ভালবাসা কাকে বলে? | ভালবাসা কাকে বলে কবিতা

ভালবাসা কাকে বলে: আজকে আমরা জানবো ভালবাসা কাকে বলে? এই প্রশ্নের উত্তর পেতে আমাদের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন। আশা করি আপনারা এই প্রশ্নের উত্তর ভালো ভাবে বুঝতে পারবেন।

ভালবাসা কাকে বলে.ভালবাসা কাকে বলে কবিতা,ভালবাসা মানে কি

ভালবাসা কাকে বলে.ভালবাসা কাকে বলে কবিতা,ভালবাসা মানে কি
ভালবাসা কাকে বলে

ভালবাসা কাকে বলে?

শুধুই শারীরিক সম্পর্ক, শারীরিক আনন্দ, চরম-পুলকলাভ এগুলোকেই ভালবাসা বলে না, আরো অনেক কিছুর নাম ভালবাসা

ভালোবাসা আমাদের উদার হতে শিখায়। আমাদের ভালোভাবে বাঁচতে শেখায়। কিন্তু বর্তমান সমাজে আমরা ভালোবাসা বলতে শুধুমাত্র তরুণ তরুণীদের মধ্যে বিদ্যমান ভালোবাসা বুঝি।

কিন্তু ভালোবাসা কখনো শুধুমাত্র নর নারীর মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক বুঝায় না।ভালোবাসা আমাদের ভালো থাকার অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে সাহায্য করে।ভালোবাসা হতে হয় উদার।ভালোবাসা হল মহৎ একটি সম্পর্কের নাম।দুইজন বিপরীত লিঙ্গের মানুষের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক শুধুমাত্র ভালোবাসা নয়।আমাদের পরিবারের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্কের নাম হল ভালোবাসা।আমাদের পরিবারের সদস্য থেকে শুরু করে,আত্নীয় স্বজন,ভাইবোন সকলের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্কের নাম হল ভালোবাসা।

কিন্তু তাই বলে ভালোবাসা সংজ্ঞা একেক ক্ষেত্রে একেক রকম তা কিন্তু নয়।ভালোবাসার সংজ্ঞা সকলের ক্ষেত্রেই একেক রকম। নিঃস্বার্থভাবে কোন ব্যক্তিকে ভালো রাখার জন্য,সকল ধরনের ভালো রাখার জন্য সকল সম্ভাব্য সকল কিছু করা,অপর ব্যক্তির খেয়াল রাখা, খেয়াল রাখার মধ্যে দিয়ে নিজের সবটুকু বিলিয়ে দেওয়া,প্রিয়জনদের কথা ভেবে সবটুকু বিলিয়ে দেওয়ার নাম হল ভালোবাসা।

ভালবাসা কাকে বলে কবিতা

কেউ বলে ভালবাসা সব কিছু পাওয়া,

কেউ বলে ভালবাসা নিজেকে খুঁজে পাওয়া।

কেউ বলে ভালবাসা হাতে হাত রাখা,

কেউ বলে ভালবাসা হাতে হাত ধরে চলা।

কেউ বলে ভালবাসা চোখে-চোখে কথা বলা,

কেউ বলে ভালবাসা চোখের মধ্যে হারিয়ে যাওয়া।

কেউ বলে ভালবাসা সুখের ভেলায় ভাসা,

কেউ বলে ভালবাসা সুখ-দুঃখে পাশে থাকা।

কেউ বলে ভালবাসা মিষ্টি করে হাসা,

কেউ বলে ভালবাসা মিষ্টি হাসির ছোঁয়া।

কেউ বলে ভালবাসা চাওয়া-পাওয়ার খেলা,

কেউ বলে ভালবাসা একে-অপরকে সমর্পন করা.

কেউ বলে ভালবাসা প্রতিদিন দেখা করা,

কেউ বলে ভালবাসা হৃদয়কে স্পর্শ করা।

আজ হয়ে গেছে ভালবাসা অর্থহীন,

সবার কাছে আজ ভালবাসা শুধু স্বার্থের অধীন।

ভালবাসা মানে কি?

ভালোবাসা একটি মানবিক অনুভূতি এবং আবেগকেন্দ্রিক একটি অভিজ্ঞতা। বিশেষ কোন মানুষের জন্য স্নেহের শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে ভালোবাসা। তবুও ভালোবাসাকে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে ভাগ করা যায়। আবেগধর্মী ভালোবাসা সাধারণত গভীর হয়,বিশেষ কারো সাথে নিজের সকল মানবীয় অনুভূতি ভাগ করে নেয়া, এমনকি শরীরের ব্যাপারটাও এই ধরনের ভালোবাসা থেকে পৃথক করা যায়না। ভালোবাসা বিভিন্ন রকম হতে পারে, যেমন: নিস্কাম ভালোবাসা, ধর্মীয় ভালোবাসা, আত্মীয়দের প্রতি ভালোবাসা ইত্যাদি। আরো সঠিকভাবে বলতে গেলে, যে কোনো ব্যক্তি বা বস্তুর প্রতি অতিরিক্ত স্নেহ প্রায় সময় খুবই আনন্দদায়ক হতে পারে…এমনকি কোন কাজ কিংবা খাদ্যের প্রতিও। আর এটাই অতি আনন্দদায়ক অনুভূতিই হলো ভালোবাসা।

পাশাপাশি দুই বর্ণের মিলনকে সন্ধি বলে তেমনি দুটি ছেলে মেয়ের মনের মিলনকে ভালবাসা বলে…এর কোনো প্রকারভেদ নাই// এটি এক প্রকার //যথা :সত্য ভালবাসা //

একেকজন একেকভাবে ভালোবাসাকে সংজ্ঞায়িত করেছেন। কারো কারো মতে ‘এটি একটি আবেগ যার কারণে আমাদের কাউকে ভালো লাগে।’ আবার কারো মতে, ‘কাউকে মন থেকে স্নেহ, মায়া, মমতা দেয়াই ভালোবাসা।’

অনেকে মতে, ‘ভালোবাসা হচ্ছে সিগারেটের মত, যার পরিণাম হচ্ছে পোড়া ছাই।’ অনেকে কাউকে দেখে পছন্দ হলে বলে ফেলেন, ‘আমি তাকে ভালোবেসে ফেলেছি।’ আসলে এটা ঠিক নয়। এটা ভালোবাসা নয়। এটা হচ্ছে ভালো লাগা। আবেগ, যেটি আমাদেরকে নতুনভাবে ভাবতে শেখায়, স্বপ্ন দেখতে শেখায়, ত্যাগ-তিতীক্ষা-ধৈর্য্য শেখায়। ভালোবাসা শুধুমাত্র প্রণয় থেকে হয় না। ভালোবাসা স্নেহ, মায়া, মমতা থেকেও আসে।

