জীবাশ্ম জ্বালানি কাকে বলে? | জীবাশ্ম জ্বালানির প্রকার, ব্যবহার, সুবিধা ও অসুবিধা

জীবাশ্ম জ্বালানি কাকে বলে: আজকে আমরা জানবো জীবাশ্ম জ্বালানি কাকে বলে? এই প্রশ্নের উত্তর পেতে আমাদের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন। আশা করি আপনারা এই প্রশ্নের উত্তর ভালো ভাবে বুঝতে পারবেন।

জীবাশ্ম জ্বালানি কাকে বলে,জীবাশ্ম জ্বালানির প্রকার,জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার, জীবাশ্ম জ্বালানির সুবিধা ও অসুবিধা
জীবাশ্ম জ্বালানি কাকে বলে

জীবাশ্ম জ্বালানি কাকে বলে?

মৃত উদ্ভিদ ও প্রাণী ২০০ মিলিয়ন বা তার চেয়ে বেশি বছর মাটির নিচে থেকে উচ্চ তাপ ও চাপে কয়লা, প্রাকৃতিক গ্যাস বা খনিজ তেলে পরিণত হয় বলে এগুলোকে জীবাশ্ম বলে।

জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার

জীবাশ্ম জ্বালানি –

  • বিদ্যুৎ উৎপাদনে
  • পেট্রোকেমিক্যাল শিল্পে
  • জ্বালানি হিসেবে
  • রাসায়নিক সার ব্যবহার করা হয়।
  • প্লাস্টিক, রং এবং এমনকি ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।

Also Read: প্রেম কাকে বলে

জীবাশ্ম জ্বালানির প্রকারভেদ

জীবাশ্ম জ্বালানিগুলো প্রধানত তিন ধরনের হয়ে থাকে। এগুলো হলো:

  1. কয়লা
  2. তেল এবং
  3. প্রাকৃতিক গ্যাস।

কিভাবে জীবাশ্ম জ্বালানী ব্যবহার করা হয়?

জীবাশ্ম জ্বালানি শক্তি উৎপাদনের জন্য পোড়ানো হয়। বড় বড় বিদ্যুৎ কেন্দ্রে অক্সিজেনের উপস্থিতিতে সেগুলো পুড়িয়ে ফেলা হয়। জ্বালানী পোড়ার সাথে সাথে তাপ শক্তি জলকে গরম করার জন্য ব্যবহৃত হয়, এটি উত্তপ্ত হওয়ার সাথে সাথে এটি বাষ্প উৎপন্ন করে যা ঘুরে টারবাইন চালায়।

জ্বালানীতে সঞ্চিত রাসায়নিক শক্তি থেকে শক্তির রূপান্তর হয়, তাপ শক্তিতে জ্বলে যা গতিশক্তিতে রূপান্তরিত হয় কারণ এটি বড় টারবাইন চালায় এবং অবশেষে এটি বৈদ্যুতিক শক্তিতে রূপান্তরিত হয়।

অক্সিজেনের উপস্থিতিতে মিথেন (প্রাকৃতিক গ্যাস) পোড়ানোর রাসায়নিক বিক্রিয়া (CO2 ) কার্বন ডাই অক্সাইড এর উৎপাদন দেখায়:

CH4 + 2O2 → CO2 + 2H2O

জীবাশ্ম জ্বালানি তৈরির প্রক্রিয়া

প্রাগৈতিহাসিক কালে উদ্ভিদ ও জলাভূমির প্রাণী প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে কাঁদামাটির নিচে চাপা পড়ে। কাঁদামাটির স্তর মৃত উদ্ভিদ ও প্রাণিদেহের বায়ুর উপস্থিতিজনিত ক্ষয় রোধ করে। ভূ-প্রকৃতি ও জলবায়ুর পরিবর্তনে উদ্ভিদ ও প্রাণিদেহ জলাভূমি ও বালুস্তরের নিচে ছিদ্রবিহীন শিলাখণ্ডের দুটি স্তরের মাঝে আটকা পড়ে।

উচ্চ তাপ ও চাপে বায়ুর অনুপস্থিতিতে উদ্ভিদ ও প্রাণিদেহ হাজার হাজার বছরে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে জীবাশ্ম জ্বালানিতে পরিণত হয়।

Also Read: ঈমান কাকে বলে

জীবাশ্ম জ্বালানীর সুবিধা

  • জীবাশ্ম জ্বালানি একক স্থানে প্রচুর পরিমাণে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করতে পারে।
  • পাইপলাইনের মাধ্যমে তেল ও গ্যাস পরিবহন সহজে করা যায়।
  • এগুলো খুব সহজেই পাওয়া যায়।
  • সাশ্রয়ী হয়।
  • একটি সীমিত সম্পদ হওয়া সত্ত্বেও, এটি প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়।
  • জীবাশ্ম জ্বালানীর অসুবিধা

জীবাশ্ম জ্বালানির অসুবিধা

  • কয়লা এবং পেট্রোলিয়াম পোড়ানোর ফলে প্রচুর দূষণকারী পদার্থ উৎপন্ন হয়, যার ফলে বায়ু দূষণ হয়।
  • জীবাশ্ম জ্বালানী কার্বন, নাইট্রোজেন, সালফার ইত্যাদির অক্সাইড নির্গত করে, যা অ্যাসিড বৃষ্টির কারণ হয়, যা মাটির উর্বরতা এবং পানীয় জলকে প্রভাবিত করে।
  • জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোর ফলে কার্বন ডাই অক্সাইডের মতো গ্যাস উৎপন্ন হয় যা বৈশ্বিক উষ্ণতা সৃষ্টি করে।

SOME FAQ:

জীবাশ্ম জ্বালানি কি নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস?

জীবাশ্ম জ্বালানী শক্তির একটি অ-নবায়নযোগ্য উৎস। আমাদের দ্বারা ব্যবহৃত বেশিরভাগ শক্তি জীবাশ্ম জ্বালানী পোড়ানোর মাধ্যমে পাওয়া যায়।

কোন দেশ সবচেয়ে বেশি জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ায়?

চীন সবথেকে বেশি পরিমান জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার করে।

তো আজকে আমরা দেখলাম যে জীবাশ্ম জ্বালানি কাকে বলে এবং আরো অনেক বিস্তারিত বিষয় । যদি পোস্ট ভালো লাগে তাহলে অব্যশয়, আমাদের বাকি পোস্ট গুলো ভিসিট করতে ভুলবেন না!

Leave a Comment