যে একা সেই সামান্য, যাহার ঐক্য নাই সেই তুচ্ছ -ভাবসম্প্রসারণ [নতুন]

আজকের আমরা ”যে একা সেই সামান্য, যাহার ঐক্য নাই সেই তুচ্ছ” ভাবসম্প্রসারণটি পড়ব। ভাবসম্প্রসারণ পরীক্ষার জন্য খুবই গুরুত্বপৃর্ণ। বিশেষ করে এই ভাবসম্প্রসারণটি খুবই গুরুত্বপৃর্ণ।

যে একা সেই সামান্য, যাহার ঐক্য নাই সেই তুচ্ছ

যে একা সেই সামান্য, যাহার ঐক্য নাই সেই তুচ্ছ

মূলভাব: সৃষ্টির সর্বশ্রেষ্ঠ জীব মানুষ। কিন্তু একা সে অসহায় ও নিঃসঙ্গ আর যে মানুষ জীবন চলার পথে ঐক্যবদ্ধভাবে চলে না সে শক্তিতে দুর্বল এবং সামাজিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে অতি নগণ্য। কারণ ঐক্যই মানুষের জীবনের চলার পথের গুরুত্বপূর্ণ অবলম্বন।

ভাবসম্প্রসারণ: পৃথিবীর জন্মলগ্নে মানুষ একা ও বিচ্ছিন্নভাবে বসবাস করার কথা ভাবতে পারত না। তখন মানুষ ছিল খুবই অসহায়। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বন্য জীবজন্তুর আক্রমণ আর নানা সমস্যা তখন একা মােকাবিলা করা ছিল কষ্টদায়ক । ফলে ভয়ভীতি নিয়ে, এমনকি মৃত্যুর মুখােমুখি হয়ে তাদের দিনযাপন করতে হতাে। এসব নানা কারণে তখন মানুষ উপলব্ধি করল ঐক্যবদ্ধ জীবন ছাড়া তাদের পক্ষে বেঁচে থাকা অসম্ভব। তাই মানুষ নিজ প্রয়ােজনে তখন গড়ে তােলে সমাজবদ্ধ জীবন এবং হয়ে ওঠে ঐক্যবদ্ধ শক্তিতে বলীয়ান। আমরা জানি, বর্তমানেও কারাে পক্ষেই একাকী জীবনযাপন করা সম্ভব নয়। কোনাে জাতি এবং রাষ্ট্রের পক্ষেও একাকী পৃথিবীর বুকে টিকে থাকা সম্ভব নয়। পৃথিবীতে যে দেশ বা জাতি উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছেছে তারা সকলেই ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা এবং চেতনার দ্বারা তা সম্ভব করেছে। একা একজন মানুষের পক্ষে কখনাে একাকী কোনাে দুর্যোগ মােকাবিলা করা সম্ভব নয়। কিন্তু ঐক্যবদ্ধ শক্তি দ্বারা তা সম্ভব । একটি দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, অর্থনৈতিক মুক্তির জন্যে প্রয়ােজন সমগ্র দেশের জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা, দেশপ্রেম, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতা। তা না হলে দেশ বা জাতি এগােতে পারে না। পৃথিবীর বহু দেশ ঐক্যহীনতার কারণে কাঙ্ক্ষিত উন্নতি অর্জন করতে পারেনি। যেমন: সােমালিয়া, বসনিয়া, ইথিওপিয়াসহ আরও অনেক দেশ। মূলত জনগণের ঐক্যের অভাব আর সুবিধাভােগী মানুষের লেজুড়বৃত্তির কারণে বহুদেশ আজ বিপর্যয়ের মুখােমুখি । অপরদিকে, বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীনতা এনেছে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে। স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় যদি বাংলার মানুষ দ্বিধাবিভক্ত থাকত তাহলে বাংলাদেশকে স্বাধীন করা সম্ভব হতাে না। একতাই বল’ এ মূলমন্ত্র মানুষের মধ্যে সাহস সঞ্চার করে, মানুষকে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ করে, মানুষের মধ্যে অনুপ্রেরণা জোগায়, সর্বোপরি মানুষকে এক সূত্রে আবদ্ধ করে।

যে একা সে থাকে দুর্বল, আর যার ঐক্য নেই সে শক্তিহীন। ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টাই বর্তমান পৃথিবীর এ সুন্দর আধুনিক রূপ সৃষ্টি করেছে। আর পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কার মধ্যে ঐক্যই পৃথিবীকে টিকিয়ে রাখবে।