নতুন একটি শিশুর জন্ম হলে মা তাকে লালন পালন করে। শিশুটি সময়ে অসময়ে জ্বালাতন করে – কাঁদে, ঠিকমত ঘুমায় না, খায় না ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু এতকিছুর পরও যে কারণে মা তার সন্তানটিকে ফেলে রেখে যেতে পারে না তা হল – ভালোবাসা। অনেক সময় ভালোবাসা আসে শ্রদ্ধা, সম্মান থেকে। যেমন: আমরা আমাদের বাবা-মা, দাদা-দাদীকে শ্রদ্ধাভরে ভালবাসি।প্রণয় অর্থেই হোক, আর মায়া-মমতা-সম্মান অর্থেই হোক, ভালবাসা মানে হল কারো ভাল চাওয়া।

প্রণয়ের দিক থেকে ভালোবাসাকে চিন্তা করলে দেখা যায় – যখন একটা ছেলে একটা মেয়েকে ভালোবাসে তখন তারা একে অপরের ব্যাপারে care করে, ভাবে। একজন আরেকজনের ব্যাপারে ছোটখাট বিষয় নিয়েও মাথা ঘামায়। একজন আরেকজনের ক্ষতি দেখতে পারে না বরং সবসময় তার ভাল চিন্তা করে। একজন আরেকজনকে মনে প্রাণে বিশ্বাস করে। একে অপরকে সবসময় দেখতে ইচ্ছে করে, একসাথে কাটানো প্রতিটি মুহূর্ত মনের ভিতর আগলে রাখতে ইচ্ছে করে।

একজন আরেকজনকে দেখলে বুকের ভেতরে একটা শান্তির অনুভূতি সৃষ্টি হয়। একজন আরেকজনের দিকে তাকালে মনে হয় যেন, ‘দুচোখ ভরে দেখি।’ ভালোবাসা মানে জাস্ট আপন করে পাওয়া – একে অপরের প্রতি অধিকার সৃষ্টি ভালোবাসার অন্যতম আরেকটা ব্যাপার হচ্ছে Sacrifice (ত্যাগ স্বীকার করা)। ভালোবাসার মানুষটির জন্য অনেক সুবিধা ছেড়ে দেয়া বরং অনেকটা আনন্দের বিষয় হয়ে থাকে।

যেমন: বাবা-মায়েরা নিজেদের জন্য খরচ না করে সন্তানদের জন্য খরচ করে। বাবা-মায়েদের ভালোবাসা আসলে ভালোবাসার শ্রেষ্ঠ নিদর্শন। ভালোবাসা দেখানোর প্রয়োজন হয় না, ভালোবাসা এমনিতেই প্রকাশ পায়। ভালোবাসার জন্য তাড়াহুড়ো করা উচিৎ নয়। চাইলেই কাউকে ভালোবাসা যায় না। জোর করে কাউকে ভালোবাসা যায় না। এজন্য মনের ভেতর থেকে অনুভূতি তৈরি হওয়া প্রয়োজন।

প্রেম ভালবাসার নির্দিষ্ট কোনো প্রকারভেদ নেই। তবে যে প্রকারভেদ গুলো উল্লেখ করলাম সেগুলো সাধারনত সংঘটিত হয়ে থাকে ।

১. প্রথম প্রেম: জীবনের প্রথম প্রেম সবার কাছেই স্মরনীয় হয়ে থাকে। প্রথম প্রেমের কোন নির্দিষ্ট বয়স নেই তবে অনেকের ক্ষেত্রেই খুব কম বয়সে প্রথম প্রেম এসে থাকে। প্রথম প্রেম বেশিরভাগ সময়ই সঠিক প্রেম হয়না, সেটা হয়ে থাকে Infatuation। প্রথম প্রেম হতে পারে কোন বাল্য বন্ধু, হতে পারে গৃহশিক্ষক বা স্কুলের শিক্ষক বা শিক্ষিকা, হতে পারে বয়সে বড় কোন আপু, হতে পারে কোন ফিল্মের নায়ক বা নায়িকা, হতে পারে পাড়ার কোন হ্যান্ডসাম তরুনী বা বড়ভাই। কারো কারোক্ষেত্রে আবার জীবনের প্রথম প্রেমই একমাত্র প্রেম।

Also Read: নেটওয়ার্ক কাকে বলে

২. প্রথম দেখায় প্রেম/Love at First Site:প্রথম দেখাতেই এই ধরনের প্রেমের সূত্রপাত। এ ধরনের প্রেম অনেক ক্ষেত্রেই একতরফা হয়। ছেলেদের ক্ষেত্রে এ ধরনের প্রেম বেশি দেখা যায়। প্রথম দেখাটা হতে পারে কোন বিবাহ অনুষ্ঠানে, শপিং মল, কলেজ,ভার্সিটি, কোচিং সেন্টারে, স্যারের বাসায়, বন্ধু আড্ডায়। এমনকি বন্ধুর মোবাইলে ছবি দেখেও এ ধরনের প্রেমের শুরু হতে পারে। এ ধরনের প্রেমে প্রায় অবধারিতভাবেই তৃতীয় পক্ষের (বন্ধুকূল বা বড়ভাই) সাহায্যের দরকার পড়ে। এ ধরনের প্রেমের সূত্রপাতে রূপ সৌন্দর্য্য ও দৈহিক সৌন্দর্য্যের ভুমিকাই বেশি।

৩. বন্ধুত্ব থেকে প্রেম: এই ধরনের প্রেমের ক্ষেত্রে প্রেমিক ও প্রেমিকা দু’জনেই প্রথমে বন্ধু থাকে। আস্তে আস্তে বন্ধুত্ব কালের বিবর্তনে প্রেমে রূপ নিতে থাকে,অনেক সময়ই দু’জনেরই অজান্তে। তবে আশেপাশের মানুষ (বিশেষত বন্ধুকূল) কিন্তু ঠিকই খেয়াল করে। দুঃখজনকভাবে এধরনের প্রেম অনেক সময়ই অকালে ঝরে যায় কোন একতরফা সিদ্ধান্ত বা পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে। অনেকে বন্ধুত্বের এই রূপান্তর মেনে নিতে পারেনা বলে অনুশোচনায় ভোগে – বিশেষত মেয়েরা।

৪. একরাতের প্রেম/One Night Stand:এগুলোকে প্রেম বললে পাপ হবে। ৯০% ক্ষেত্রেই ছেলেরাই এ ধরনের প্রেমের আয়োজক। দৈহিক বাসনাকে পূর্ণতা প্রদান করাই এই প্রেমের প্রধান উদ্দেশ্য। উদ্দেশ্য পূরণের পূর্বে কিছু নাম মাত্র ডেটিং হতে পারে। উদ্দেশ্য পূরণের জনপ্রিয় স্থান: কোন হোটেল, খালি ফ্ল্যাট, সমুদ্রতীরবর্তী কোন শহর। এই ধরনের প্রেমের মূলমন্ত্র হলো: “আজকে না হয় ভালোবাসো, আর কোনোদিন নয়……..”

