তড়িৎ ঋণাত্মকতা কাকে বলে: আজকে আমরা জানবো তড়িৎ ঋণাত্মকতা কাকে বলে? এই প্রশ্নের উত্তর পেতে আমাদের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন। আশা করি আপনারা এই প্রশ্নের উত্তর ভালো ভাবে বুঝতে পারবেন।
তড়িৎ ঋণাত্মকতা কাকে বলে?
OR: কোনো অণুতে উপস্থিত দু’টি পরমাণুর মধ্যে শেয়ারকৃত ইলেকট্রন যুগলকে একটি পরমাণুর নিজের দিকে আকর্ষন করার ক্ষমতাকে তার তড়িৎ ঋণাত্মকতা বলে।
OR: দুটি পরমাণুর যখন সমযোজী বন্ধনে আবদ্ধ হয় এবং অনুতে পরিণত হয়, তখন অনুর পরমাণুগুলো বন্ধন এর ইলেকট্রন দুটিকে নিজের দিকে আকর্ষণ করে। পরমাণু গুলোর এই আকর্ষণকে তড়িৎ ঋণাত্মকতা বলা হয়।
উদাহরণঃ H-Cl অণুতে একটি ইলেকট্রন যুগল উভয় পরমাণুর নিউক্লিয়াসের চারদিকে পরিভ্রমণ করে। একে শেয়ারকৃত ইলেকট্রন যুগল বলে। কিন্তু গড়ে এ ইলেকট্রন হাইড্রোজেন পরমাণু অপেক্ষা ক্লোরিন পরমাণুর নিকটে অধিক আকৃষ্ট হয়। এর কারণ হচ্ছে, ক্লোরিন হাইড্রোজেন অপেক্ষা শেয়ারকৃত ইলেকট্রন যুগলকে অধিকতর আকর্ষণ করে।
Also Read: ভাজক কাকে বলে
তড়িৎ ঋণাত্মকতা একটি পর্যায়বৃত্ত ধর্ম
তড়িৎ ঋণাত্মকতা একটি পর্যায়বৃত্ত ধর্ম। অর্থাৎ পর্যায়ক্রমিকভাবে এদের তড়িৎ ঋণাত্মকতার মান কমতে পারে বা বাড়তে পারে। আবার একই গ্রুপে উপর থেকে নিচে আসলে তড়িৎ ঋণাত্মকতার মান কমতে পারে বা বাড়তে পারে। এখন আমরা জানবো কিভাবে তড়িৎ ঋণাত্মকতার মান পর্যায়ক্রমিকভাবে বাড়ে বা কমে।
একই পর্যায়ের বামদিকের মৌলের পারমাণবিক ব্যাসার্ধ বেশি হয় এবং ডান দিকের মৌলের পারমাণবিক ব্যাসার্ধ কম হয়। পারমাণবিক ব্যাসার্ধ কম হলে তড়িৎ ঋণাত্মকতার মান বৃদ্ধি পায় এবং পারমাণবিক ব্যাসার্ধ কম বাড়লে তড়িৎ ঋণাত্মকতার মান হ্রাস পায়। সুতরাং বামদিকের মৌলগুলোর তড়িৎ ঋণাত্মকতার মান কম হবে। যতই বাম থেকে ডান দিকে যাওয়া যাবে ততই মৌলগুলোর তড়িৎ ঋণাত্মকতার মান বৃদ্ধি পাবে।
Also Read: হাদিস কাকে বলে
তো আজকে আমরা দেখলাম যে তড়িৎ ঋণাত্মকতা কাকে বলে এবং আরো অনেক বিস্তারিত বিষয় । যদি পোস্ট ভালো লাগে তাহলে অব্যশয়, আমাদের বাকি পোস্ট গুলো ভিসিট করতে ভুলবেন না!