অন্য বই থেকে বিকল্প

মূলভাব: মানুষ ক্ষুদ্র ও তুচ্ছ হয়ে যায় তার ঐক্যবােধের অভাবে। একাকী পথ চলতে গেলে তুচ্ছতা ঘিরে ধরে চারদিক থেকে। আর ঐক্যবদ্ধ হয়ে চলতে পারলে তুচ্ছতা কাউকেই স্পর্শ করতে পারে না।

সম্প্রসারিত ভাব: সামাজিক জীব হিসাবে মানুষ গােটা বিশ্ব সংসারের সঙ্গে জড়িত। সকলের সঙ্গযােগেই সে পূর্ণতা প্রাপ্ত হয়, মনােদৈহিক বিকাশ ঘটে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (Rabindranath Tagore) বলেছেন- “মনের চলাচল যতখানি, মানুষ ততখানি বড়াে। মানুষকে শক্তি দিতে হলে মানুষকে বিস্তৃত করা চাই।” মহাবিশ্বের জীবনের ছন্দের সঙ্গে নিজের জীবনকে যুক্ত করে মানুষ লাভ করে জীবনের চরম ও পরম সার্থকতা। ফুল যেমন এর সৌন্দর্য, মাধুর্য ও সৌরভ অপরকে বিলিয়ে দিয়ে নিজেকে সার্থক করে তােলে, তেমনই মানুষের সকল ক্ষমতা ও প্রতিভা দেশ এবং সমাজের মঙ্গল সাধনে ব্যয়িত হলে মানবজীবন সার্থক হয়। মহত্তম মানুষ জানেন, আমাদের সকলের গন্তব্য একই। তাই তারা স্বীয় সুখকে বিসর্জন দিয়ে বৃহত্তর মানবগােষ্ঠীর কল্যাণে আত্মনিয়ােগ করেন, একসূত্রে গেঁথে ফেলেন সহস্র হৃদয়। তারা সঙ্গশক্তির ওপর জোর দেন এবং গেয়ে ওঠেন- “মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য।” সংহতিই পারে প্রাণের সঙ্গে প্রাণের মিলন ঘটাতে। এক ফোটা বৃষ্টির পানি একটি জুঁই ফুলের পাপড়ি ভেজাতে পারে না, কিন্তু সেই ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টির পানি যখন একত্রিত হয়ে বন্যায় রূপ নেয়, তখন তার শক্তি পৃথিবীকে ভাসিয়ে দিতে পারে। একটিমাত্র তরণিই বহুসংখ্যক যাত্রীকে নির্ভরতা দিয়ে, নিরাপত্তা দিয়ে গন্তব্যস্থলে পৌছে দেয়। সেক্ষেত্রে যাত্রীরা যেমনিভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়, অনুরূপভাবে দেশ ও সমাজ একতাবদ্ধ হলে লক্ষ্যে পৌঁছা সম্ভব হয়। অপরদিকে, স্বার্থমগ্ন সমাজবিমুখ ও আত্মকেন্দ্রিক মানুষ বৃহত্তর জগৎ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এভাবে বেঁচে থাকাটা যথার্থ বেঁচে থাকা নয়। তাই এর স্থায়িত্ব ও মূল্য কোনােটিই নেই।

মন্তব্য: ঐক্য ছাড়া সমাজে সমৃদ্ধি আসে না, ঐক্য ছাড়া স্বাধীনতার সুফল ভােগের কথাও ভাবা যায় না।

অন্য বই থেকে বিকল্প 2

মূলভাব: মানুষ কখনো একা চলতে পারে না। আর যখন সে একা তখন সে নিঃসন্দেহে অসহায়। ঐক্যবদ্ধ জীবন প্রবাহ থেকে বিচ্ছিন্ন বলে সে শক্তিতে সামান্য। জীবনে সংগ্রামে জয়ী হতে হলে মানুষে মানুষে ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। 

