। প্রতি 33 মিটার গভীরতার প্রায় 10 সে হারে তাপমাত্রা বেড়ে যায়। সুতরাং পৃথিবীর কেন্দ্র (637 কিমি) পর্যন্ত তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় 6000° সেএ পৌছােয়। পৃথিবীর অভ্যন্তরভাগ ওই তাপমাত্রায় অর্ধতরল অবস্থায় আছে। সুতরাং কোনােভাবেই পৃথিবীর কেন্দ্র পর্যন্ত আমাদের পৌছােনাে সম্ভব নয়।

১৩ পৃথিবীর কেন্দ্রের কাছে থাকা পদার্থগুলির ঘনত্ব বেশি হয় কেন? 

উঃ পৃথিবীর কেন্দ্রের কাছে থাকা পদার্থগুলির ঘনত্ব বেশি হওয়ার কারণ: পৃথিবী যখন উত্তপ্ত তরল অবস্থায় ছিল, সেইসময় অপেক্ষাকৃত ভারী পদার্থগুলি নীচের দিকে বা পৃথিবীর কেন্দ্রের দিকে থিতিয়ে পড়ে। তুলনায় হালকা পদার্থগুলি ওপরের দিকে বা ভূপৃষ্ঠের কাছাকাছি চলে আসে। এজন্য কেন্দ্রের কাছাকাছি থাকা পদার্থগুলি বেশি ঘনত্বের হয়।

১৫ ভূত্বক বলতে কী বােঝ?

উঃ ধারণা: পৃথিবীর সর্বাপেক্ষা ওপরে গড়ে প্রায় 30 কিমি পুরু যে কঠিন, হালকা ও পাতলা শিলাস্তরটি পৃথিবীকে বেষ্টন করে আছে, তাকে ভূত্বক (crust) বলে। উপবিভাগ: শিলার ঘনত্বের ভিত্তিতে ভূত্বক দুটি উপবিভাগে বিভক্ত—(i)  সিলিকন ও অ্যালুমিনিয়াম দ্বারা গঠিত সিয়াল এবং (ii)  সিলিকন ও ম্যাগনেশিয়াম দ্বারা গঠিত সিমা।

১৫ ক্রোফেসিমা ও নিফেসিমা কী?  অথবা, গুরুমণ্ডলের শ্রেণিবিভাগ করাে।

উঃ  ক্রোফেসিমা (Cro + Fe + Si + Ma): গুরুমণ্ডলের 30 থেকে 700 কিমি পর্যন্ত অংশে ক্রোমিয়াম (Cr), লােহা (Fe), সিলিকন (Si) এবং ম্যাগনেশিয়াম (Mg)-এর প্রাধান্য থাকায় এই স্তরটির নাম ক্রোফেসিমা। নিফেসিমা (Ni + Fe + Si + Ma) : গুরুমণ্ডলের 700 থেকে 2900 কিমি পর্যন্ত অংশে নিকেল (Ni), লােহা (Fe), সিলিকন (Si) ও ম্যাগনেশিয়াম (Mg)-এর প্রাধান্য থাকায় এই স্তরের নাম নিফেসিমা ।

১৬ শিলামণ্ডল বলতে কী বােঝ?  অথবা, পৃথিবীর কোন্ কোন্ অংশ নিয়ে শিলামণ্ডল গঠিত হয়েছে? 

উঃ ধারণা: সমগ্র ভূত্বক এবং গুরুমণ্ডলের ওপরের অংশ নিয়ে গড়ে উঠেছে শিলামণ্ডল। বৈশিষ্ট্য: (i)  শিলামণ্ডলের গভীরতা প্রায় 100 কিমির কাছাকাছি।(ii)  শিলামণ্ডল নানা খনিজ পদার্থে সমৃদ্ধ এবং এর একেবারে ওপরে রয়েছে মাটি।

১৭ নিফে বলতে কী বােঝ?

উঃ ধারণা: পৃথিবীর কেন্দ্রমণ্ডল অত্যন্ত ভারী নিকেল (Ni) ও লােহা (Fe) দিয়ে গঠিত হওয়ায় কেন্দ্রমণ্ডলকে নিফে (Ni-Fe) বলা হয়। বৈশিষ্ট্য: এই স্তরের গড় তাপমাত্রা প্রায় 5000° সে। @ এই স্তরের গড় ঘনত্ব প্রায় 9.1 থেকে 13.1 গ্রাম/ঘনসেমি।

১৮ পৃথিবীর অভ্যন্তরের বিভিন্ন স্তরের মধ্যে ঘনত্বের পার্থক্য লক্ষ করা যায় কেন? 

