মাতৃভাষা কাকে বলে? | মাতৃভাষা শিক্ষার গুরুত্ব

মাতৃভাষা কাকে বলে: আজকে আমরা জানবো মাতৃভাষা কাকে বলে? এই প্রশ্নের উত্তর পেতে আমাদের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন। আশা করি আপনারা এই প্রশ্নের উত্তর ভালো ভাবে বুঝতে পারবেন।

মাতৃভাষা কাকে বলে,মাতৃভাষা শিক্ষার গুরুত্ব

মাতৃভাষা কাকে বলে,মাতৃভাষা শিক্ষার গুরুত্ব
মাতৃভাষা কাকে বলে

মাতৃভাষা কাকে বলে?

জন্মের পর থেকে একজন মানুষ তার পরিবেশ থেকে প্রথম যে ভাষাটি শেখে এবং যে ভাষায় সে সর্বাধিক স্বচ্ছন্দ বোধ করে, সেটিই ওই ব্যক্তির মাতৃভাষা।

OR: শিশু জন্মের পর তার মায়ের নিকট থেকে শুনে যে ভাষায় কথা বলে তাকে মাতৃভাষা বলে।

OR: মায়ের মুখনিঃসৃত ভাষাকেই মাতৃভাষা বলা হয়।

Also Read: সমবাহু ত্রিভুজ কাকে বলে

OR: মায়ের মুখর কথাই মাতৃভাষা বা মায়ের ভাষা।

মাতৃভাষা অর্থ মায়ের ভাষা। মায়ের কাছ থেকে আমরা যে ভাষা শিখি তাই হলো মাতৃভাষা (Mother Language)। অর্থাৎ, মানুষ জন্মের পর সাধারণত প্রথমে তার মায়ের কাছে লালিত-পালিত হয়, তারই কথা শেখে। তাই জন্মলগ্ন থেকে স্বাভাবিকভাবে মানুষ নিজের মায়ের কাছে যে শিক্ষা পায়, তাকেই তার মাতৃভাষা বলে।

১৯৯৯ সালের ১৭ই নভেম্বর ইউনেস্কো ২১ শে ফেব্রেুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি প্রদান করেন।

ইভান ইলিচের মতে, ক্যাথলিক পূজারীগণ লাতিন ভিন্ন অন্য কোনো ভাষাকে বুঝাতে “মাতৃভাষা” শব্দের প্রথম ব্যবহার করেন।

কেনিয়া, ভারত ও পূর্ব এশীয় কয়েকটি দেশে “মাতৃভাষা” বলতে কোনো জাতিগোষ্ঠীর ভাষাকে বুঝানো হয়ে থাকে।

সিঙ্গাপুরে “মাতৃভাষা” বলতে কোন ভাষায় পারদর্শী তা নয়; বরং কোন জাতিগোষ্ঠীর ভাষাকে বুঝানো হয়।

মাতৃভাষা শিক্ষার গুরুত্ব

প্রত্যেকের নিকট মাতৃভাষার গুরুত্ব অনেক বেশি থাকে কারণ তারা সেই ভাষায় জন্ম থেকে অভ্যস্ত হয়ে ওঠেন এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে সেই ভাষাই তাদের প্রাথমিক শিক্ষা ভাষা হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

এসব কারণে সেই ভাষাকে তারা সহজ এবং সর্বোচ্চ মনের ভাব প্রকাশ হিসেবে গ্রহণ করেন। যেমন আমরা যারা এই মুহূর্তে লেখাটি পড়ছি তাদের সকলেরই মাতৃভাষা বাংলা। এর মূল কারণ আমরা ছোটবেলা থেকে এই ভাষাটি অনুশীলন করে বড় হয়েছি এবং এই ভাষার মাধ্যমে আমরা আমাদের মনের সকল ভাবকে অন্যদের সামনে উপস্থাপন করে থাকি।

এই ছিল ভাষা এবং মাতৃভাষা বিষয়ক আমাদের এই আর্টিকেলটি। এরকম আরো তথ্যবহুল লেখা পড়ার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটকে অনুসরণ করতে পারেন বা ঘুরে দেখতে পারেন।

  1. মাতৃভাষা শিশুর কল্পনাশক্তি ও চিন্তাশক্তির বিকাশে সহায়তা করে।
  2. মাতৃভাষার মাধ্যমে দুর্বোধ্য বিষয়কে সহজে বুঝতে পারা সম্ভব হয়।
  3. মাতৃভাষার মাধ্যমে নিজের সংস্কৃতির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ গড়ে ওঠে।
  4. মনের ভাব সবচেয়ে সহজে প্রকাশ করা যায় মাতৃভাষার মাধ্যমে।

তো আজকে আমরা দেখলাম যে মাতৃভাষা কাকে বলে এবং আরো অনেক বিস্তারিত বিষয় । যদি পোস্ট ভালো লাগে তাহলে অব্যশয়, আমাদের বাকি পোস্ট গুলো ভিসিট করতে ভুলবেন না!

Leave a Comment