নাটক কাকে বলে: আজকে আমরা জানবো নাটক কাকে বলে? এই প্রশ্নের উত্তর পেতে আমাদের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন। আশা করি আপনারা এই প্রশ্নের উত্তর ভালো ভাবে বুঝতে পারবেন।
নাটক কাকে বলে?
ত্রিমাত্রিক আয়তনে দর্শকদের সামনে অভিনেতা-অভিনেত্রীদের মাধ্যমে সমাজের কিছু ঘটনা বা কোন একটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে যে যোগাযোগ মাধ্যম সৃষ্টি করা হয়,তাকে নাটক বলে ।
নাটকের বৈশিষ্ট্য গুলি লেখ
- নাটক জীবনেরই সুদৃশ্য রূপায়ণ। দর্শন এবং শ্রবণ-ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য বলে নাটককে একই সাথে দৃশ্যকাব্য ও শ্রব্যকাব্য বলা হয়ে থাকে।
- নাটকে ঘটনার দ্বন্দ্ব নাটকীয় দ্বন্দ্বে রূপায়িত হয়। তখনই নাটকে আসে দুর্বার গতি।
- নাটকের মধ্যে নাট্যকারের বলিষ্ঠ জীবনবোধ, জীবনদর্শন ও বাস্তব দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিফলিত হয়।
- একটি সার্থক নাটকে ৫টি অংক এবং প্রতি অংকে ৩টি করে সর্বমোট ১৫টি দৃশ্য থাকে।
- সংলাপ এবং নাটকীয়তা হলো নাটকের প্রাণ। নাটকের আখ্যানভাগকে ভিত্তি করে কুশীলবদের চরিত্র ও সংলাপের মধ্য দিয়ে নাটকের নাটকীয়তা সৃষ্টি করা হয়।
- অংক ৫টিতে ঘটনা বিন্যাসের ৫টি বিশেষ পর্যায় বা অবস্থা সংস্থাপিত হয়। যেমন- প্রারম্ভ, প্রবাহ, উৎকর্ষ, গ্রন্থিমোচন এবং উপসংহার।
- নাটক অভিনয় নির্ভর। অভিনেতা নিজেকে রূপান্তরিত করে নির্দিষ্ট চরিত্রের সাথে এক হয়ে যান। তাই নাটক হচ্ছে Imitation of life.
- নাটককে Collective Art বলা হয়ে থাকে। কারণ, এতে একটি আখ্যানভাগের উপজীব্যে রঙ্গমঞ্চের পরিসরে পাত্র পাত্রীর সংলাপ ও অভিনয়ের মধ্যদিয়ে গতিমান মানব জীবনের শিল্পীত প্রকাশ ঘটে থাকে।
Also Read: সংকরায়ন কাকে বলে
নাটকের উপাদান কয়টি ও কি কি?
নাটকের ৬ টি উপাদানের কথা এরিস্টটল বলেছেন। যথা:
- কাহিনী
- চরিত্র
- ভাবনা
- সংলাপ
- দৃশ্য
- সঙ্গীত
নাটকের আঙ্গিক ও গঠনকৌশল
সাহিত্যের অন্যান্য শাখা মূলত পাঠের জন্য হলেও নাটক প্রধানত অভিনয়ের জন্য। তাই এর বিশেষ কিছু গঠনবৈশিষ্ট্য রয়েছে। ক্ষেত্রবিশেষে পার্থক্য থাকলেও নাটকে সাধারণত চারটি উপাদান থাকে।
সেগুলো হলো–
- কাহিনী
- চরিত্র
- সংলাপ
- পরিবেশ
নাটকের পাত্রপাত্রী বা চরিত্রগুলোর সংলাপ অথবা পারস্পরিক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার ভেতর দিয়ে একটি কাহিনী গড়ে ওঠে। কাহিনীটি হয়তো মানবজীবনের কোনো খণ্ডাংশকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়।
প্রতিটি নাটকে এক বা একাধিক চরিত্র থাকে। নাটকের কাহিনী বা ঘটনা মূলত নাটকের এই পাত্রপাত্রী বা চরিত্রকে নির্ভর করেই গড়ে ওঠে। চরিত্রগুলোর পারস্পরিক দ্বন্দ্ব-সংঘাতের ভেতর দিয়ে নাটকের কাহিনী প্রকাশিত হয়। আবার চরিত্রগুলো মুখর হয় সংলাপের ভেতর দিয়ে।
বলা যায়, সংলাপ নাটকের প্রাণ। সংলাপ কাহিনী ও চরিত্রগুলোকে ব্যক্ত করে পরিণতির দিকে নিয়ে যায়। সংলাপের মাধ্যমেই তৈরি হয় নাট্য পরিস্থিতি। উপন্যাস বা গল্পে লেখক বর্ণনার মাধ্যমে বিভিন্ন পরিবেশ পরিস্থিতি সৃষ্টি ও ব্যাখ্যা করতে পারেন। নাটকে সে সুযোগ থাকে না। এ ক্ষেত্রে প্রধান অবলম্বন সংলাপ। তাই নাটকের সার্থকতা অনেকাংশে নির্ভর করে সংলাপের ওপর।
তো আজকে আমরা দেখলাম যে নাটক কাকে বলে এবং আরো অনেক বিস্তারিত বিষয় । যদি পোস্ট ভালো লাগে তাহলে অব্যশয়, আমাদের বাকি পোস্ট গুলো ভিসিট করতে ভুলবেন না!