৫. বিবাহোত্তর প্রেম: এই প্রেম শুধুমাত্র স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে দেখা যায়। বিয়ের ঠিক পর পর প্রথম কয়েক মাস এই প্রেম প্রবল থাকে। স্বামী-স্ত্রী একে অপরের পূর্বপরিচিত নয় এমন দু’জনের মধ্যে এ্যারেন্ঞ্জ বিয়ে হলে এই ধরনের প্রেম প্রবল রূপে পরিলক্ষিত হয়। প্রেম করে বিয়ে হলে সেক্ষেত্রে বিবাহোত্তর প্রেমে ভাঁটা পড়ে বলে একটি মতবাদ প্রচলিত আছে, কবে এর সত্যতা পরীক্ষিত নয়। বিবাহোত্তর প্রেম ফলাতে হানিমুনের জুড়ি নেই।

৬. পরকীয়া প্রেম: বিয়ের পর স্বামী বা স্ত্রী ব্যতীত অন্য কোন পুরুষ বা মহিলার সাথে প্রেমকেই পরকীয়া প্রেম বলে। পরকীয়া প্রেমের মূল কারনগুলো হলো:ক. সময়ের সাথে সংসার জীবনের প্রতি অনাগ্রহ বা তিক্ততা চলে আসা।খ. শারীরিক চাহিদা পূরণে স্বামী বা স্ত্রীর প্রতি একঘেঁয়েমি চলে আসা।গ. শারীরিক চাহিদা পূরণের ক্ষেত্রে স্বামী বা স্ত্রীর অক্ষমতা বা অপূর্ণতা।ঘ. নিতান্তই এ্যাডভেঞ্চার-প্রিয়তা, লুকিয়ে প্রেম করার স্বাদ অনুভব করা। মহিলাদের মধ্যে পরকীয়া এদেশে এখনো ততোটা জনপ্রিয় নয় যতোটা পুরষদের মধ্যে। পুরুষদের পরকীয়া প্রেমের ক্ষেত্রে তৃতীয় ব্যাক্তিটি কম বয়সী কোন অল্প বয়সী মহিলা এমনকি ক্ষেত্র বিশেষে যুবতীও হয়ে থাকেন। মহিলাদের ক্ষেত্রে তৃতীয় ব্যাক্তিটি সাধারণত কোন মধ্যবয়সী পুরুষ হয়ে থাকেন। ৩০-৪৮বছর বয়সীদের মধ্যে পরকীয়া প্রেম বহুলভাবে পরিলক্ষিত হয়।

৭. অপরিণত প্রেম/কম বয়সে প্রেম/না বুঝেই প্রেম: এ ধরনের প্রেম সাধারণত স্কুলে পড়ুয়া অবস্থায় হয়ে থাকে। মেয়েরাই এ ধরনের প্রেমে বেশি পড়ে। তবে ছেলেরাও পড়ে। প্রেমিক প্রেমিকাদের দু’জনই সমবয়সী হতে পারে। তবে মেয়েদের ক্ষেত্রে প্রেমিক তার চেয়ে বয়সে বড়ও হতে পারে। তবে এ ধরনেরপ্রেমের সাফল্যের হার কম – অর্থাৎ এ ধরনের প্রেম বিয়ে পর্যন্ত গড়ায় খুব কম ক্ষেত্রেই।

৮. কর্মক্ষেত্রে প্রেম: কর্মসূত্রে দু’জন মানুষের পরিচয়ের মাধ্যমে এ ধরনের প্রেম গড়ে ওঠে। উক্ত দু’জন হতে পারেন কোন মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানীর দু’জন কর্মকর্তা অথবা কোন প্রজেক্টে পরস্পরের পার্টনার। অফিসে নতুন জয়েন করেছেন এমন কোন মেয়ের সাথে এরূপ প্রেমের সম্পর্ক স্থাপনের জন্য অফিসের পুরুষ কর্মকর্তাদের মাঝে তাগিদ দেখা যায়। বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের প্রেম বেশি দেখা যায়।

৯. মোবাইল প্রেম: বন্ধুর কাছ থেকে চেয়ে নিয়ে বা ফোনবুক থেকে চুরি করে, পাড়ার ফ্লেক্সির দোকান থেকে সংগ্রহ করে, অন্য কোন সুত্র থেকে নাস্বার পেয়ে বা নিতান্তই মনের মাধুরী মিশিয়ে কোন নাম্বার বানিয়ে তাতে ফোন করে কোন মেয়ের সাথে সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে এই ধরনের প্রেমের সূত্রপাত। অনেক সময় মোবাইলে এভাবে কথা বলে ছেলে মেয়ে পরস্পরের সাথে সামনাসামনি দেখা করে। এ ধরনের প্রেমের সফলতার হার খুবই কম। আসলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সফলতা এ ধরনের প্রেমের মূল উদ্দেশ্য নয়।

১০. ইন্টারনেটে প্রেম: ইন্টারনেটে চ্যাটিংয়ে বা সোসিয়্যাল মিডিয়া সাইটে (যেমন – ফেইসবুক,মাইস্পেস) দু’জনের পরিচয়ের মধ্য দিয়ে এ ধরনের প্রেমের সূত্রপাত। অনেক ক্ষেত্রে ছেলে বা মেয়ের একজন বিদেশে অবস্থান করে। এভাবে পরিচয়ের পর ছেলে মেয়ে পরস্পরের সাথে সামনাসামনি দেখা করে। এ ধরনের প্রেমে উভয়পক্ষেরই ফাঁকি দেয়ার সুযোগ থাকে অনেক। অনেক সময়ই কোন ছেলে মেয়ে সেজে অন্য কোন ছেলের সাথে এমন সম্পর্ক চালিয়ে যায়। আর তাই অনেক ক্ষেত্রেই এ ধরনের সম্পর্ক প্রতারণায় পরিণত হয়। পূর্বে এ ধরনের প্রেমের সাফল্যের হার বেশি থাকলেও বর্তমান সময়ে এসে সাফল্যের হার কম।

১১. ত্রিভূজ প্রেম: এ ধরনের প্রেমকে বলা যেতে পারে একজন মেয়েকে নিয়ে দু’জন ছেলের টাগ-অফ-ওয়ার বা দড়ি টানাটানি। একই মেয়ের প্রতি দু’জন ছেলেরভালোবাসা এই প্রেমের মূলকথা। উক্ত মেয়েকে পেতে দু’জন ছেলেই মরিয়া থাকে। ত্রিভূজ প্রেমের ক্ষেত্রে প্রায়শঃই মেয়েরা মানসিক দ্বন্দে ভোগে – কাকে পছন্দ করবে এই নিয়ে। অনেক সময়ই ছেলে দু’জনের মধ্যে প্রতিযোগিতা রূপ নেয় মারামরিতে। দু’জন মেয়ে আর একজন ছেলের মধ্যেও ত্রিভূজ প্রেম লক্ষিত হয়। তবে সেক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা মারামারিতে নয় বরং রূপ নেয় চুলোচুলিতে।