উঃ পৃথিবীর অভ্যন্তরের বিভিন্ন স্তরের মধ্যে ঘনত্বের পার্থক্য হওয়ার কারণ: ভূপৃষ্ঠের গড় ঘনত্ব 2.6-3.3 গ্রাম/ঘনসেমি, গুরুমণ্ডলের গড় ঘনত্ব 3.4-5.6 গ্রাম/ঘনসেমি এবং কেন্দ্রমণ্ডলের গড় ঘনত্ব 9.1-13.1 গ্রাম ঘনসেমি। ঘনত্বের এরকম পার্থক্যের মূল কারণ হল— (i) পৃথিবীর আবর্তন: পৃথিবীর আবর্তনের জন্য খুব ঘন ও ভারী পদার্থগুলি পৃথিবীর কেন্দ্রে জমা হয় এবং হালকা পদার্থগুলি বাইরের দিকে অবস্থান করে। (ii) পৃথিবীর শীতলীকরণ: পৃথিবী ক্রমাগত ঠান্ডা হওয়ার জন্য অপেক্ষাকৃত ভারী পদার্থগুলি ধীরে ধীরে কেন্দ্রের দিকে থিতিয়ে পড়ে এবং হালকা পদার্থগুলি ওপরে ভেসে ওঠে।

১৯ পৃথিবীর বাইরের আর ভিতরের সম্পর্কে তুমি জান –তােমার কোন্ টা  বেশি পছন্দের এবং কেন? 

উঃ আমার পছন্দের স্তর ও পছন্দের কারণ : পৃথিবীর বাইরের স্তরটি আমার পছন্দের। কারণ—পৃথিবীর বাইরের অংশে মাটি, জলভাগ এবং বাতাস আছে। এগুলি থাকার জন্য উদ্ভিদ ও প্রাণী সহ সকল জীবজগৎ সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন পাহাড়-পর্বত, মালভূমি, মরুভূমি, সমভূমি, বনভূমি প্রভৃতি প্রাকৃতিক নানান বৈচিত্র্য দেখতে পাওয়া যায় পৃথিবীর উপরিভাগে। এখানেই আমরা বসবাস করি এবং এখানে থেকেই আমরা পৃথিবীর অভ্যন্তরভাগ থেকে খনিজ পদার্থ এবং ভূতাপ শক্তি সংগ্রহ করতে পারি।

২০ ভূ-অভ্যন্তরের বিভিন্ন বিযুক্তিগুলি কী কী?

উঃ ভূ-অভ্যন্তরের বিযুক্তিসমূহ: ভূ-অভ্যন্তরে সাধারণত পাঁচটি বিযুক্তির উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে। যেমন—(i) কনরাড বিযুক্তি: ভূত্বকের সিয়াল ও সিমা স্তরের সংযােগস্থলে অবস্থিত। (ii) মােহােবরাভিসিক বিযুক্তি: গুরুমণ্ডল ও ভূত্বকের মিলনস্থলে অবস্থিত। (iii) রেপিত্তি বিযুক্তি: গুরুমণ্ডলের ক্রোফেসিমা ও নিফেসিমা স্তরের মাঝে অবস্থিত। (iv) গুটেনবার্গ বিযুক্তি: কেন্দ্রমণ্ডল ও গুরুমণ্ডলের মাঝে অবস্থিত। (v ) লেহম্যান বিযুক্তি: কেন্দ্রমণ্ডলের অন্তঃকেন্দ্রমণ্ডল ও বহিঃকেন্দ্রমণ্ডলের মাঝে অবস্থিত।

২১ পৃথিবীর কোন্ স্তর বৈদ্যুতিক ক্ষেত্র তৈরি করেছে ও সেখানে কী হচ্ছে ?

উঃ পৃথিবীর অভ্যন্তরের বহিঃকেন্দ্রমণ্ডল স্তরটি বৈদ্যুতিক ক্ষেত্র সৃষ্টি করেছে। এই স্তরে সান্দ্র অবস্থায় থাকা লােহা প্রচণ্ড গতিতে ঘুরতে থাকে। ফলে এই স্তরে শক্তিশালী বৈদ্যুতিক ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। এই বৈদ্যুতিক ক্ষেত্র থেকেই সৃষ্টি হয়েছে পৃথিবীর চৌম্বকত্ব।

২২ অ্যাথেনােস্ফিয়ারকে বিক্ষুদ্ধমণ্ডল বলে কেন?

