ব্যবসা কাকে বলে? | ব্যবসায়ের বৈশিষ্ট্য কি?

ব্যবসা কাকে বলে: আজকে আমরা জানবো ব্যবসা কাকে বলে? এই প্রশ্নের উত্তর পেতে আমাদের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন। আশা করি আপনারা এই প্রশ্নের উত্তর ভালো ভাবে বুঝতে পারবেন।

ব্যবসা কাকে বলে,ব্যবসায়ের বৈশিষ্ট্য কি

ব্যবসা কাকে বলে,ব্যবসায়ের বৈশিষ্ট্য কি,ব্যবসায় কত প্রকার ও কি কি
ব্যবসা কাকে বলে

ব্যবসা কাকে বলে?

মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে উৎপাদন ও বণ্টনসহ সকল বৈধ অর্থনেতিক কাজকে ব্যবসায় বলে।

OR: এক্ষেত্রে, চাকরির তুলনায় তাড়াতাড়ি টাকা ইনকাম করার আরেকটি উপায় আমাদের কাছে থাকতে পারে, আর সেটা হলো ব্যবসা (business).

OR: মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে পণ্য, দ্রব্য,সেবা কর্মওমতাদর্শ উৎপাদন-বন্টন এবং উৎপাদন-বন্টন কাজে সহায়তা দানকারী, যাবতীয় বৈধ অর্থনৈতিক কাজই হল-“ব্যবসা”।

Also Read: গড় দ্রুতি কাকে বলে

ব্যবসায়ের বৈশিষ্ট্য কি?

মুখ্য উদ্দেশ্য মুনাফা অর্জন

মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে ব্যবসায় পরিচালিত হয়ে থাকে। মুনাফা অর্জন ব্যতীত ব্যবসায়ীর পক্ষে ব্যবসায় পরিচালনা করা সম্ভব নয়। তবে একজন ব্যবসায়ী মুনাফা অর্জনের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের সামাজিক কাজে অংশগ্রহণ করেন।

পণ্য ও পরিষেবা বিনিময়

সকল ব্যবসায় প্রণ্যদ্রব্য ও পরিষেবা ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত। পণ্য ও পরিষেবা বিনিময়ের মাধ্যমে ব্যবসায় মুনাফা অর্জন করেন।

লেনদেনের পৌনঃপুনিকতা

যেকোনো ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে লেনদেন বারে বারে বা অব্যাহতভাবে সম্পাদিত হয়। যেমন: একজন আম ব্যবসায়ী ‍যিনি নিয়মিতভাবে আম ক্রয় করেন এবং বিক্রি করেন। সুতরাং তিনি তার ব্যবসায়ে সবসময় আম ক্রয়-বিক্রয়ের কাজের সাথে জড়িত থাকেন। কিন্তু কেউ যদি মাঝেমধ্যে তার গাছের আম বাজারে নিয়ে বিক্রি করেন, সবসময় ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িত থাকে না, তাহলে তাকে ব্যবসায়ী বলা যাবে না।

ক্রেতা এবং বিক্রেতা

প্রতিটি ব্যবসায়ের লেনদেনে ন্যূনতম দুটি পক্ষ থাকে যেমন: ক্রেতা এবং বিক্রেতা। ব্যবসায়ে ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে চুক্তির মাধ্যমে পণ্যদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় হয়ে থাকে।

উৎপাদনের সাথে সম্পৃক্ততা

কিছু ব্যবসায় পণ্যদ্রব্য ও পরিষেবাদি উৎপাদনের সাথে সংযোগ থাকতে পারে। আর শিল্পকে বলা হয় উৎপাদনের বাহন। যেখান প্রকৃতির পদত্ত সম্পদকে রূপগত উপযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে মানুষের ব্যবহারের উপযোগী পণ্যে রূপান্তর করে।

ঝুঁকি এবং অনিশ্চয়তা

ব্যবসায়ের মধ্যে ঝুঁকি এবং অনিশ্চয়তার বিদ্যমান। ব্যবসায়ের ঝুঁকির মধ্যে যেমন: আগুন, চুরি ইত্যাদির ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে আর ক্ষতীর হাত থেকে রক্ষা পেতে ব্যবসায় বীমা করে রাখতে পারে। ব্যবসায়ের অনিশ্চয়তা হলো মানুষের চাহিদা পরিবর্তনের কারণে ক্ষতি বা দাম কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অনিশ্চয়তার বিপরীতে ব্যবসায়ী বীমা করতে পারে না কিন্তু ঝুঁকির ক্ষেত্রে বীমা করতে পারে।

মানুষের চাহিদা পূরণে সক্ষম

যেকোনো ব্যবসায় তার ভোক্তাদের সর্বোচ্চ সন্তুষ্টির মাধ্যমে পণ্যদ্রব্য ও সেবাকর্ম বিনিময় করে থাকেন। অর্থাৎ ব্যবসায় তার পণ্য বা সেবা উৎপাদনের মাধ্যমে মানুষের চাহিদা পূরণ করে থাকে।

সামাজিক দায়বদ্ধতা

ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে সামাজিক দায়বদ্ধতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সমাজের বা মানুষের ক্ষতি হয় এমন কোনো ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করা যাবে না। তাছাড়া ব্যবসায়ীরা তাদের সামাজিক দায়বদ্ধতা সম্পর্কে খুব সচেতন থাকে। ব্যবসায়ীরা ব্যবসায়ের পাশাপাশি সমাজের বিভিন্ন ধরনের উন্নয়নমূলক কাজের সাথে জড়িত থাকেন।

পণ্যদ্রব্য ও সেবাকর্ম

ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে পণ্যদ্রব্য ও সেবাকর্ম ক্রয়-বিক্রয় বা বিনিময় হয়ে থাকে। পণ্যদ্রব্যের মধ্যে রয়েছে কাঁচামাল, যন্ত্রপাতি ইত্যাদি এবং সেবাকর্মের মধ্যে রয়েছে সেলুন, টেলিফোন লাইন, ফায়ার সার্ভিস, ইন্টারনেট ইত্যাদি।

ব্যবসায় কত প্রকার ও কি কি?

মালিকানার ভিত্তিতে ব্যবসায় পাঁচ প্রকার:

  1. একমালিকানা ব্যবসায়
  2. অংশীদারি ব্যবসায়
  3. যৌথ মূলধনী ব্যবসায় বা কোম্পানি সংগঠন
  4. রাষ্ট্রীয় ব্যবসায়
  5. সমবায় সমিতি

ব্যবসা কাকে বলে,ব্যবসায়ের বৈশিষ্ট্য কি

তো আজকে আমরা দেখলাম যে ব্যবসা কাকে বলে এবং আরো অনেক বিস্তারিত বিষয় । যদি পোস্ট ভালো লাগে তাহলে অব্যশয়, আমাদের বাকি পোস্ট গুলো ভিসিট করতে ভুলবেন না!

Leave a Comment