প্রাথমিক চিকিৎসা কাকে বলে: আজকে আমরা জানবো প্রাথমিক চিকিৎসা কাকে বলে? এই প্রশ্নের উত্তর পেতে আমাদের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন। আশা করি আপনারা এই প্রশ্নের উত্তর ভালো ভাবে বুঝতে পারবেন।
প্রাথমিক চিকিৎসা,প্রাথমিক চিকিৎসা ২০,কেটে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা,প্রাথমিক চিকিৎসা বক্স
প্রাথমিক চিকিৎসা কাকে বলে?
পরীক্ষাগারে ব্যবহারিক ক্লাস করার সময় ছোট খাট দুর্ঘটনা ঘটতেই পারে। ল্যাবরেটরিতে ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্য এবং বিভিন্ন কাচের যন্ত্রপাতি হতে দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। এসব দুর্ঘটনা ঘটার সাথে সাথে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়ার আগেই ক্ষয়ক্ষতি হ্রাসের জন্য তাৎক্ষণিক যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা বলে।
ল্যাবরেটরির জন্য ফার্স্ট এই বক্সে (প্রাথমিক চিকিৎসা বাক্স) নিম্নলিখিত দ্রব্যগুলো থাকা আবশ্যকীয়ঃ
- শুকনা তুলা ও ব্যান্ডেজ, কিছু ব্যান্ড এইড, ক্রসটেপ।
- এন্টিসেপটিক জাতীয় যেমন- স্যাভলন বা ডেটল, টিংচার আয়োডিন।
- দুই তিন ধরনের ফোরসেফ।
- বার্নল (Burnol), বোরিক এসিড, ভেসলিন ইত্যাদি।
- ক্ষত পরিষ্কার করার জন্য অ্যালকোহল বা এ জাতীয় অন্য কোনো পরিষ্কারক।
- ছোট কাঁচি এবং চাকু।
- ইনহেলার।
- পোভিডোন – আয়োডিন দ্রবণ।
- ব্যথা ও জ্বর উপশম জাতীয় ঔষধ, যেমন – প্যারাসিটামল, এসপিরিন ইত্যাদি।
- অ্যান্টিবায়োটিক পাউডার বা ক্রিম, যেমন – নেবানল পাউডার বা ক্রিম।
Also Read: ব্যবসায় কাকে বলে
ব্যবহার বিধি
1.কাচে বা অন্য কিছুতে হাত বা পা কেটে গেলে ক্ষতস্থানটি পরিষ্কার পানি বা অ্যালকোহল দিয়ে পরিষ্কার করে শুকনা কাপড় দিয়ে মুছে ব্যান্ড এই লাগানো যায় অথবা স্যাভলন দিয়ে ব্যান্ডেজ করে রাখতে হবে। ক্ষত বেশি হলে অ্যান্টিবায়োটিক পাউডার বা ক্রিম দিয়ে ব্যান্ডেজ করতে হবে।
2.কোনো স্থান পুড়ে গেলে অ্যালকোহল দিয়ে পরিষ্কার করে পিকরিক এসিড দ্রবণ ব্যবহার করা যায় অথবা বার্নল লাগানো যায়। বর্তমানে গরম পানিতে পুড়ে গেলে প্রচুর পরিমাণে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধৌত করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়।
3.সামান্য কেটে গেলে হেক্সাসোল বা পোভিডোন – আয়োডিন দ্রবণের সাহায্যে পরিষ্কার করে ব্যান্ড এইড লাগিয়ে দেওয়া যায়।
4.ক্ষতস্থানে কাচের টুকরা ঢুকে গেলে তা ফোরসেফ দিয়ে বের করে এনে পরিষ্কার করে মুছে অ্যান্টিবায়োটিক পাউডার বা ক্রিম দিয়ে ব্যান্ডেজ করতে হবে।
ফার্স্ট এইড বক্সে or প্রাথমিক চিকিৎসা বক্সে কি কি থাকে?
