সমযোজী বন্ধন কাকে বলে? | সমযোজী বন্ধন কত প্রকার ও কি কি?

সমযোজী বন্ধন কাকে বলে: আজকে আমরা জানবো সমযোজী বন্ধন কাকে বলে? এই প্রশ্নের উত্তর পেতে আমাদের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন। আশা করি আপনারা এই প্রশ্নের উত্তর ভালো ভাবে বুঝতে পারবেন।

সমযোজী বন্ধন কাকে বলে,সমযোজী বন্ধন কত প্রকার ও কি কি

সমযোজী বন্ধন কাকে বলে,সমযোজী বন্ধন কত প্রকার ও কি কি
সমযোজী বন্ধন কাকে বলে

সমযোজী বন্ধন কাকে বলে?

সর্বশেষ শক্তিস্তরে স্থায়ী বা নিকটতম নিষ্ক্রিয় গ্যাসের ইলেকট্রন বিন্যাস লাভের জন্য ইলেকট্রন শেয়ারের মাধ্যমে যে বন্ধন গঠিত হয়, তাকে সমযোজী বন্ধন বলে।

উদাহরণ : একটি কার্বন পরমাণুর সাথে দুটি অক্সিজেন পরমাণু ইলেকট্রন শেয়ারের মাধ্যমে কার্বন ডাই-অক্সাইড অণু গঠন করে। অর্থাৎ কার্বন ডাইঅক্সাইডে কার্বন ও অক্সিজেন পরমাণু সমযোজী বন্ধনে আবদ্ধ।

সমযোজী বন্ধন কত প্রকার ও কি কি?

সমযোজী বন্ধন গঠনের জন্য অণুর উপাদান পরমাণুদ্বয় তাদের সমানভাবে প্রদত্ত ইলেকট্রন জোড় শেয়ার করে। উপাদান পরমাণুর বহিঃস্তরের নিষ্ক্রিয় গ্যাস কাঠামো অর্জনের জন্য দুটি পরমাণুর মধ্যে কত জোড়া ইলেকট্রন শেয়ার করতে হয় সে সংখ্যার ভিত্তিতে সমযোজী বন্ধনকে তিনভাগে ভাগ করা হয়। যথা :

  1. একক বন্ধন (Single bond)
  2. দ্বি-বন্ধন (Double bond)
  3. ত্রি-বন্ধন (Triple bond)

Also Read: সমাস কাকে বলে

পানি পোলার যৌগ কেন? ব্যাখ্যা করো

পানির অণুর সমযোজী বন্ধনীতে ব্যবহৃত ইলেকট্রন দুটি অক্সিজেনের দিকে সামান্য পরিমাণ সরে যায়। যে কারণে অক্সিজেন পরমাণু আংশিক ঋণাত্মক আধান ও হাইড্রোজেন পরমাণু আংশিক ধনাত্মক আধান প্রাপ্ত হয়। এরকম ধনাত্মক ও ঋণাত্মক আধান প্রাপ্ত সমযোজী যৌগকে পোলার সমযোজী যৌগ বলে। তাই পানি একটি পোলার যৌগ।

ইলেকট্রন শেয়ারিং ঘটে কোন বন্ধনে?

সমযোজী।

সমযোজী অণু গঠনকারী প্রতিটি পরমাণুই কীরূপ?

অধাতু।

ইলেকট্রন শেয়ারের মাধ্যমে গঠিত হয় কোন ধরনের বন্ধন?

ইলেকট্রন শেয়ারের মাধ্যমে গঠিত হয় সমযোজী বন্ধন।

অধাতব পরমাণু নিজেদের মধ্যে কোন ধরনের বন্ধন গঠন করে?

অধাতব পরমাণু নিজেদের মধ্যে সমযোজী বন্ধন গঠন করে।

অ্যামোনিয়াতে নাইট্রোজেন কয়টি ইলেকট্রন শেয়ার করে?

অ্যামোনিয়াতে নাইট্রোজেন তিনটি ইলেকট্রন শেয়ার করে।

সমযোজী বন্ধনের পোলারিটি বলতে কী বুঝ?

যে সমযোজী যৌগে পোলারিটি সৃষ্টি হয়, তকে সমযোজী বন্ধনের পোলারিটি বলা হয়। পানি একটি সমযোজী যৌগ অথচ এটি ধনাত্মক হাইড্রোজেন আয়ন এবং ঋণাত্মক হাইড্রোক্সিল আয়নে বিভক্ত হয়, এটিই সমযোজী যৌগের পোলারিটি। সমযোজী বন্ধনে শেয়ারকৃত ইলেকট্রনকে আকর্ষণ করার ক্ষমতা দ্বারা পোলারিটি বুঝা যায়।

সমযোজী বন্ধনে আবদ্ধ মৌলগুলো নিস্ক্রিয় গ্যাসের ইলেকট্রন বিন্যাস অর্জন করে কেন?

সকল মৌলই নিষ্ক্রিয় গ্যাসের ইলেকট্রন বিন্যাস লাভ করতে চায়। এজন্যে যে কয়টি ইলেকট্রন ত্যাগ, গ্রহণ বা শেয়ার করা প্রয়োজন তা করে অণু গঠন করে।
সমযোজী বন্ধনে আবদ্ধ মৌলগুলো প্রয়োজনীয় পরিমাণ ইলেকট্রন শেয়ার করে। এই শেয়ারকৃত ইলেকট্রনগুলো দুটি মৌলেরই সর্ববহিঃস্থ স্তরে অবস্থান করে। ফলে উভয়েরই অষ্টক পূর্ণ হয় এবং নিষ্ক্রিয় গ্যাসের ইলেকট্রন বিন্যাস অর্জন করে।

সমযোজী বন্ধনে বিদ্যুৎ পরিবহন না হওয়ার কারণ– ব্যাখ্যা কর।

আমরা জানি, বিদ্যুৎ পরিবহনের জন্য প্রতিটি মৌল বা যৌগসমূহের আয়ন আকারে থাকা বাঞ্ছনীয় কিন্তু সমযোজী বন্ধনে তা সম্ভব হয় না। কারণ সমযোজী মৌল বা যৌগসমূহ কোনো ইলেকট্রন গ্রহণ বা বর্জন করে না। যার ফলে তড়িৎ আধান যুক্ত আয়নও সৃষ্টি হয় না। এ কারণেই সমযোজী বন্ধনে বিদ্যুৎ পরিবহন হয় না।

Also Read: সালোকসংশ্লেষণ কাকে বলে

তো আজকে আমরা দেখলাম যে সমযোজী বন্ধন কাকে বলে এবং আরো অনেক বিস্তারিত বিষয় । যদি পোস্ট ভালো লাগে তাহলে অব্যশয়, আমাদের বাকি পোস্ট গুলো ভিসিট করতে ভুলবেন না!

সমযোজী বন্ধন কাকে বলে,সমযোজী বন্ধন কত প্রকার ও কি কি

Leave a Comment