প্রোটোপ্লাজম কাকে বলে? | প্রোটোপ্লাজমের বৈশিষ্ট্য | protoplasm kake bole

প্রোটোপ্লাজম কাকে বলে: আজকে আমরা জানবো প্রোটোপ্লাজম কাকে বলে? এই প্রশ্নের উত্তর পেতে আমাদের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন। আশা করি আপনারা এই প্রশ্নের উত্তর ভালো ভাবে বুঝতে পারবেন।

প্রোটোপ্লাজম কাকে বলে,প্রোটোপ্লাজমের বৈশিষ্ট্য,protoplasm kake bole,প্রোটোপ্লাজমের রাসায়নিক বৈশিষ্ট্য,প্রোটোপ্লাজমের জৈবিক বৈশিষ্ট্য,প্রোটোপ্লাজমের চলন

প্রোটোপ্লাজম কাকে বলে,প্রোটোপ্লাজমের বৈশিষ্ট্য,protoplasm kake bole,প্রোটোপ্লাজমের রাসায়নিক বৈশিষ্ট্য,প্রোটোপ্লাজমের জৈবিক বৈশিষ্ট্য,প্রোটোপ্লাজমের চলন
প্রোটোপ্লাজম কাকে বলে

প্রোটোপ্লাজম কাকে বলে?

প্রোটোপ্লাস্টের নির্জীব অংশ বাদে অবশিষ্ট অংশটিই প্রোটোপ্লাজম অর্থাৎ, কোষের সমস্ত সজীব অংশকে একত্রে প্রোটোপ্লাজম বলে। অন্যভাবে, কোষের অভ্যন্তরে স্বচ্ছ, আঠালো এবং জেলির ন্যায় অর্ধতরল, কলয়ডালধর্মী সজীব পদার্থকে প্রোটোপ্লাজম বলে। গ্রিক শব্দ protos-প্রথম, plasma-আকার থেকে Protoplosm শব্দটির উৎপত্তি।

Protoplasm Kake Bole

কোষ মধ্যস্থ সম্পূর্ণ সজীব অংশ প্রোটোপ্লাজম। প্রোটোপ্লাজম হলো কোষের অর্ধতরল, জেলির মতো আঠালো ও দানাদার বর্ণহীন সজীব অংশ। প্রোটোপ্লাজমের নানাবিধ বিক্রিয়ার ফলে জীবনের বৈশিষ্ট্যগুলো পরিলক্ষিত হয়। এটি বিভিন্ন জৈব ও অজৈব যৌগের সমন্বয়ে গঠিত। প্রোটোপ্লাজমে পানির পরিমাণ শতকরা ৬৭ – ৯০ ভাগ।

প্রােটোপ্লাজমের বৈশিষ্ট্য

এটি অর্ধস্বচ্ছ , বর্ণহীন, জেলিসদৃশ অর্ধতরল আঠালাে পদার্থ। এটি দানাদার ও কলয়েডধর্মী। এটি কোষস্থ পরিবেশ অনুযায়ী জেলি থেকে তরল এবং তরল থেকে জেলিতে রূপান্তরিত হয়। এটি জৈব ও অজৈব পদার্থের সমন্বয়ে গঠিত। সকল মেটাবলিক কার্যকলাপ প্রােটোপ্লাজম করে থাকে।

প্রোটোপ্লাজমের রাসায়নিক বৈশিষ্ট্য

রাসায়নিকভাবে প্রোটোপ্লাজমে জৈব এবং অজৈব পদার্থ আছে। এতে অধিক পরিমাণে আছে পানি। জৈব পদার্থের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আছে বিভিন্ন ধরণের প্রোটিন, এরপর আছে কার্বোহাইড্রেট ও লিপিড ও ভিটামিন। এছাড়াও আছে অক্সিজেন, হাইড্রোজেন, নাইট্রোজেন, কার্বন, কপার, ইত্যাদি।

প্রোটোপ্লাজমের জৈবিক বৈশিষ্ট্য

প্রোটোপ্লাজম বিভিন্ন ধরণের উত্তেজনায় সাড়া দেয়। খাদ্য তৈরি, খাদ্য হজম, আত্তীয়করণ, শ্বসন, বৃদ্ধি, জনন ইত্যাদি সকল মেটাবলিক কার্যকলাপ প্রোটোপ্লাজম করে থাকে। প্রোটোপ্লাজমের জৈবিক বৈশিষ্ট্যই জীবের বৈশিষ্ট্য। অভিস্রবণ প্রক্রিয়ায় প্রোটোপ্লাজম পানি গ্রহণ ও ত্যাগ করতে পারে। এদেরও মৃত্যু ঘটে।

Also Read: শোষণ কাকে বলে

প্রোটোপ্লাজম কয়টি অংশ নিয়ে গঠিত

প্রোটোপ্লাজমের প্রধান তিনটি অংশ, যথা-

  1. প্লাজমামেমব্রেন বা কোষঝিল্লি
  2. সাইটোপ্লাজম এবং
  3. নিউক্লিয়াস

প্রোটোপ্লাজমের চলন

প্রোটোপ্লাজম কখনো স্থির থাকে না। প্রোটোপ্লাজমের এ গতিময়তাকে চলন বলে। কোষ প্রাচীরযুক্ত ও কোষ প্রাচীরবিহীন প্রোটোপ্লাজমের চলনে ভিন্নতা দেখা যায়। কোষ প্রাচীরযুক্ত প্রোটোপ্লাজমে জলস্রোতের মতো যে চলন দেখা যায় তাকে আবর্তন বা সাইক্লোসিস বলে। আবর্তন আবার দু’ধরনের হয়ে থাকে।

একমুখী আবর্তন

যে চলনে প্রোটোপ্লাজম একটি গহ্বরকে কেন্দ্র করে কোষপ্রাচীরের পাশ দিয়ে নির্দিষ্ট পথে একদিকে ঘুরতে থাকে তাকে একমুখী আবর্তন বলে যেমন- পাতা ঝাঁঝির কোষস্থ প্রোটোপ্লাজমের চলন।

বহুমুখী আবর্তন

যে চলনে প্রোটোপ্লাজমে কতগুলো গহ্বরকে কেন্দ্র করে অনিয়মিত বিভিন্ন দিকে ঘুরতে থাকে তাকে বহুমুখী আবর্তন বলে। যেমন:- -র কোষস্থ প্রোটোপ্লাজমের চলন।

তো আজকে আমরা দেখলাম যে প্রোটোপ্লাজম কাকে বলে এবং আরো অনেক বিস্তারিত বিষয় । যদি পোস্ট ভালো লাগে তাহলে অব্যশয়, আমাদের বাকি পোস্ট গুলো ভিসিট করতে ভুলবেন না!

Also Read: ভাষা কাকে বলে

প্রোটোপ্লাজম কাকে বলে,প্রোটোপ্লাজমের বৈশিষ্ট্য,protoplasm kake bole,প্রোটোপ্লাজমের রাসায়নিক বৈশিষ্ট্য,প্রোটোপ্লাজমের জৈবিক বৈশিষ্ট্য,প্রোটোপ্লাজমের চলন

Leave a Comment