১২. বহুভূজ প্রেম/Multi প্রেম: একই মেয়ে বা ছেলের প্রতি ২ এর অধিক ব্যাক্তির অনুরাগই মূলতঃ বহুভূজ প্রেম। এক্ষেত্রে উক্ত মেয়ে বা ছেলেটি স্বভাবতই দৃষ্টিকাড়া সৌন্দর্য্যের অধিকারী হয়ে থাকেন। সবাই তার সাথে প্রেম করতে চায় এই বিষয়টি তাকে ব্যাপক আনন্দ দেয়।

১৩. অসমবয়সী প্রেম: এ ধরনের প্রেমের বৈশিষ্ট্য প্রেমিক ও প্রেমিকার মধ্যে বয়সের উল্লেখযোগ্য ব্যবধান। যদিও মেয়ের চাইতে ছেলে কয়েক বছর বড় হলেও তা স্বাভাবিক প্রেম হিসেবে ধরা হয়, তথাপি, যদি পার্থক্য খুব বেশি হয় – যেমন ১২ বছর তবে তা অসমবয়সী প্রেম হিসেবে ধরা হয়। মজার ব্যাপার হলো ছেলের চাইতে মেয়ে এক বছরের বড় হলেও তা অসমবয়সী প্রেম হয়ে হিসেবে ধরা হয়। অসমবয়সী প্রেমকে এ সমাজে বাঁকা চোখে দেখা হয়, বিশেষত যদি মেয়ে ছেলের চাইতে বয়সে বড় হয়। অসমবয়সী প্রেম বিয়েতে রূপ নিলে দাম্পত্য জীবন শান্তিপূর্ণ হয় না বলে একটি মতবাদ এদেষে প্রচলিত আছে, কিন্তু এর কোনসত্যতা পাওয়া যায়নি।

১৪. শারীরিক প্রেম/শরীর সর্বস্ব প্রেম: প্রেমিক ও প্রেমিকার মধ্যে শরীরি আকর্ষণই এই প্রেমের মূল উপাদান। আবেগ ততোটা গুরুত্বপূর্ণ নয়।

১৫. দুধের মাছি প্রেম/অর্থসর্বস্ব প্রেম: “যতোদিন টাকা আছে, ততোদিন সম্পর্ক” – অনেকটা এই নীতির বলে এই ধরনের প্রেম গড়ে ওঠে। অবশ্যই ছেলেরাইটাকা ব্যয় করে থাকে এসব ক্ষেত্রে। ধনীর ঘরের ছেলেদের পক্ষে এই ধরনের সম্পর্ক বেশিদিন টিকিয়ে রাখা সম্ভব হয়। তবে মোটামুটি আয়ের ছেলেরা খরচেরঠেলায় অল্পদিনেই হাঁপিয়ে ওঠে, সম্পর্কও আর বেশিদিন থাকেনা। তখন ঐসব মেয়েরা অন্য ছেলের খোঁজে বেরোয়।

১৬. ঈর্ষাণ্বিত প্রেম: “অমুক ছেলে প্রেম করে, আমাকেও করতে হবে” বা “অমুকের বয়ফ্রেন্ড আছে,আমারো চাই” – অনেকটা এমনতর মানসিকতা থেকে এসব প্রেমের সূত্রপাত। এ ধরনের প্রেমগুলো অনেক সময়ই সাময়িক হয়ে থাকে। অধিকাংশ সময়ইবয়ফ্রেন্ড বা গার্লফ্রেন্ড মনের মতো না হলেও প্রয়োজনের তাগিদে সম্পর্ক চালিয়ে যাওয়া হয়।

১৭. জেদের বশে প্রেম: পূর্ববর্তী বা বর্তমান বয়ফ্রেন্ড বা গার্লফ্রেন্ডকে অনেকটা দেখিয়ে দেয়ার (“তুমি ছাড়াও আমার প্রেম করার লোকের অভাব নেই…….”) উদ্দেশ্যে যাকে সামনে পাওয়া যাবে ধরে তার সাথে প্রেম করাই এ ধরনের প্রেমের মূল লক্ষ্য। মনের মতো লোক পাওয়ার বিষয়টি এখানে নগণ্য।

১৮. চড়িয়ে খাওয়া প্রেম/গাধাখাটুনি প্রেম/ঘানি টানা প্রেম: প্রেমিক বা প্রেমিকার কাছ থেকে কোন বিশেষ সুবিধা লাভই এ ধরনের প্রেমের উদ্দেশ্য।ক্লাসের ভালো রেজাল্ট করা মেধাবী ছাত্রটি এ ক্ষেত্রে জনপ্রিয় শিকার হিসেবে পরিগণিত হয়। মেয়েদের মধ্যে এ ধরনের প্রেমের প্রচলণ বেশি দেখা গেলেওছেলেদেরকেও মাঝে মাঝে করতে দেখা যায়।

১৯. অব্যক্ত প্রেম/না বলা প্রেম: নীরবে এক অপরকে ভালোবেসে গেলেও পরিস্থিতি, সময় বা মনোবলের অভাবে প্রেমিক বা প্রেমিকার মধ্যে কেউই একে অপরকে কোনোদিন বলেনি। অব্যক্ত প্রেম হারানোর বেদনা খুব কষ্টদায়ক, জীবনের অন্যতম বড় ভুল হিসেবে মনে থাকে।

২০. সুপ্ত প্রেম: একে অপরকে ভালোবাসে কিন্তু কেউই কাউকে বলছে না, পুরো ব্যাপারটাই লুকিয়ে যাচ্ছে এমন প্রেমই সুপ্ত প্রেম। সুপ্ত প্রেম আজীবন সুপ্ত থেকে গেলে তা পরিণত হয় অব্যক্ত প্রেমে।

২১. চুক্তিবদ্ধ প্রেম: এ ধরনের প্রেম হয় পারস্পরিক সমঝোতার মাধ্যমে। সাধারণ অর্থে প্রেম বলতে যা বোঝায় তা এই ধরনের প্রেমে অনুপস্থিত থাকে। কোনভবিষ্যৎ থাকেনা এসব সম্পর্কের। মূল উদ্দেশ্য হলো কোন বিশেষ গোষ্ঠীকে নিজেদের মধ্যে প্রেম দেখিয়ে কোন বিশেষ স্বার্থ চরিতার্থকরণ। শোবিজ ও মিডিয়ার তারকাদের মধ্যে এ ধরনের প্রেম বেশি দেখা যায়।