সম্প্রসারিত ভাব: আদিম যুগের মানুষ পারস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ে গুহায় বসবাস করত। সে কারণে তারা নানা প্রতিকুলতা মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হতো। একসময় তারা বুঝতে পারে, সমাজবদ্ধ ও দলবদ্ধ মানুষের শক্তি অনেক বেশি। পরে তারা নিরাপত্তার প্রশ্নে ও প্রয়োজনের তাদিদে গড়ে তোলে সমাজ। একটি কঞ্চিকে সহজে ভাঙা গেলেও দশটি কঞ্চি একত্র করে তাকে ভাঙা যায় না। একতার শক্তি অপরিসীম । কিন্তু বিশাল এ পৃথিবীতে একজন একাকী মানুষ গতি সামান্য ব্যক্তি মাত্র। তার শাক্তি-সামর্থ্য খুবই নগন্য। বিপদ তাকে হানা দেয় পদে পদে। ব্যপকভাবে চিন্তা করলে বলা যায়, কোনো দেশের অধিবাসীদের মধ্যে একতার বা ঐক্যের অভাব থাকলে যে কোনো সময় চরম সর্বনাশ ঘটে যেতে পারে। দেশবাসী ও সৈন্য-সেনাপতিদের মধ্যে অনৈক্যের জন্যই নবাব সিরাজউদ্দৌলা পরাজিত ও নিহত হন। গোলামির শৃঙ্খলে আবদ্ধ হয় সমগ্র ভারতবর্ষ। কিন্তু ঐক্যবদ্ধ জাতির ললাটে পরাধীনতার কলঙ্ক চিহ্ন কেউ এঁকে দিতে পারে না। ঐক্যবদ্ধ শক্তির দাপটে অন্যায় ও অসত্য অনায়াসে দূরীভূত হয়। তুচ্ছ প্রণীও ঐক্যবদ্ধ শক্তিতে বলীয়ান । ক্ষুদ্র কীট মৌমাছি, উইপোকা প্রভূতির দলবদ্ধ হয়ে বসবাস করে এবং শত্রুর আক্রমণ পতিহত করতে একত্রে ঝাপিয়ে পড়ে। একতা সম্পর্কে হাদিস শরিফে রয়েছে – “তোমরা বিচ্ছিন্ন হইও না। একতাবদ্ধ হয়ে থাক। ” অনৈক্য বা একতাহীনতা সকল বিড়ম্বনার মূল উৎস। তাই ব্যক্তি, সমাজ ও জাতীয় জীবনের উন্নতি ও সমৃদ্ধিকল্পে প্রত্যেক মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বসবাস করা উচিত। 

মন্তব্য: অনৈক্যের মাঝে সমাজবাসীর জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠে । কথিত আছে, Unity is strength তাই ব্যক্তি সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে কল্যাণের জন্য বৃহত্তম ঐক্য একান্ত প্রয়োজন।

অন্য বই থেকে বিকল্প 3

মূলভাব : অন্যের সহযোগিতা ছাড়া মানবজীবন অচল। পৃথিবীতে যে ব্যক্তি নিঃসঙ্গ ও একা, সে নিঃসন্দেহে অসহায়। ঐক্যবদ্ধ জীবনপ্রবাহ থেকে বিচ্ছিন্ন বলে সে শক্তিতে সামান্য এবং সামাজিকভাবে তুচ্ছ।

ভাব সম্প্রসারণ : একজন মানুষ বা অন্য যেকোনো প্রাণী যখন একা তখন তার শক্তি থাকে সীমিত। কিন্তু যখন একতাবদ্ধ হয়ে দশজন একসঙ্গে কোনো কাজে হাত দেয় তখন সে হয় অনেক সবল ও শক্তিশালী। তখন কোনো কঠিন কাজ আর কঠিন বলে মনে হয় না। পৃথিবীর আদিপর্বে মানুষ ছিল ভীষণ অসহায়। কারণ তখন সে ছিল একা। সভ্যতার ঊষালগ্নে মানুষ উপলব্ধি করল যে, ঐক্যবদ্ধ জীবন ছাড়া এ পৃথিবীর সমস্ত প্রতিক‚লতা মোকাবেলা করা সম্ভব নয়। তাই মানুষ গড়ে তোলে সমাজবদ্ধ জীবন, হয়ে ওঠে সামাজিক বলে বলীয়ান। এর পর থেকে মানুষ আর পেছনে ফিরে তাকায়নি। একতার শক্তিকে উপেক্ষা করে যে একা থাকতে চায় সে আসলে অসহায়। শক্তি বা সামর্থ্যরে ক্ষুদ্রতার কারণে একক মানুষ সকলের নিকট উপেক্ষিত। কিন্তু যারা ঐক্যবদ্ধ তাদের শক্তি অসীম। ঐক্যই প্রকৃত শক্তি। বিন্দু বিন্দু বৃষ্টির সমন্বয়ে সৃষ্টি হয় বিশাল জলরাশি। এইভাবে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র শক্তির সমন্বয়ে সৃষ্টি হয় অসীম শক্তি। অনেক ব্যক্তিসত্তা যখন একতাবদ্ধ হয়ে সমষ্টির সৃষ্টি করে, তখন তাদের সমবেত শক্তি জাতীয় জীবনে বিরাট অবদান রাখতে সক্ষম হয়। একতার শক্তি অসম্ভবকে সম্ভবে পরিণত করে। সমগ্র জাতির মধ্যে একতা ছিল বলেই আমরা মুক্তিযুদ্ধে জয়ী হয়েছি। একক কোনো শক্তি বলে তা সম্ভব ছিল না। আমাদের ইতিহাসের দিকে তাকালে আমরা দেখি, যখনই আমাদের জাতীয় জীবনে ঐক্যের অভাব হয়েছে তখনই নানা বিপদ ও দুর্ভাগ্য নেমে এসেছে। শুধু জাতীয় জীবনে নয়, আমাদের সামাজিক ও পারিবারিক জীবনেও একতার প্রয়োজন। একতাবদ্ধ হয়ে আমরা যেকোনো কাজ যত সহজে ও নির্বিঘে করতে পারি একাকী তা করা সম্ভব নয়।

