কুটির শিল্প কাকে বলে: আজকে আমরা জানবো কুটির শিল্প কাকে বলে? এই প্রশ্নের উত্তর পেতে আমাদের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন। আশা করি আপনারা এই প্রশ্নের উত্তর ভালো ভাবে বুঝতে পারবেন।
কুটির শিল্প কাকে বলে,কুটির শিল্প কি,কুটির শিল্পের উদাহরণ
কুটির শিল্প কাকে বলে?
মাত্র অল্প কয়েকজন মিলে হাতের তৈরিকৃত পণ্যসমূহ স্বল্প পরিসরে তৈরী করার ক্ষেত্রকে বলা হয় কুটির শিল্প।
কোনো ব্যাক্তি যদি ঘরে বসে ছোটখাটো কোনো যন্ত্রপাতি অথবা হাতের সাহায্যে কোনো দ্রব্যসামগ্রী তৈরি করে ওই শিল্পকে কুটির শিল্প বলা হয়। যেমন – তাঁতশিল্প, রেশম শিল্প,কাঁসা শিল্প, কাঠ শিল্প , মৃৎশিল্প, বাঁশ-বেত শিল্প ইত্যাদি।
পারিবারিক শ্রমিক দ্বারা ঘরে বসে কোনরকমের বিদ্যুৎ ও ভারী যন্ত্রপাতির সাহায্য ছাড়াই হাতের সাহায্যে কোনো দ্রব্যসামগ্রী উৎপাদন করাকে কুটির শিল্প বলা হয়। কুটির শিল্প আমাদের গ্রামবাংলার সাথে জুড়ে থাকার একটি মাধ্যম। গ্রামের কর্মীরা তাদের সুনিপন হাতের মাধ্যমে তৈরী করেন খেলনা, ঘর সাজানো, ওয়াল সাজানো পঁয়সহ আরো অনেক কিছু।
সময়ের বিবর্তনে কালের গর্ভে ধীরে ধীরে তা হারিয়ে যেতে বসলেও কেউ কেউ না ঠিকই ধরে রেখেছে এই পেশা। কুটির শিল্প নিয়ে বর্তমানে অনেক ব্র্যাণ্ড এগিয়ে এসেছে। সহজে বাসায় সৌন্দর্য বর্ধনে এই শিল্পের জুড়ি নেই।
Also Read: বিয়োজ্য কাকে বলে
এই পণ্যসমূহ তৈরী করা মোটেও সহজ নয়। বরং বেশ সময় নিয়ে কারিগরদের সুনিপন হাতে তৈরী এই সকল পণ্যসমূহ তুলে ধরেন দেশিয় ঐতিহ্য হিসেবে আমাদের সামনে। অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে তৈরিকৃত এই সকল পণ্যসমূহ কারিগররা নিজেদের শখের বসেই তৈরী করেন।
কুটির শিল্পের উদাহরণ
- কুমোর মাটির জিনিসপত্র তৈরি করে।
- কাঠের মিস্ত্রি কাছের আসবাবপত্র বানায়।
- কাগজের ঠোঙ্গা বানানো।
- কামার কাঁচি, কাস্তে, হাতুড়ি বানায়।
- ঘরে বসে জামাকাপড় তৈরি করা।
- ঘরে বসে পুতুল বানানো।
- বাঁশ ও বেতের ঝড়া বানানো।
- সোনার দোকানি সোনার জিনিসপত্র বানায়।
এরকম অসংখ্য শিল্পকে কুটির শিল্প বলা হয়।
যে সমস্ত দ্রব্যসামগ্রী কুটিরের মধ্যে অর্থাৎ কোনো ছোটখাটো ঘর অথবা ছোটখাটো দোকানের মধ্যে উৎপাদন হয়ে থাকে তাকেই কুটির শিল্প বলা হয়ে থাকে।
কুটির শিল্পের ক্ষেত্রে খুব বড়ো বড়ো মেশিন ব্যাবহার করা হয়ে থাকে না।
Also Read: কৃষি কাকে বলে
কুটির শিল্পের ভালো দিকগুলি
- ছোট ছোট ঘরে কুটির শিল্পের মাধ্যমে বেকারের সমস্যা অনেকটা সমাধান হয়।
- কুটির শিল্পের ফলে সহজে পছন্দমতো দ্রব্যসামগ্রী বানানো সম্ভব হয়।
- কুটির শিল্পের ফলে প্রচুর কর্মসংস্থান তৈরি হয়।
কুটির শিল্পের গুরুত্ব
- কুটির শিল্প শুধু কর্ম সংস্থান দেয়না সেই সঙ্গে আমাদের ঐতিহ্যকে ও তুলে ধরে।
- কুটির শিল্প অঞ্চিলিক ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি কে তুলে ধরতে অনন্য অবদান রাখে।
বর্তমানে কুটির শিল্পের অবস্থান
বৃহৎ শিল্পের কারণে বর্তমানে কুটির শিল্পের অবনতি হচ্ছে।বর্তমানে কুটির শিল্পের অবস্থা খুবই খারাপ বৃহৎ শিল্পের কারণে।এর কারণ হলো বৃহৎ শিল্পে ব্যবহৃত বড় বড় মেশিন ব্যাবহার করে একসঙ্গে প্রচুর পরিমাণ দ্রব্যসামগ্রী উৎপাদন করার ফলে উৎপাদিত জিনিসপত্রের দাম কম হয় কুটির শিপ্লের উৎপাদিত দ্রব্য সামগ্রীর তুলনায়।
তাই বৃহৎ শিল্পের দ্রব্যসামগ্রী বাজারে সস্তায় পাওয়া যায় এবং বেশি বিক্রি হওয়ার ফলে কুটির শিল্পের দ্রব্যের চাহিদা কমে গেছে।
তো আজকে আমরা দেখলাম যে কুটির শিল্প কাকে বলে এবং আরো অনেক বিস্তারিত বিষয় । যদি পোস্ট ভালো লাগে তাহলে অব্যশয়, আমাদের বাকি পোস্ট গুলো ভিসিট করতে ভুলবেন না!