বিবর্তন কাকে বলে? | বিবর্তন কে অমাধ্যম অনুমান বলা হয় কেন | বিবর্তনের নিয়ম

বিবর্তন কাকে বলে: আজকে আমরা জানবো বিবর্তন কাকে বলে? এই প্রশ্নের উত্তর পেতে আমাদের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন। আশা করি আপনারা এই প্রশ্নের উত্তর ভালো ভাবে বুঝতে পারবেন।

বিবর্তন কাকে বলে,বিবর্তন কে অমাধ্যম অনুমান বলা হয় কেন,বিবর্তনের নিয়ম

বিবর্তন কাকে বলে,বিবর্তন কে অমাধ্যম অনুমান বলা হয় কেন,বিবর্তনের নিয়ম
বিবর্তন কাকে বলে

বিবর্তন কাকে বলে?

যে ধীর অবিরাম এবং চলমান পরিবর্তন দ্বারা কোন সরলতর উদবংশীয় জীব পরিবর্তিত হয়ে জটিল ও উন্নতর নতুন প্রজাতির বা জীবের উদ্ভব ঘটে, অভিব্যক্তি বা ইভোলিউশন বলে বা বিবর্তন বলে।

বিবর্তন একটি জৈবিক পদ্ধতি। বিবর্তন এর প্রকৃত অর্থ হলো ক্রমবিকাশ। পৃথিবীতে বর্তমানে যত জীব রয়েছে তারা বিভিন্ন সময়ে এ ভূমন্ডলে আবির্ভূত হয়েছে। আবার অনেক উদ্ভিদ ও প্রাণী সময়ের আবর্তে বিলুপ্ত হয়েছে। ডাইনোসর আজ থেকে কয়েক মিলিয়ন বছর আগে বিলুপ্ত হয়েছে। আবার কোন কোন জীব ধীর গতিতে পরিবর্তন ঘটিয়ে এখনও টিকে আছে।

Also Read: স্কেলার রাশি কাকে বলে

কয়েক লক্ষ বা হাজার বছর সময়ের ব্যাপকতায় জীব প্রজাতির পৃথিবীতে আবির্ভাব ও টিকে থাকার জন্য যে পরিবর্তন ও অভিযোজন প্রক্রিয়া তাকে জৈব বিবর্তন বলা হয়।

হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক স্টোফেন জে. গোল্ড (১৯৯১) এর মতে ‘Evolution’ পরিপদটি সর্বপ্রথম ব্যবহার করেন জার্মান জীববিদ (১৭৭৪) Albrectvon Haller । তিনি বলেন ধীর অথচ ক্রমাগত ও পর্যায়ক্রমিক পরিবর্তনের মাধ্যমে কোন সত্ত্বা সরল থেকে জটিল হওয়ার ধারাবাহিক পরিবর্তনই বিবর্তন।
কোনো প্রাণী বা উদ্ভিদ ধীরে ধীরে ধারাবাহিক রূপান্তরের মাধ্যমে একটি সম্পূর্ণ নতুন প্রাণী বা উদ্ভিদ এ পরিণত হওয়াকে অভিব্যক্তি বলা হয়। অভিব্যক্তির মূল কথা হলো প্রজাতিগুলো পরিবর্তনযোগ্য অর্থাৎ দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে জীবের চেহারায় পরিবর্তন ঘটে।

বিবর্তন কে অমাধ্যম অনুমান বলা হয় কেন

যে অবরোহ অনুমানে একটি মাত্র যুক্তিবাক্য থেকে সিদ্ধান্ত অনিবার্যভাবে নিঃসৃত হয় তাকে, অমাধ্যম অনুমান বলে। বিবর্তনে যুক্তি বাক্য বা আশ্রয় বাক্যের উদ্দেশ্য ও পরিমান অপরিবর্তিত রেখে যুক্তি বাক‍্যের বিধেয়ের বিরুদ্ধ পদকে সিদ্ধান্তে বিধেয় করে এবং গুণের পরিবর্তন করে সিদ্ধান্তটি যুক্তিবাক্য থেকে অনিবার্যভাবে নিঃসৃত করা হয়। সুতরাং বিবর্তন একটি অমাধ‍্যম অনুমান।

বিবর্তনের নিয়ম

(১) আশ্রয় বাকের উদ্দেশ‍্য এবং সিদ্ধান্তের উদ্দেশ‍্য এক হবে।
(২) আশ্রয় বাক্যের বিধেয় পদের বিরুদ্ধ পদ হবে সিদ্ধান্তের বিধেয়।
(৩)আশ্রয় বাক্য ও সিদ্ধান্তের মধ্যে গুণের পার্থক্য হবে, অর্থাৎ আশ্রয় বাক্য সদর্থক হলে সিদ্ধান্ত নঞর্থক হবে আশ্রয় বাক্য নঞর্থক হলে সিদ্ধান্ত সদর্থক হবে।
(৪)আশ্রয় বাক্য ও সিদ্ধান্তের মধ্যে পরিমাণ এর কোনো পরিবর্তন হবে না অর্থাৎ আশ্রয় বাক্য সামান্য হলে সিদ্ধান্ত সামান্য হবে আর আশ্রয় বাক্য বিশেষ সিদ্ধান্ত বিশেষ হবে।

বিবর্তন কাকে বলে,বিবর্তন কে অমাধ্যম অনুমান বলা হয় কেন,বিবর্তনের নিয়ম

তো আজকে আমরা দেখলাম যে বিবর্তন কাকে বলে এবং আরো অনেক বিস্তারিত বিষয় । যদি পোস্ট ভালো লাগে তাহলে অব্যশয়, আমাদের বাকি পোস্ট গুলো ভিসিট করতে ভুলবেন না!

Leave a Comment