উচ্চারণ রীতি কাকে বলে? বিস্তারিত…

উচ্চারণ রীতি কাকে বলে: আজকে আমরা জানবো উচ্চারণ রীতি কাকে বলে? এই প্রশ্নের উত্তর পেতে আমাদের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন। আশা করি আপনারা এই প্রশ্নের উত্তর ভালো ভাবে বুঝতে পারবেন।

উচ্চারণ রীতি কাকে বলে
উচ্চারণ রীতি কাকে বলে

উচ্চারণ রীতি কাকে বলে?

শব্দের যথাযথ উচ্চারণের জন্য কিছু নিয়ম বা সূত্র রয়েছে এইসব নিয়ম-কানুনের সমষ্টিকে উচ্চারণ রীতি বলে।

অথবা: শব্দের যথাযথ উচ্চারণের নিয়ম বা সূত্রের সমষ্টিকে উচ্চারণরীতি বলে।

ভাষাতত্ত্ববিদ ও ব্যাকরণবিদ্গণ বাংলা ভাষার প্রতিটি শব্দের যথাযথ সঠিক উচ্চারণের জন্য কতকগুলো নিয়ম বা সূত্র প্রণয়ন করেছেন। এই নিয়ম বা সূত্রের সমষ্টিকে বলা হয় বাংলা ভাষার উচ্চারণনীতি।

শুদ্ধ উচ্চারণ কেন প্রয়োজন?

শুদ্ধ উচ্চারণ কেন প্রয়োজন: বাংলা উচ্চারণের শুদ্ধতা রক্ষিত না হলে আমাদের ভাষার মূল অর্থ বা উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হয়। ভাষার অর্থ বোঝার বা বোধগম্যতার জন্য উচ্চারণের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তাই শুদ্ধ উচ্চারণ একদিকে যেমন ঠিক ভাবে মনোভাব প্রকাশে সহায়ক করে, তেমনি আবার শব্দের অর্থবিভ্রান্তি ও বিকৃতি ঘটার সম্ভাবনা থেকেও আমাদের মুক্ত রাখে। তাই শুদ্ধ উচ্চারণের প্রয়োজন অপরিসীম।

Also Read: নিষেক কাকে বলে

বাংলা উচ্চারণের নিয়ম

বাংলা উচ্চারণের কয়েকটি নিয়ম নিচে তুলে ধরা হলো –

1.শব্দের শুরুতে যদি অ থাকে এবং পরে যদি ই, ঈ, উ, ঊ, ক্ষ, জ্ঞ, য-ফলা বা ঋ-কার থাকে তাহলে অ-এর উচ্চারণ ও-এর উচ্চারণ ও-কারের মতো হয়। যেমন– অতি (ওতি), তরু (তোরু),নদী (নোদি), মসৃণ (মোসৃন্),ময়ূর (মোয়ুর্), পক্ষ (পোকখো), যজ্ঞ (জোগগো), বন্য (বোননো)।

2.শব্দের আদ্য ব্যঞ্জনবর্ণে ব-ফলা সংযুক্ত হলে সে ব-এর কোনো উচ্চারণ হয় না। যেমন– স্বাধিকার (শাধিকার্), ত্বক (তক্),ধ্বনি (ধোনি), স্বাগত (শাগতো) ইত্যাদি।

3.শব্দের মধ্যে কিংবা শেষে ব-ফলা থাকলে সংযুক্ত বর্ণের উচ্চারণ দুইবার হয়ে থাকে। যেমন– বিশ্ব (বিশশো), পক্ব (পককো),বিদ্বান (বিদদান), ইত্যাদি।

4.শব্দের আদ্য ব্যঞ্জনবর্ণে ম-ফলা যুক্ত হলে সাধারণত তার কোনো উচ্চারণ হয় না। যেমন– শ্মশান (শঁশান্),স্মরণ (শঁরোন্), স্মারক (শাঁরোক্) ইত্যাদি (শাঁরোক্) ইত্যাদি।

তো আজকে আমরা দেখলাম যে উচ্চারণ রীতি কাকে বলে এবং আরো অনেক বিস্তারিত বিষয় । যদি পোস্ট ভালো লাগে তাহলে অব্যশয়, আমাদের বাকি পোস্ট গুলো ভিসিট করতে ভুলবেন না!

Leave a Comment