ফার্স্ট এইড বক্সে সংরক্ষিত প্রয়োজনীয় সরঞ্জমাদীর নাম ও ব্যবহার নিম্নে দেওয়া হলো ঃ
১. ছোট জীবানুমুক্ত ব্যান্ডিজ ঃ ছোট কাটা বা ক্ষতস্থানে ঢেকে রাখতে ব্যবস্থা করা হয়।
২. মাঝারী আকারের জীবানুমুক্ত ব্যান্ডিজ ঃ মাঝারি আকারের কাটা বা ক্ষতস্থানে ঢেকে রাখতে ব্যবহার করা হয়। যাতে করে ময়লা ও জীবানু ক্ষতস্থানে প্রবেশ করতে না পারে।
৩. বড় আকারের জীবানুমুক্ত ব্যান্ডিজ ঃ বড় আকারের কাটা বা ক্ষতস্থানে ঢেকে রাখতে ব্যবহার করা হয়। যাতে করে ময়লা ও জীবানু ক্ষতস্থানে প্রবেশ করতে না পারে।
Also Read: মিয়োসিস কোষ বিভাজন কাকে বলে
৪. বড় আকারের জীবানুমুক্ত ব্যান্ডিজ (পোড়ার ক্ষেত্রে) ঃ সব ধরনের পোড়ার ক্ষেত্রে ব্যবহার করার প্রয়োজন হয়না। বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। যেমন – শরীরে বড় আকারে পুড়ে গেলে।
৫. (১/২)আউন্স জীবানুমুক্ত তুলা ঃ ক্ষত স্থানে জীবানু নাশক প্রয়োগ ও ক্ষতস্থানকে পরিষ্কার করা হয়।
৬. ২% আয়োডিন এলকোহলিক দ্রবন ঃ দ্রুত ক্রিয়াশীল বিস্তৃত বর্ণনীয় জীবানু বিনাশকারী দ্রবন, যা অপরিষ্কার হাতকে জীবানুমুক্ত করে। এছাড়া অক্ষত ত্বককে জীবানুমুক্ত করার কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে।
৭. ৪” চওড়া রোলার ব্যান্ডিজ ঃ মচকে যাওয়া ও ভেঙ্গে যাওয়া স্থানে শক্তভাবে বাধানোর কাজে ব্যবহার করা হয়।যাতে করে খারাপের দিকে যেতে না পারে।
৮. ২” চওড়া রোলার ব্যান্ডিজ ঃ জীবানু মুক্ত গজ যা ক্ষত স্থানকে ঢেকে রাখতে ব্যবহার করা হয়
৯. এডহেসিভ প্লাষ্টার ঃ ক্ষত স্থানের উপর ব্যান্ডিজকে আটকিয়ে রাখতে ব্যবহার করা হয়।
১০. ত্রিকোণাকৃতি ব্যান্ডিজ ঃ হাতের কনুই ভেঙ্গে গেলে বা মচকে গেলে ত্রিকোণাকৃতি ব্যান্ডিজ ব্যবহার করা হয়।
১১. সেফটি পিন ঃ রাবার ব্যান্ডেজের ক্ষেত্রে ইহা ব্যবহার করা হয়।
১২. রেক্টিফাইড স্প্রিট ঃ রক্ত বন্ধ করার জন্য এবং ক্ষত স্থানকে পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়।
১৩. টর্নিকুয়েট ঃ রক্তপাত বন্ধ করার উপকরন হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
১৪. বাঁেশর / কাঠের চটি ঃ ভেঙ্গে যাওয়া বা মচকে যাওয়া স্থানে বাশের চটি দিয়ে শক্ত করে বেঁেধ দিতে হয়।
১৫. খাবার স্যালাইন ঃ অতিরিক্ত ঘাম অথবা পাতলা পায়খানারদ্বারা পানি শূন্যতা দেখা দিলে খাবার স্যালাইন খেতে হবে।
১৬. হেক্সিসল ঃ হাত ও অক্ষত ত্বকের উপরে ব্যবহার করা হয়।
১৭. গজের টুকরা ঃ ক্ষত স্থানে জীবানু নাশক প্রয়োগে ব্যবহার করা হয়।
১৮. সিল ক্রিম / বার্ণ ক্রিম ঃ পুড়ে যাওয়া অংশে লাগানো হয়।
১৯. স্যাভলন ক্রিম ঃ ক্ষত স্থানের রক্ত ক্ষরন বন্ধ করার জন্য ব্যবহার করা হয়।২০. পভিসেফ ঃ ক্ষত স্থানকে জীবানু মুক্ত করার জন্য ব্যবহার করা হয়।
২১. আই ওয়াশ ঃ চোখ পরিষ্কার করার জন্য ব্যবহার করা হয়।
২২. সার্জারিক্যাল কাঁিচ ঃ প্রাথমিক চিকিৎসায় ব্যবহারিত উপকরনাদি কাটার জন্য ব্যবহার করা হয়।
২৩. সার্জারিক্যাল হ্যান্ড গ্লাভস ঃ কাটা ছিড়া সেলাই ও রক্ত পরিষ্কার করার জন্য ব্যবহারিত হয়।
২৪. ইলাষ্টিক / ওয়ান টাইম ব্যন্ডিজ ঃ জীবানু থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ব্যবহারিত হয়।
২৫. নিক্স ঃ মাথা ব্যাথার উপশম হিসেবে ব্যবহারিত হয়।
২৬. এন্টাসিড ট্যাবলেট ঃ গ্যাস্ট্রিকের ব্যাথা অনুভব হলে খেতে হবে।
তো আজকে আমরা দেখলাম যে প্রাথমিক চিকিৎসা কাকে বলে এবং আরো অনেক বিস্তারিত বিষয় । যদি পোস্ট ভালো লাগে তাহলে অব্যশয়, আমাদের বাকি পোস্ট গুলো ভিসিট করতে ভুলবেন না!
প্রাথমিক চিকিৎসা,প্রাথমিক চিকিৎসা ২০,কেটে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা,প্রাথমিক চিকিৎসা বক্স,সঠিক প্রাথমিক চিকিৎসা,হাত পা কেটে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা,প্রাথমিক চিকিৎসা শিখুন,প্রাথমিক – চিকিৎসা বাক্স,স্ট্রোকের প্রাথমিক চিকিৎসা,প্রাথমিক চিকিৎসা প্রশিক্ষণ,প্রাথমিক চিকিৎসার উপকরণ,আগুনে পুড়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা,পানিতে ডুবে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা,ল্যাবরেটরির প্রাথমিক চিকিৎসা,প্রাথমিক চিকিৎসা বাক্সে কি রাখবেন?,প্রাথমিক চিকিৎসার সরঞ্জাম,পোড়া জায়গার প্রাথমিক চিকিৎসা