২২. মিথ্যে প্রেম/অভিনয় প্রেম: এ ধরনের প্রেমে প্রেমিক বা প্রেমিকার দু’জনের যেকোন একজন প্রেমের অভিনয় করে যায়। যখন প্রেমিক বা প্রেমিকার কেউ একজন ভবিষ্যতের কথা ভাবতে আরম্ভ করে তখন এই প্রেমের সমাপ্তি ঘটে। এ ধরনের প্রেমের পরিণতিও যেকোন একজনের জন্য খুবই কষ্টদায়ক।

২৩. ২য় ইনিংস প্রেম/Old is Goldপ্রেম/Revived প্রেম: পূর্ববর্তী বয়ফ্রেন্ড বা গার্লফ্রেন্ডের সাথে পুনরায় জুড়ে গিয়ে এই প্রেম করা হয়।

২৪. ব্ল্যাকমেইল প্রেম/অনিচ্ছাপূর্বক প্রেম/জোড় খাটানো প্রেম: এটাকেও প্রেম বললে পাপ হবে। জোড়পূর্বক এসব প্রেম করা হয়ে থাকে। এর শিকার হয়ে থাকে মেয়েরাই। পাড়ার বখাটে ছেলে বা বড় ভাই, কলেজের বখাটে ছাত্র, কর্মক্ষেত্রে উপরস্থ কর্মকর্তা বা বস প্রধানত এরাই এ ধরনের সম্পর্ক স্থাপন করতে আগ্রহী হন।

২৫. গায়ে পড়ে প্রেম/নাছোড়বান্দা প্রেম: মেয়ে কোন সম্পর্ক স্থাপনে আগ্রহী নয় তবুও ছেলে জোড় চেষ্টা চালিয়ে যায় এমন প্রেমে। অনেক সময়ই এমনপরিস্থিতিতে মেয়েরা সরাসরি না বলতে পারে না যার মাশুল তাদেরকে পরে দিতে হয়।

২৬. বিদেশী প্রেম/পরবাসী প্রেম: এ ধরনের সম্পর্কের ক্ষেত্রে ছেলে বা মেয়ের মধ্যে অন্ততঃ একজন বিদেশী হয়।

২৭. অসাম্প্রদায়িক প্রেম: এ ধরনের প্রেমের ক্ষেত্রে ছেলে ও মেয়ে দু’জনে দুই ধর্ম বা সম্প্রদায়ের অনুসারী হয়ে থাকে। সমাজ এ ধরনের সম্পর্ককে সমর্থন করেনা। বিশেষতঃ হিন্দু-মুসলমান ছেলে-মেয়ের মধ্যে প্রেম বেশি বিতর্কের সৃষ্টি করে।

২৮. চাঞ্চল্যকর প্রেম/আলোচিত প্রেম: এ ধরনের প্রেমে প্রেমিক ও প্রেমিকা যাই করেন না কন তা মিডিয়ায় চাঞ্চল্যকর তথ্য হিসেবে প্রচার করা হয়। সাধারণত শো-বিজ আর মিডিয়ার তারকা ও সেলিব্রেটিরা এ ধরনের প্রেম করে থাকেন।

২৯. ঐতিহাসিক প্রেম: এইসব প্রেমের কাহিনীর অবসান ঘটেছে অনেক আগেই কিন্তু আজো রয়ে গেছে ইতিহাসের পাতায়। এখনো এসব প্রেমকে উদাহরণ হিসেবে দেখানো হয়।

৩০. ভাড়াটে প্রেম/ভ্রাম্যমাণ প্রেম/Roamingপ্রেম: এ ধরনের প্রেমের প্রেমিক বা প্রেমিকারা বলতে গেলে ভাড়া খাটে। তারা সকালে একজনের গার্লফ্রেন্ড তো বিকেলে আরেকজনের। কোন নির্দিষ্ট ঠিক ঠিকানা নেই। ব্যাপারটা অনেকটা মাসে মাসে মোবাইল হ্যান্ডসেট চেন্ঞ্জ করার মতো।

Also Read: ইমান কাকে বলে

৩১. প্রেমময় প্রেম: এই প্রেমে প্রেমিক আর প্রেমিকা দু’জনেই একজন আরেকজনের দিকে প্রেমময় ভঙ্গিতে ঘন্টার পর ঘন্টা তাকিয়ে থাকেন, হাত ধরে বসে থাকেনকোন রেস্টুরেন্টের অন্ধকারাচ্ছন্ন অংশে, সারাক্ষণ I Love You বলে আর শুনেও ক্লান্তি আসে না তাদের। সারাদিন প্রেমের পর মোবাইলে ১২টার পরও কম জান না তারা।

৩২. ঝগড়াটে প্রেম: সারাক্ষণ দু’জনের মধ্যে খিটির-পিটির লেগে থাকাটা এই প্রেমের বৈশিষ্ট্য। কিছুক্ষণ হয়তো দু’জনে শান্ত থাকে, তারপর আবার কিছু নাকিছু একটা নিয়ে একজন শুরু হয়ে যায়। এ ধরনের প্রেমে ঝগড়াগুলো ক্ষণস্থায়ী হয়, কিন্তু খুব ঘনঘন হয়। ঝগড়াগুলো অধিকাংশই হয় ফোনে। বন্ধুকূল সর্বদা দু’জনের ঝগড়া মিটাতে ব্যস্ত থাকে। মেয়ে তার সখীদের কাছে এই ঘনঘন ঝগড়ার কথা বলে বেড়ায়।

৩৩. সমলিঙ্গীয় প্রেম: আমাদের দেশে এখনো খুব একটা প্রচলিত না হলেও বাইরের অনেক দেশেই এই ধরনের প্রেমের প্রচলণ আছে। দু’জন ছেলের মধ্যে হলে তাদেরকে Gay বলে আর দু’জন মেয়ের মধ্যে হলে Lesbian।

৩৪. অমিল প্রেম/দুনিয়াছাড়া প্রেম: এই প্রেমে প্রেমিক ও প্রেমিকার মধ্যে কথাবার্তা, মত, পছন্দ,অপছন্দ কোন দিক দিয়েই কোন মিল থাকেনা, তারপরও কিভাবে যেন সম্পর্ক টিকে থাকে।

৩৫. ‘আজো তোমায় ভালোবাসি’ প্রেম: এই প্রেমে প্রেমিক-প্রেমিকার বিচ্ছেদ ঘটেছে আগেই। তবুও আজো তারা একে অপরকে ভালোবাসেন। নীরবে চেয়ে যান সেই মানুষটির সঙ্গ যার সাথে একসঙ্গে জীবন কাটাতে পরিস্থিতিই ছিলো একমাত্র ও সবচেয়ে বড় বাধা।

