সুদ কাকে বলে: আজকে আমরা জানবো সুদ কাকে বলে? এই প্রশ্নের উত্তর পেতে আমাদের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন। আশা করি আপনারা এই প্রশ্নের উত্তর ভালো ভাবে বুঝতে পারবেন।
সুদ কাকে বলে?
ঋণ গ্রহিতা মূলধন বা ঋণ ব্যবহার বাবদ ঋণ দাতাকে যে মূল্য প্রদান করে, তাকে সুদ বলে।
সুদ একটি জঘন্য অপরাধ। জঘন্য এই অপরাধটি এখন এতটা ব্যাপক আকার ধারন করেছে যে, মানুষ এখন আর এটাকে কোন অপরাধই মনে করে না। এটা যে এক জঘন্যতম পাপ এই অনুভূতিটাও আজ শেষ হয়ে গেছে।
অথচ এর পরকালীন শাস্তি ও আযাব খুবই দুর্বিষহ এবং ভয়ংকর। ইসলামের দৃষ্টিতে সুদ একটি মারাত্বক অপরাধ এবং জগন্যতম পাপ।
এই পাপ বা সামাজিক ব্যাধি রিতিমত আমাদেরকে পেয়ে বসেছে। আজ আমাদের সমাজ ধ্বংসের আরো একটি বড় কারন সুদী লেনদেন। আজ সমাজে এক শ্রেণীর লোক সুদের সাথে সম্প্রীক্ত হয়ে জরজরিত ও পথে বসে গেছে, অন্যদিকে চক্রবৃদ্ধি হারে সুদের টাকায় বাহাদুরী করছে কেউ কেউ।
আইয়্যামে জাহেলী যুগের মত আজও সেই সুদী ব্যবসায়ীরা সমাজে মাথা জাগা দিয়ে উঠেছে। সামাজিক ভাবে এদেরকে রুখতে হবে।
ইসলামের দৃষ্টিতে সুদ যে কত বড় অপরাধ তা বুঝানোর জন্য একটি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
Also Read: মূলধন কাকে বলে
সুদ কি?
সুদ হলো ঋণ ব্যবহারের মূল্য। অন্যান্য উপকরণের ন্যায় মূলধনেরও উৎপাদন ক্ষমতা আছে।
উৎপাদন ক্ষমতা থাকার কারণে মূলধনের প্রয়োজন পড়ে। মূলধনের উৎপাদন ক্ষমতা আছে বলেই মূলধন বাবদ সুদ দিতে হয়। সুদকে এভাবেও সংজ্ঞায়িত করা যায় যে– সুদ হলো অপেক্ষার পুরস্কার।
অর্থাৎ বর্তমান ভোগ ত্যাগের বিনিময়ে ভবিষ্যতে যে প্রাপ্তি আশা করা হয়, তাই সুদ। কোন ঋণ দাতা যখন ঋণ গ্রহিতাকে মূলধন বা অর্থ প্রদান করে, তখন ঋণ দাতা সেই অর্থভিত্তিক ভোগ থেকে নিজেকে বঞ্চিত রাখে।
সেই বঞ্চনার বিনিময়ে ভবিষ্যতে সে যে বাড়তি অর্থ প্রাপ্তি আশা করে, তাকে সুদ বলা যায়।
জন ম্যানার্ড কেইনস বলেন যে, নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নগদ অর্থ হাত ছাড়া করার (তারল্য পছন্দ পরিত্যাগের) পুরস্কার হলো সুদ। সুদ সংক্রান্ত বিভিন্ন সংজ্ঞা থেকে সিদ্ধান্তে আসা যায় যে, আর্থিক মূলধন ব্যবহারের বিনিময়ে প্রদত্ত মূল্য (পুরস্কার) হলো সুদ।
সুদ কত প্রকার ?
সাধারণত সুদ দুই প্রকার।
- সরল
- চক্রবৃদ্ধি সুদ
তো আজকে আমরা দেখলাম যে সুদ কাকে বলে এবং আরো অনেক বিস্তারিত বিষয় । যদি পোস্ট ভালো লাগে তাহলে অব্যশয়, আমাদের বাকি পোস্ট গুলো ভিসিট করতে ভুলবেন না!