মর্সিয়া সাহিত্য কোনটি? – বিস্তারিত

হ্যালো বন্ধুরা আজকে আমরা জানবো “মর্সিয়া সাহিত্য কোনটি”। তো চলুন দেখে নেওয়া যাক:

মর্সিয়া সাহিত্য কোনটি

মর্সিয়া সাহিত্য কোনটি?

মর্সিয়া সাহিত্য হলো জঙ্গনামা।

কারবালা – কেন্দ্রিক শোকগাঁথার অপর নাম মর্সিয়া সাহিত্য। আরবি ‘মর্সিয়া’ শব্দের অর্থ শোক। শোকবিষয়ক রচনাকে মর্সিয়া সাহিত্য বলা হয়। মোগল শাসনামলের (১৫৭৫ – ১৭৫৭ খ্রি.) আগেই বাংলা সাহিত্যে মর্সিয়ার উদ্ভব হলেও মোগল শাসনামলে তা ব্যাপকভাবে বিকশিত হয়েছে। বিশিষ্ট মর্সিয়া সাহিত্য গবেষক ড. গোলাম সাকলায়েন মোগল শাসনামলকে বাংলা মর্সিয়া সাহিত্যের স্বর্ণযুগ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।

বাংলা সাহিত্যের প্রথম মর্সিয়া কাব্য ধরা হয় ‘জয়নবের চৌতিশা’ (১৫৪৫ খ্রি.)। এ কাব্যের লেখক শেখ ফয়জুল্লাহ। এ কাব্যে শেখ ফয়জুল্লাহ ইমাম হোসেনের নির্মম শাহাদতবরণ ও কারবালার করুণ কাহিনী চিত্রিত করেছেন। তারই পথ ধরে কারবালার ঐতিহাসিক বিয়োগান্ত করুণ কাহিনী অবলম্বনে চট্টগ্রামের অধিবাসী কবি দৌলত উজির বহরম খান জঙ্গনামা রচনা করেছেন। ফারসি ‘জঙ্গ’ শব্দের অর্থ যুদ্ধ, আর ‘জঙ্গনামা’ শব্দের অর্থ তদ্বিষয়ক গ্রন্থ বা রচনা। বিশেষত হযরত মুহম্মাদ সা. ও তাঁর স্বজনদের যুদ্ধই এ শ্রেণীর কাব্যের মূল বিষয়। বাংলায় ইংরেজ শাসনামলে কারবালার মর্মান্তিক যুদ্ধকাহিনী নিয়ে ‘জঙ্গনামা’ (১৭৯৪ খ্রি.) নামে মর্সিয়া রচনা করেছেন ফকির গরীবুল্লাহও।

আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। যদি বুঝতে পেরে থাকেন তাহলে, শেয়ার করতে ভুলবেন না।

Leave a Comment