মন্তব্য : মানুষ এককভাবে সামান্য আর তুচ্ছ। ব্যক্তিগত, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় উন্নতিতে চাই মানুষের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস।

অন্য বই থেকে বিকল্প 4

মূলভাব : অন্যের সহযোগিতা ছাড়া মানুষ কখনো চলতে পারে না। অন্যের সাহায্য ছাড়া মানুষের জীবন অচল। এককা জীবনে একজন মানুষ অসহায় ও সামর্থ্যহীন। মানুষের জীবনে অসহায়তার মূলে রয়েছে একাকীত্ব। মানুষের জীবন যেহেতু সংগ্রামশীল সেহেতু একাকীত্ব তার জন্য বড় অন্তরায়। জীবন সংগ্রামে জয়ী হতে হলে মানুষের জীবনে ঐক্যের প্রয়ােজন।

সম্প্রসারিত ভাব: একজন একাকী মানুষ তার সীমিত সামর্থ্যের দ্বারা বেশিদিন টিকে থাকতে পারে না, এক্ষেত্রে প্রয়ােজন ঐক্যের। ঐক্যবদ্ধ মানুষের কাছে কোন বাধাই নয়। ঐক্যবদ্ধ শক্তির কাছে যে কোন বাধাই হার মানতে বাধ্য। অতি ছােট ছােট বালুকণা মিলে যেমন মহাদেশ গড়ে ওঠে, তেমনি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র শক্তির সমন্বয়ে গড়ে ওঠে বৃহত্তর ঐক্যবদ্ধ শক্তি। বিশাল এ পৃথিবীতে একজন একাকী মানুষ অতি সামান্য ব্যক্তিমাত্র। এ সামান্য অসহায় ব্যক্তিই ঐক্যের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে এক অপরাজেয় শক্তিতে রূপান্তরিত হতে পারে। কথায় আছে, ‘একতাই বল। সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে বৃহত্তর কল্যাণের জন্য তাই বৃহত্তর ঐক্য একান্ত প্রয়ােজন। বলা আবশ্যক যে, সৃষ্টির আদি থেকে বর্তমান পর্যন্ত যা কিছু উন্নতি ও মহৎ কাজ সম্পন্ন হয়েছে তার মূলে রয়েছে এক প্রচ্ছন্ন ঐক্যের বন্ধন। অনৈক্যের মাঝে জীবন দুর্বিষহ। যেখানে অনৈক্য সেখানেই পতন। কাজেই সকল সংকীর্ণতা ও বিভেদ ভুলে মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। এরই ফলে সমাজ, রাষ্ট্র ও বিশ্বের কল্যাণ লাঘব হবে। ঐক্যহীন মানুষ কখন জীবন সংগ্রামে জয়ী হতে পারে না। জীবনের প্রতি পদে পদে বাধার সম্মুখীন হয়। মাটির পৃথিবীর ছােট একটা পিঁপড়ার মধ্যেও আমরা ঐক্য লক্ষ করি। তারা ঐক্যবদ্ধভাবে চলাফেরা করে এবং ঐক্যবদ্ধ শক্তির মাধ্যমেই তাদের আকৃতির তুলনায় অনেক বড় জিনিস বহন করতে পারে। ঐক্য ছাড়া কোন বড় কাজে সফলতা লাভ করা যায় না। দশ জনের কাছে যা সামান্য, একজনের কাছে তা বিরাট বােঝা। পারস্পরিক ঐক্যবােধ বিরাট সাফল্যের জন্ম দেয়। সুতরাং, একাকীত্ব নয়, ঐক্যের জয়গান গাইতে হবে।

আশা করি তোমাদের এই ভাবসম্প্রসারণটি ভালো লেগেছে। যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করবে।

Leave a Comment