বাংলা ভাষা কাকে বলে: আজকে আমরা জানবো বাংলা ভাষা কাকে বলে? এই প্রশ্নের উত্তর পেতে আমাদের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন। আশা করি আপনারা এই প্রশ্নের উত্তর ভালো ভাবে বুঝতে পারবেন।
বাংলা ভাষা কাকে বলে,বাংলা ভাষার উদ্ভব ও বিকাশ

বাংলা ভাষা কাকে বলে?
বাঙালি যে ভাষায় কথা বলে সেটাই বাংলা ভাষা। বাংলা ভাষা হচ্ছে বাংলাদেশের মাতৃভাষা। বর্তমানে পৃথিবীতে বাংলা ভাষার স্থান হচ্ছে চতুর্থ।
OR: বাঙালিরা বা বাংলাদেশের জনগোষ্ঠীরা মনের ভাব প্রকাশ করার জন্য যে ভাষায় কথা বলে তাকে বাংলা ভাষা বলে।
বাংলা ভাষার প্রকারভেদ নেই তবে অঞ্চলভেদে এর নাম আছে। পৃথিবীর সব প্রান্তেই এখন বাঙালির জয়জয়কার। সাহিত্য, সংস্কৃতি, খেলাধুলো, ব্যবসা, বাণিজ্য, বিজ্ঞান-প্রযুক্তি সবকিছুতেই বাঙালি চলে এসেছে প্রথম সারিতে। এমনকী লোকসংখ্যার বিচারেও। ভাষা ব্যবহারের দিক থেকে তো পৃথিবীতে চতুর্থ স্থানে রয়েছে এই বাংলা ভাষা।
Also Read: ত্রিভুজ কাকে বলে
বাংলা ভাষার উদ্ভব ও বিকাশ
পৃথিবীর সকল ভাষার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ইন্দো-ইউরোপীয় আর্য ভাষা। কালক্রমে ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা রুপান্তর হয়ে বর্তমানে বাংলা ভাষা এসেছি বলে ধারণা করা হয়। কিন্তু এখনো সকলের মনে প্রশ্ন উঠে যে, কিভাবে বাংলা ভাষার উদ্ভব হয়েছে?
আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ২৫০০ অব্দে মূল আর্য ভাষাভাষী মানুষ রাশিয়ার উরাল পর্বত এর পাদদেশ থেকে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছে। কারণ এই আর্য বা ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা থেকে পৃথিবীর ১০টি দেশের ভাষা উদ্ভব হয়। আর এই সকল ভাষার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ইন্দো-ইরানীয়।
আর এই ইন্দো-ইরানীয় ভাষা থেকে ইরানীয় আর্য এবং দরদীয় ও ভারতীয় আর্য ভাষার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা যায়। ভারতীয় প্রাচীন আর্য ভাষার দুটি ধরন ছিল। যার মধ্যে একটি হচ্ছে এবং অন্যটি হচ্ছে সাহিত্যরূপ। তাছাড়া সাহিত্য ভাষায় বেদ গ্রন্থটি লেখা হয়েছিল।
এছাড়াও কত রূপে মোট চারটি আঞ্চলিক উপভাষা রয়েছে। সেগুলো হচ্ছে প্রাচ্য, উদীচ্য, মধ্যদেশীয় এবং দাক্ষিণাত্য। আর এই সকল উপভাষা গুলি মানুষের মুখে স্বাভাবিকভাবে পরিবর্তনের মাধ্যমে ভারতীয় আর্য ভাষা।
অন্যদিকে প্রাচ্য ভাষা থেকে প্রাচ্য প্রাকৃত অ প্রাচ্য মধ্যা প্রাকৃত ভাষার জন্ম হয়। এরপর প্রাকৃত ভাষার বিবর্তনের ফলে দ্বিতীয় স্তরে প্রাচ্য থেকে মাগদি সাহিত্য প্রকৃতির জন্ম হয়েছে। তারপর তৃতীয় স্তরে জন্ম নেয় সাহিত্যিক প্রাকৃতিক কথ্য রূপ থেকে অপভ্রংশ।
ভারতীয় আর্য ভাষার তৃতীয় যুগে আনুমানিক ৯০০ খ্রিস্টাব্দে যখন পদার্পণ করে তখন মাগদি অপভ্রংশ থেকে পাওয়া যায় ভাষার দুটি শাখা। সেগুলো হচ্ছে পশ্চিমা এবং পূর্বী। আর এই পুর্বী শাখা থেকে জন্ম হয় বঙ্গ অসমীয়া এবং উড়িয়া ভাষা। সর্বশেষে অসমীয়া থেকে সৃষ্টি হয় বর্তমান বাংলা ভাষা।
Also Read: বিভব শক্তি কাকে বলে
সুতরাং এভাবেই বাংলা ভাষার উদ্ভব হয়। বাংলা ভাষা উদ্ভবের পাশাপাশি বাংলা ভাষার বিকাশ ঘটে। এই বাংলা তিনটি পর্যায়ে ভাগ করা হয়। সেগুলো হচ্ছে-
- প্রাচীন বাংলা ভাষার।
- মধ্যে বাংলা ভাষা। এবং
- আধুনিক বাংলা ভাষা।
SOME FAQ:
ভাষার ক্ষুদ্রতম একক কি?
ধ্বনি।
ভাষার মূল ভিত্তি কি?
ধ্বনি।
ধ্বনির সাধারণ অর্থ কি?
যেকোনো ধরনের আওয়াজ।
বাংলা ভাষার উদ্ভব ঘটে কোন দশকে?
খ্রিষ্টিয় দশম শতকের কাছাকাছি।
বাংলা ভাষার আদি সাহিত্যিক নিদর্শন কি?
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য।
ডক্টর সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতে বাংলা ভাষার উদ্ভবকাল কত?
৯৫০ খ্রিষ্টাব্দ।
ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতে বাংলা ভাষার উদ্ভবকাল কত?
৬৫০ খ্রিষ্টাব্দ
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতে বাংলা ভাষার উৎস কোন অপভ্রংশ থেকে?
গৌড় অপভ্রংশ থেকে।
ডক্টর সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতে বাংলা ভাষার উদ্ভব কোন অপভ্রংশ থেকে?
পূর্ব ভারতে প্রচলিত মাগধী অপভ্রংশ থেকে।
অনেকেই কোন ভাষাকে বাংলার জননী মনে করত?
সংস্কৃত।
বাংলা ভাষার উদ্ভব ও বিকাশের বিস্তৃত ইতিহাস রচনা করেন কে?
ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়।
বাংলা ভাষা কত বছরের পুরনো?
বাংলা ভাষা প্রায় দেড় হাজার বছরের পুরনো।
বাংলা ভাষার উৎসমূলে যে ভাষার সন্ধান পাওয়া যায়, তার নাম কী?
ইন্দো-ইউরোপীয়।
বাংলা ভাষা কাকে বলে,বাংলা ভাষার উদ্ভব ও বিকাশ
তো আজকে আমরা দেখলাম যে বাংলা ভাষা কাকে বলে এবং আরো অনেক বিস্তারিত বিষয় । যদি পোস্ট ভালো লাগে তাহলে অব্যশয়, আমাদের বাকি পোস্ট গুলো ভিসিট করতে ভুলবেন না!