৩৬. ব্যর্থ প্রেম: এবং সবশেষে আছে ব্যর্থ প্রেম। এ প্রেম শুরু হবার আগেই শেষ হয়ে যায়। ব্যর্থ প্রেমিকার চাইতে ব্যর্থ প্রেমিকের সংখ্যা কয়েক গুণ বেশি। ব্যর্থ প্রেমের শেষটা হয় প্রস্তাব প্রত্যাখান দিয়ে। কখনো কখনো ছেলেদের ভাগ্যে জোটে থাপ্পড়, মেয়েদের জুতার বাড়ি আর কখনো কখনো গণধোলাই। অনেক সময়ই ব্যর্থ প্রেমের পরিণতি হয় করুন। কেউ দেবদাস হয়ে যায়, কেউবা মেয়েদের ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলে ও “দুনিয়ার সব মেয়ে এক” এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়। দুর্বল মানসিকতার কেউ কেউ আত্মহননের পথও বেছে নেয়।

ভালোবাসার অনেক সংজ্ঞা অনেকে দিয়েছে। সাধারণত ভালোবাসা বলতে আমরা দুইটি মনের মিলকে বুঝি।

মানবমনের নিঃস্বার্থ সুন্দর অনুভূতির নাম ভালবাসা এটি সর্বশ্রেষ্ঠ মানবিক গুণ। ভালবাসা দুই প্রকার: সকাম আর নিষ্কাম।

ভালবাসা হচ্ছে প্রতিটা মানুষের সুক্ষ অনুভূতি আবেগ আর দায় দায়িত্ববোধ থেকে জন্ম নেয়া একটা মানবিক গুন্. তবে আজকাল ভালবাসা বলতেই নারী পুরুষের সম্পর্ককে বুঝানো হয়. আমি এর সাথে একমত নই.

প্রকৃত ভালবাসা সার্বজনীন. ভালবাসা বিশ্ব সংসারে জন্য, ভালবাসা নিজের জন্য, ভালবাসা পিতামাতা, পরিবার পরিজন, পাড়া – প্রতিবেশী, আত্মীয় স্বজন, আপন পর কম বেশি সবার জন্য. তাই ভালবাসার মতো একটা মানবিক গুনকে কেবল মাত্র দুটি নারী পুরুষের সম্পর্কের মাঝে তথা দৈহিক সম্পর্ক ক্ষেত্র বেশেষে সন্তান জন্ম দেবার মতো একটা মানদন্ডে বিচার করলে সত্যিকার ভালবাসাকে অর্থাৎ সার্বজনীন ভালবাসাকে অতিশয় ছোট করা হবে তথা যারা যুগে যুগে তাঁদের ভালবাসা দিয়ে মানবতাকে যার যার স্থান থেকে সর্বোচ্ছ স্থানে রেখেছেন তাঁদেরকে অপমান করা হবে..

ভালবাসা ৪ দেয়ালের মধ্যে বদ্ধ কোন একটা সম্পর্কের নাম নয়,, ভালবাসা আকাশ জোড়া, পৃথিবী জোড়া, ভালবাসা মানে দেয়ালের একটা ছিদ্র দিয়ে কোন কিছু দেখা নয়,, ভালবাসা মানে মুক্ত আকাশের দিকে তাকিয়ে সারা পৃথিবী ভ্রমণ করা আর এক নিমিষে পৃথিবীর কে কোথায় কেমন আছে তাঁদের জন্য মনে মনে অফুরন্ত ভালবাসা ছড়িয়ে দেয়া, আর না পারলেও ভালবাসার অভাবে যারা আছে তাঁদের জন্য বুকের গভীরে অনেকগুলো দীর্ঘশ্বাস জমিয়ে রাখা.

তোমার বিরহে যদি আমার কষ্ট হয়, তাহলে সেটাই হবে ভালোবাসা। এর চাইতেও উৎকৃষ্ট সংজ্ঞা হলো-”কোন কিছু পাওয়ার অাশা না করে ত্যাগ স্বীকার করে যাওয়ার অর্থই ভালোবাসা।” উদাহরণ-বাবা মা। ভালোবাসা দুই প্রকার। যথা-প্রকৃত ভালোবাসা এবং উৎপাদিত ভালোবাসা। প্রাকৃতিক ভালোবাসার উদাহরণ হলো বাবা, মা, ভাই, বোন ইত্যাদি এবং উৎপাদিত ভালোবাসার উদাহরণ হলো প্রেমিক-প্রেমিকা এবং স্বামী-স্ত্রী।

ভালোবাসা ব্যাপারটি জৈবিক। কারণ ভালোবাসার অনুভূতির সাথে ডাক্তাররা নেশায় আসক্ত মানুষের অনুভূতির মিল খুঁজে পেয়েছেন। একটি নেশাগ্রস্থ মানুষের মস্তিষ্কের যে অংশ ভালো লাগার কাজ গুলো করে থাকে, ভালোবাসলে মানুষের ঐ অংশটুকুই বেশি কাজ করে। ভালোবাসা কি – একটি জোরালো আবেগ, অনুরাগ বা সুখানুভব নয় !প্রিয় ব্যক্তি বা প্রিয়জনের প্রতি স্নেহ আদর কোমলতার প্রকাশ নয়

ভালোবাসা মানেই শুধু নারীর প্রতি পুরুষের আবার পুরুষের প্রতি নারীর নয়। এটা একটা প্রচলন হয়ে গিয়েছে যে, ভালোবাসা বলতে আমরা বুঝি যে কোন ছেলের প্রতি মেয়ের আর মেয়ের প্রতি ছেলের। এটা হতে পারে একটা মানুষের প্রতি কোন প্রাণীর আবার কোনো প্রাণির প্রতি মানুষের। এমনকি একটা জড়বস্তুর প্রতি হতে পারে। এটার সংজ্ঞার বিভিন্ন জনের কাছে বিভিন্ন রকম। তবে উল্লেখ যোগ্য হতে পারে কোন কিছু পাওয়ার অাশা না করে প্রকাশ্যে বা গোপনে ত্যাগ স্বীকার করে যাওয়ার অর্থই ভালোবাসা।

কারো প্রতি বিশেষ দুর্বলতা, আবেগ অনুভতি মাত্রা অতিস্বায্যে তার প্রতি যখন দ্বায়িত্ব শীলতা বেরে যায়েএবং যখন স্থায়ী হয় তখন তাকে ভালোবাসা বলে।

ভালবাসা হল এক লিঙ্গ তার বিপরীত লিঙ্গের প্রতি মনের মধ্যে যে টান অনুভব করে এবং তার অনুপস্থিতিতে সে তার অস্তিত্ব টের পায় এবং যে এক অদৃশ্য শরীর তার মনকে চারদিক থেকে ঘিরে রাখে, এই যে অনুভতি তাকেই বলে প্রেম বা ভালবাসা।

ভালবাসা ৩ প্রকার:

১. কঠিনঃ- এই প্রেম খুব শক্ত হয়। এই প্রেম কারো মনে আসলে সে অই ব্যক্তিকে ছাড়া আর কাউকে মনেপ্রাণে গ্রহণ করতে পারে না। কিন্তু এই প্রেমের একটি সমস্যা হল এর প্রকাশ খুব কম, কারণ এটাকে সত্যিকারের প্রেম বলে। আর কবি গুরু বলেছেন “যার ভালবাসা যত গভীর, প্রতাশ করার ক্ষমতা তার তত কম”। এই প্রেম যার মনে একবার বাসা বেঁধেছে সে অই ব্যক্তিকে না পেলে চিরকুমার থাকার মতও ঘটনা ঘটিয়ে থাকে। কারণ সে মনের মধ্যে তাকে এমন শক্ত করে আকড়ে ধরে যে সেখানে অন্য কোন তরুন বা তরুণীর ছবি আঁকা বা স্থান দেয়া দুষ্কর হয়ে পরে।শত কষ্টের মাঝেও দুজন দুজনকে ছাড়ে না, তখন অভাব ঘরের দরজায় না, চারিদিক ঘ্রাস করলেও ভালবাসা জানালা দিয়ে পালায় না। এটাকে বলে সত্যিকারের প্রেম। এই প্রেমে রাগ অভিমান ইত্যাদি বেশি থাকলেও ভাঙ্গন খুব কম। একান্ত কারণ ছাড়া এই প্রেম ভাঙ্গবে না। কখনো কখনো এই প্রেম মৃত্যু পর্যন্ত ঘটিয়ে থাকে।

০২. তরলঃ- এই প্রেম বা ভালবাসার কোন ভিত্তি নেই। এই ভালবাসার কপোত/কপোতিরা তরলের মতই যেই পাত্রে স্থান পায় সেই পাত্রের আকার ধারণ করে, মানে যেখানে সে তার প্রতি অন্যকারো দুর্ভলতা বুঝতে পারে সেই মনে সে তাকে সপে দেয়। এমন করতে করতে কখনো সে অজানা ভাবেই সেঞ্চুরি করে থাকে। এই প্রেম চায়না মালের মত। আওয়াজ বেশি স্থায়ীত্ব কম, মানে ভালবাসি ভালবাসি বলতে বলতে মুখে ফেনা তোলে ফেললেও কখনো টেকসই হয় না। কারণ এই ভালবাসার কারণে কপোত/কপোতি বিভিন্ন মানুষকে তার মন দান করে থাকে, তার চোখে সবাইকে ভাল লাহে। আলাদা করে কাউকে সে নিতে পারে না। তাই এই প্রেম তরল প্রেম।

০৩. বায়বীয়ঃ এটা আরো মজার প্রেম। এই ভালবাসার কপোত/কপোতিরা ভালবাসে কিন্তু মুখে প্রকাশ করে না। বায়ু যেমন অদৃশ্য থেকে সব কিছুকে দোলা দিয়ে যায়, ঠিক তেমনি এই ভালবাসা মনের মধ্যে থাকে নিজেকে নিজে দোলা দিয়ে যায়। প্রকাশ না করার কারণে কখনো কখনো মনের মানুষটাকে কোনদিন বলাই হয় না। আর না বলার কারণে ঘর বাঁধার স্বপ্নও আসে না। এই ভালবাসার কপোত/কপোতিগুলো তার ভালবাসার মানুষটিকে অন্যের সাথে দেখলে রাগ করবে অভিমান করবে কাঁদবে কিন্তু কখনো প্রকাশ করবে না। সে চায় তার ভঙ্গিমাতে অপরপক্ষ্য বুঝে নিক যে তাকে সে ভালবাসে। বায়ুর মতই অদৃশ্য থাকে বলে একে বায়বীয় প্রেম বলে

কবি বলেছেন , ‘সখি ভালবাসা কারে কয় ? সে কি কেবলি যাতনাময় ?’ আসলে ভালবাসা যাতনাময় তো বটেই । কারও প্রতি অবুঝ , আন্তরিক আকর্ষণ , কাছে পাবার ব্যাকুল বাসনার নাম ভালবাসা । এই আকুলতা ইপ্সিত জনকে কাছে না পাওয়া পর্যন্ত মনকে যাতনা দিতে থাকে । এই কারণেই ভালবাসা যাতনাময় । মিলনে ক্ষুধা মিটেছে কোন কালে ? ভালবাসা মনের শাশ্বত আবেগ । আমৃত্যু মনের মধ্যে দীপ জ্বেলে রাখে । তবে ‘ ভালবাসা’ আর ‘ভালোবাসা’র মধ্যে পার্থক্য আছে । একটি অন্তর্গত অনুভূতি , অন্যটি সুন্দর বাসস্থান ।

ভালোবাসা হলো আবেগীয় অনুভূতির নাম। এর কোন প্রকার গন্ধ নাই রং ও নাই। ভালবাসা হলো এক ধরনের আবেগ বা অনুভুতি যা আপনার মনে আর চিন্তায় অন্যর জন্য একটা টান অনুভব করবেন. এটা মানুষ জগতে বেশি প্রকাশ পায়. ভালবাসার ধরন বা প্রকাশ ভঙ্গি হলো—– প্রেম , স্নেহ, মায়া, মমতা, উদারতা , মহনুবতা,vratto সর্মুতিতা এই গলুই হলো ভালোবাসার বহি প্রকাশ. একটি ছেলের একটি মেয়েকে ভালো লাগা। দেখে পছন্দ হলে তাকে সাথে সাথে ভালোবাসি বলা, এটা ভালোবাসা নয়, এটা হলো মেয়েটিকে ভালোলাগা, মা বাবা আর সন্তানের মধ্যে ভালবাসা থাকে. এটা হলো জন্ম সূত্রের ভালোবাসা

চাহিদা এবং যোগ্যতার যোগান দেওয়াই একমাত্র ভালবাসা। (মাপকাঠি হিসেবে এবং অনুমানের উপর ভর করে)

ভালোবাসা এমন একটি অনুভতি যা মনের গভীর থেকে ফুটে আসা ছোট্ট একটি আবেগ।

ভালোবাসা কাকে বলে সেটা আজ অসঙ্গায়িত …. কিন্তু কারো কাছে বা কেও কেও এটি আবার দুটি দোহিক মিলন মনে করে থাকেন ভালোবাসার কোন প্রকার ভেদ নাই যেমন স্বামী বিবেকানন্দ তিনি জীবের সাথে ভালোবাসা করেছেন। আপনি যত বেক্তি বা বস্তূ কে ভালোবাসবেন ঠিক ততো পোকার হবে R নির্ভর করবে সেটা সবার দৃষ্টি ভঙ্গির উপর .

যেখানে ইলেক্ট্রিসিটি,পানি গ্যাস এবং লিফটের সুব্যবস্থা আছে উহাই ভালো বাসা…

দুইটি মন একসাথে মিলিত হওয়াকে ভালবাসা বলে। ভালবাসা করলে রাগ অভিমান সুখ দুঃখ সবগুলোর সাথে মোকাবেলা করতে হয়.