উঃ অ্যাথেনােস্ফিয়ারকে বিক্ষুন্ধমণ্ডল বলার কারণ: অ্যাথেনােস্ফিয়ার নমনীয় ও স্থিতিস্থাপক। এই স্তরেই ভূ-অভ্যন্তরের পদার্থসমূহ তাপ এবং চাপের হ্রাস বৃদ্ধিজনিত কারণে অর্ধতরল অবস্থায় থাকে, একে ম্যাগমা বলে। ওই ম্যাগমা ভূপৃষ্ঠের দুর্বল ফাটল পথে বাইরে বেরিয়ে এসে অগ্ন্যুৎপাত ঘটায়। অগ্ন্যুৎপাতের কারণে ভূমিরূপেরও পরিবর্তন হয়। তাই এই স্তরটিকে বিক্ষুদ্ধমণ্ডল বলে।

বহুবিকল্প উত্তরভিত্তিক প্রশ্নাবলি: প্রতিটি প্রশ্নের মান ১

1. পৃথিবীর ব্যাসার্ধ হল— (1) 6720 কিমি (2) 6370 কিমি (3) 6470 কিমি

2. পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে কেন্দ্রের গভীরতা প্রায়—(1) 4000 কিমি (2) 4480 কিমি (3) 6370 কিমি (4) 7310 কিমি 

3. পৃথিবীপৃষ্ঠের গড় তাপমাত্রা—(1) 10°সে (2) 12°সে (3) 15°সে

4. পৃথিবীর গভীরতম খনিটি হল—(1)  কয়লার খনি (2) সােনার খনি (3)তামার খনি (4) হিরের খনি

5. পৃথিবীর গভীরতম কৃত্রিম গর্তটি হল—(1) রবিনসন ডিপ (2) কোলা (3)  মারিয়ানা খাত (4) কোনােটিই নয়

6. অগ্ন্যুৎপাতের মাধ্যমে নির্গত অর্ধগলিত সান্দ্র পদার্থ আসলে—(1) ম্যাগমা (2)  লাভা (3) খনিজ তরঙ্গ

7. পৃথিবীর আনুমানিক বয়স যত কোটি বছর—(1)  220 (2) 370 (3) 460 (4) 550

8. উষ্ণ প্রস্রবণের জল গরম হয়—(1)  ভূতাপ শক্তির জন্য (2) সূর্যের আলাে থেকে তাপ গ্রহণ করে (3) সরাসরি লাভার সংস্পর্শে

9. ভূপৃষ্ঠের গড় ঘনত্ব—(1) 2.6-3.3 গ্রাম/ঘনসেমি (2) 5.0-5.5 গ্রাম/ঘনসেমি (3)11.0 গ্রাম/ঘনসেমি (4) 13-14 গ্রাম/ঘনসেমি

10. পৃথিবীর কেন্দ্রের কাছে পদার্থের গড় ঘনত্ব প্রায়—(1)10 গ্রাম/ঘনসেমি (2) 11 গ্রাম/ঘনসেমি (3) 20 গ্রাম/ঘনসেমি (4) 15 গ্রাম/ঘনসেমি

11. পৃথিবীর গড় ঘনত্ব—(1)  5.52 গ্রাম/ঘনসেমি (2)  5.5 গ্রাম/ঘনসেমি (3) 5.75 গ্রাম/ঘনসেমি (4) 6.01 গ্রাম/ঘনসেমি

12. চাপ বাড়লে পদার্থের ঘনত্ব—(1) বাড়ে (2)  কমে (3) একই থাকে

13. ভূ-অভ্যন্তর সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়—(1) ভূকম্পন তরঙ্গ দ্বারা (2) শব্দতরঙ্গ দ্বারা (3) ভূমিরূপের পার্থক্য দ্বারা 

14. ভূকম্পনের কেন্দ্র থেকে প্রথমে যে তরঙ্গ ভূপৃষ্ঠে পৌঁছােয়, তা হল—(1)P তরঙ্গ (2) S তরঙ্গ (3) Lরঙ্গ (4) M তরঙ্গ

15. পৃথিবীর কঠিন বহিরাবরণকে বলে—(1) পাত (2) নিফে (3) ভূপৃষ্ঠ (4) মাটি

16. পৃথিবীর সৃষ্টি থেকে বর্তমানকাল পর্যন্ত পরিসরকে বলে—(1)ভূতাত্ত্বিক কাল (2) ভূমিরূপগত কাল (3) ভৌগােলিক কাল