দুইটি মনের মিল ভালবাসা এক অদ্ভুত অনুভূতি
ভালোবাসা পৃথিবীর সবচেয়ে দুর্লভ আর আকাঙ্খিত একটি আবেদন। পৃথিবীর সবচেয়ে মধুর কোমল দুরন্ত মানবিক অনুভূতি। ভালোবাসা শব্দটি খুব সহজেই সকলের সহজাত প্রবৃত্তির সাথে মিশে যায়। কেননা জন্মের পর থেকেই মানুষের বেড়ে উঠা এই ভালোবাসাকে কেন্দ্র করেই। ভালোবাসা না থাকলে কোন পরিবার থাকত না। ভালোবাসা নিয়ে ছড়িয়ে আছে অনেক পৌরাণিক উপাখ্যান। সাহিত্য-শিল্প-সংস্কৃতি সর্বত্রই পাওয়া যায় ভালোবাসার সন্ধান। ঠিক কবে এই ভালবাসার উৎপত্তি হয়েছে তা জানা সম্ভব না হলেও এতটুকু জানতে ‍পারি যে, এর ইতিহাস বিবর্তনের চেয়েও আদিম ও পুরোনো। প্রাণীজগতের অন্যান্য সব প্রাণের মাঝে ভালোবাসা পরিলক্ষিত হলেও মানুষ যেভাবে একে জীবন ও প্রেরণার অনুষঙ্গ করেছে তা আর কেউ পারেনি। ভালোবাসা নামের এই অজানা অদেখা আর চাপা কষ্টের সেই অব্যাক্ত অনুভুতিকে মহিমান্বিত করতেই নাকি প্রতি বছরের একটি বিশেষ দিনকে ঘোষণা করা হয়েছে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। যা ইংরেজীতে বলা হয় ভ্যালেন্টাইন্স ডে। পাশ্চাত্যের ক্যালেন্ডার অনুযায়ী এই দিনটি ১৪ ফেব্রুয়ারি।

ভালবাসা এমন জিনিস যেটা মধ্যে বিশ্বাস রাখা জরুরি আর ভালবাসা ২ প্রকার =১/সত্য ভালবাসা ২/মিত্যা ভালবাসা

ইহার কোন স্বাদ বা গন্ধ নায়। ইহা একেক জায়গায় একেক আকার ধারন করে। এটা যখন যার মাথায় ঢোকে তখন ভালবাসা তার স্বভাব, চরিত্র, অভ্যাস, এর উপর ভর করে তার ব্রেইন কে প্রভাবিত করে। এটায় ভালবাসা।

একটি মধুর এবং পবিত্র সম্পর্কের নাম হল ভালোবাসা।ভালোবাসা মানুষকে উদার এবং মহৎ হতে শিখায়। ভালোবাসা নিজেদের কাছে আপনজনের প্রতি দায়িত্ববান হবার শিক্ষা আমাদের। প্রিয়জনের ভালোর কথা চিন্তা করে নিজেদের সুখের কথা চিন্তা নিরে নিজেদের ভালোবাসা উজার করে দেয়। ভালোবাসা কাকে বলে জানতে হলে সাথে থাকুন।

আমাদের চারপাশে সকলের আমরা নানান ধরণের, নানান জাতের, নানান বর্ণের লোক দেখতে পাই। এই মানুষগুলো একে অপরের সাথে একটি মায়ার বন্ধনে আবদ্ধ। তাদের মধ্যে নেই কোন ধরণের হিংসা, নেই কোন হানাহানি, নেই কোন বর্ণবাদ।তারা সকলে যে বন্ধনে আবদ্ধ তার নাম হল ভালোবাসা। আমাদের পরিবারের প্রত্যেক সদস্যদের প্রতি যেমন আমাদের দায়িত্ব থাকে।ঠিক তেমনি করে এই দেশের প্রতি,দেশের মানুষের প্রতি আমাদের রয়েছে একটি টান এবং আবেগের সুসম্পর্ক। সেই আবেগ এবং আমাদের হ্রদয়ের অন্তরের অন্তস্থল থেকে বিদ্যমান সম্পর্কের নাম হল ভালোবাসা।

ভালোবাসা এমন একটি সম্পর্ক যা জাত, বর্ণ, ধর্ম নির্বিশেষে সকল কিছুর উর্ধে বিদ্যমান থাকে। প্রিয়জনের কথা চিন্তা করে,প্রিয়জনের সুখের কথা চিন্তা করে মানুষ নিজের সকল সুখ বিসর্জন দিতে পারে শুধুমাত্র ভালোবাসার টানে। ভালোবাসা ভেদাভেদ ভুলিয়ে দেয়,আপনাকে নতুন করে বাঁচতে শেখায়। ভালোবাসার মধ্যে থাকে না কোন ধরনের ভেদাভেদ,থাকে না কোন ধরণের চাওয়া পাওয়া। ভালোবাসা অন্তরের অন্তস্থলের মধ্যে বিদ্যমান এক সম্পর্কের নাম।

ভালোবাসার কদর রয়েছে যুগে,যুগে, কালে কালে। তাইতো কত কবি সাহিত্যিক যে ভালোবাসা নিয়ে তাদের মনের অভিব্যক্তি আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন তার কোন ধরণের ইয়ত্তা নেই।ভালোবাসা নিয়ে তাই রচিত হয়েছে অজস্র কাব্য, রচনা।ভালোবাসা আমাদের উদার হতে শিখায়,ভালোবাসা আমাদের ভালোবাসা বাঁচতে শেখায়।আপন উদ্যোমে এগিয়ে চলার প্রেরণা যোগায়। ভালোবাসা হতে হয় মানুষের এগিয়ে চলার প্রেরণা। ভালোবাসা আমাদের অন্তরের অন্তস্থল থেকে অপর প্রান্তের মানুষের খেয়াল রাখতে শেখায়।

কোন কারণ ছাড়াই আমাদের ভালোবাসার জন্য নিজেদের সকল ত্যাগ, কষ্ট, সহ্য করতে শেখায়। ভালোবাসা এমন একটি সম্পর্কের নাম যা হতে হয় নিঃস্বার্থ। কোন চাওয়া পাওয়া থাকেনা এই সম্পর্কের মধ্যে। কিন্তু অপর প্রান্তের মানুষের ভালোর কথা,সুখের কথা চিন্তা করে ত্যাগ করার নাম হল ভালোবাসা। ভালোবাসা আমাদের উদার হতে শেখায় আমাদের ভালোভাবে বাচতে শেখায়,আমাদের ত্যাগ করার প্রেরণা যোগায়। ভালোবাসা কাকে বলে জানতে হলে সাথেই থাকুন।

ভালবাসা কাকে বলে.ভালবাসা কাকে বলে কবিতা,ভালবাসা মানে কি

তো আজকে আমরা দেখলাম যে ভালবাসা কাকে বলে এবং আরো অনেক বিস্তারিত বিষয় । যদি পোস্ট ভালো লাগে তাহলে অব্যশয়, আমাদের বাকি পোস্ট গুলো ভিসিট করতে ভুলবেন না!

Leave a Comment