17. পৃথিবীর গভীরে মানুষ সশরীরে যতটা আজ অবধি পৌঁছােতে পেরেছে তা পৃথিবীর মােট গভীরতার—(1)শতাংশ (2) এক শতাংশ (3)এক শতাংশও নয়।

18. পৃথিবীর অভ্যন্তরভাগের তাপমাত্রা 1° সে করে বাড়ে প্রতি—(1) 31 মিটার (2) 33 মিটার (3) 35 মিটার গভীরতায়

19. ভূ-অভ্যন্তরের গলিত সান্দ্র পদার্থকে বলা হয়—(1)লাভা (2) ম্যাগমা (3) ছাই

20. পৃথিবীর কেন্দ্রের কাছে পদার্থের গড় ঘনত্ব গ্রাম/ঘন সেমি-তে—(1) 10 (2) 11 (3) 12

21. সবচেয়ে দ্রুতগামী ভূমিকম্প তরঙ্গ হল- (1) P তরঙ্গ (2) S তরঙ্গ (3) L তরঙ্গ

22. ভূপৃষ্ঠের সবচেয়ে বেশি ক্রিয়াশীল তরঙ্গ হল—(1) P তরঙ্গ (2) S তরঙ্গ (3) L তরঙ্গ

23.’ Journey to the Centre of the Earth’—বইটির লেখকের নাম—(1) আগাথা ক্রিস্টি (2) জুল ভার্নে (3) মুল্ক  রাজ আনন্দ
24. মহাসাগরের নীচে ভূত্বক গড়ে—(1) 5 কিমি (2) 30 কিমি (3) 60 কিমি গভীরতার অবস্থিত।

25. মহাদেশের নীচে ভূত্বকের গড় গভীরতা—(1) 5 কিমি (2) 10 কিমি (3) 30 কিমি (4) 60 কিমি

26. সিয়াল কোন শিলা দ্বারা গঠিত?—(1) গ্রানাইট (2) ব্যাসল্ট (3) ডডালেরাইট 

27. পৃথিবীর মহাসাগরগুলির তলদেশ—(1) সিলিকন ও ম্যাগনেশিয়াম দিয়ে গঠিত (2)  লােহা ও নিকেল দিয়ে গঠিত (3) লােহা ও ম্যাগনেশিয়াম দিয়ে গঠিত 

28. সিয়াল ও সিমা স্তরের মাঝে—(1) গুটেনবার্গ বিযুক্তিরেখা (2) কনরাড বিযুক্তিরেখা (3) মােহাে বিযুক্তিরেখা
(4)লেহম্যান বিযুক্তিরেখা দেখা যায়

29. মহাসাগরীয় ভূত্বক যে শিলা দ্বারা গঠিত সেটি হল—(1) গ্রাফাইট (2) ব্যাসল্ট (3) গ্রানাইট (4) ডােলেরাইট

30. ভূত্বকের কত শতাংশ জুড়ে আছে অক্সিজেন?—(1) 40 শতাংশ (2) 45 শতাংশ (3) 47 শতাংশ( 4).50 শতাংশ

31. ক্রোফেসিমা ও নিফেসিমার মধ্যে অবস্থিত বিযুক্তিরেখাটি হল—(1) লেহম্যান (2) রেপিত্তি (3) কনরাড

32. ভূত্বক আর গুরুমণ্ডলের মাঝে আছে—(1)  কনরাড বিযুক্তি (2) মােহােরােভিসিক বিযুক্তি (3) গুটেনবার্গ বিযুক্তি

33. শিলামণ্ডলের নীচে গুরুমণ্ডলের ওপরের অংশে বিশেষ স্তরটি হল— (1)অ্যাসথেনােস্ফিয়ার (2) ক্রোফেসিমা (3)নিফেসিমা 

34. ভূ-অভ্যন্তরের দুর্বল স্তরটি হল— (1) লিথােস্ফিয়ার (2) অ্যাথেনােস্ফিয়ার (3) ম্যান্টল (4)  কোর

35. কেন্দ্রমণ্ডলে লােহা ও নিকেলের প্রাধান্য থাকায় এর নাম ——(1) নিফে (2) কোর (3) ম্যান্টল

36. NiFe হল আসলে —— (1) শিলামণ্ডল (2) কেন্দ্রমণ্ডল (3)বারিমণ্ডল

37. কেন্দ্রমণ্ডলের গড় তাপমাত্রা প্রায়——(1) 5000° সে (2) 5600° সে (3) 6800° সে

38. গুরুমণ্ডল ও কেন্দ্রমণ্ডলের মাঝে আছে— (1)কনরাড বিযুক্তি (2) গুটেনবার্গ বিযুক্তি (3) রেপিত্তিবিযুক্তি

39. বহিঃকেন্দ্রমণ্ডল ও অন্তঃকেন্দ্রমণ্ডলকে বিচ্ছিন্ন করেছে— (1) কনরাড বিযুক্তিরেখা (2) গুটেনবার্গ বিযুক্তিরেখা (3) লেহম্যান বিযুক্তিরেখা 

40. অন্তঃকেন্দ্রমণ্ডলের গভীরতা—(1) 5100-6370 কিমি (2) 2900-5100 কিমি (3)700-2900 কিমি

41. পৃথিবীর মােট আয়তনের ৪4% অধিকার করে আছে— (1) কেন্দ্রমণ্ডল (2)গুরুমণ্ডল (3) শিলামণ্ডল

42. পৃথিবীর অন্দরমহল বলতে বােঝায়— (1) ভূপৃষ্ঠকে (2) ভূগর্ভকে (3) অন্তরিক্ষকে 

43. পৃথিবীর কেন্দ্রের চাপ ভূত্বক অপেক্ষা—(1)10 লক্ষ গুণ ভারী (2) 30 লক্ষ গুণ ভারী (3) 40 লক্ষ গুণ ভারী 

44. এদের মধ্যে সবচেয়ে পুরু স্তরটি হল—(1) ভূত্বক (2) গুরুমণ্ডল (3) কেন্দ্রমণ্ডল

45. গুরুমণ্ডলের উধ্বস্তরে যে খনিজের উপস্থিতি তুলনামূলক বেশি—(1) নিকেল (2) ক্রোমিয়াম (3) সিলিকন (4)ম্যাগনেশিয়াম 

46. ভূত্বক গঠনকারী প্রধান উপাদান হল— (1) অক্সিজেন (2) দস্তা (3) তামা

উত্তরমালা:

 1.(2) 6370 কিমি 2.(3)6370 কিমি  3.(3)15°  4.(2)সোনার খনি 5.(2)কোলা  6. (1)ম্যাগমা 7. (3)460 8. (1)ভূতাপ শক্তির জন্য 9.(1)2.6-3.3 গ্রাম/ঘনসেমি 10.(2)11গ্রাম/ঘনসেমি 11.(2)5.5 গ্রাম/ঘনসেমি 12. (1)বাড়ে  13. (1)ভূকম্পন তরঙ্গ দ্বারা 14. (1)P তরঙ্গ 15.(3)ভূপৃষ্ঠ  16.(1)ভূতাত্ত্বিক কাল 17.(3)এক শতাংশও নয় 18.(2)33 মিটার  19.(2)ম্যাগমা  20. (2)11 21.(1)P তরঙ্গ 22.(3)L তরঙ্গ 23.(2)জুল ভার্ন 24.(1)5 কিমি  25.(4)60 কিমি  26.(1)গ্রানাইট  27.(1)সিলিকন ও ম্যাগনেসিয়াম দিয়ে গঠিত 28.(2)কনরাড বিযুক্তিরেখা 29.(2)ব্যাসল্ট  30.(3)47 শতাংশ  31.(2)রেপিত্তি  32.(2)মোহরোসিভিক বিযুক্তিরেখা  33.(1)অ্যাসথেনােস্ফিয়ার 34.(2)অ্যাসথেনােস্ফিয়ার 35.(1)নিফে  36.(2)কেন্দ্রমণ্ডল  37.(1)5000° 38.(2)গুটেনবার্গ বিযুক্তি 39.(2)লেহম্যান বিযুক্তিরেখা 40.(1)5100-6370 কিমি  41.(2)গুরুমণ্ডল  42.(2)ভূগর্ভকে  43.(2)30 লক্ষ গুন্ ভারী 44.(3)কেন্দ্রমণ্ডল 45.(2)ক্রোমিয়াম  46.(1) অক্সিজেন 

আশা করি আপনারা এই বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন। “.পৃথিবীর অন্দরমহল অষ্টম শ্রেণী সহায়িকা প্রশ্ন ও উত্তর” এরকম আরো অনেক বিষয় জানতে হলে অব্যশয় আমাদের অন্যান্য পোস্ট পড়তে ভুলবেন না। ধন্যবাদ ❤

Leave a Comment