স্যাটেলাইট কাকে বলে? বিস্তারিত…

স্যাটেলাইট কাকে বলে: আজকে আমরা জানবো স্যাটেলাইট কাকে বলে? এই প্রশ্নের উত্তর পেতে আমাদের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন। আশা করি আপনারা এই প্রশ্নের উত্তর ভালো ভাবে বুঝতে পারবেন।

স্যাটেলাইট কাকে বলে
স্যাটেলাইট কাকে বলে

স্যাটেলাইট কাকে বলে?

সাধারনত স্যাটেলাইট বলতে,পৃথিবীর চারদিকে প্রদক্ষিণ করে এমন স্থানে স্থাপিত বিশেষ ধরনের তারবিহীন রিসিভার বা ট্রান্সমিটারকে স্যাটেলাইট বলে।

স্যাটেলাইট কিংবা কৃত্রিম উপগ্রহ হলো মহাকাশে উৎক্ষেপিত বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়ায় উদ্ভাবিত উপগ্রহ। মানব সৃষ্ট উপগ্রহকে বলা হয়ে থাকে কৃত্রিম উপগ্রহ বা স্যাটেলাইট।

স্যাটেলাইট কয়েক ধরনের হয়ে থাকে, যেমন, টেলিভিশন সম্প্রচার, রেডিও যোগাযোগ, ইন্টারনেট যোগাযোগ, গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম (GPS) এই ধরনের হয়ে থাকে।

স্যাটেলাইট তৈরির ইতিহাস

স্যাটেলাইট তৈরির ইতিহাস: স্যাটেলাইট তৈরির ইতিহাস খুব বেশিদিন আগের নয়। মানুষের মহাকাশ যাত্রা শুরু হয় ১৯৫৭ সালের ৪ অক্টোবর। এই দিনে রাশিয়া তাদের প্রথম স্যাটেলাইট স্পুটনিক-১ উতক্ষেপন করে। সেই থাকে আজ পর্যন্ত ৪০টিরও বেশি দেশ স্যাটেলাইট উতক্ষেপন করেছে যার মোট সংখ্যা প্রায় ৯০০০।

একই বছর নভেম্বর মাসে রাশিয়া আরও একটি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করে যার নাম স্পুটনিক ২ যার আরোহি ছিল লাইকা নামের একটি কুকুর। এটিই প্রানি বহনকারি প্রথম মহাকাশ যান।

মহাকাশ যাত্রার ইতিহাস জানতে হলে আপনাকে মনে রাখতে হবে তৎকালীন সময়ে আমেরিকা এবং রাশিয়ার মধ্যে স্নায়ুযুদ্ধ চলছিল। কার আগে কে মহাকাশে যেতে পারে তাই নিয়ে এক প্রতিযোগিতা ছিল। ১৯৫৮ সালের ৩১ জানুয়ারি এক্সপ্লোরার ১ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম কৃত্রিম উৎক্ষেপণ করা হয়।

২০১৮ সালের এক পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায় প্রায় ৫০০০ স্যাটেলাইট পৃথিবীকে প্রদক্ষিন করছে যার মাঝে প্রায় ২০০০ স্যটেলাইট জীবিত। বাকিরা তাদের জীবন কাল অতিক্রম করে মৃত অবস্থায় ঘুরছে। মৃত স্যাটেলাইটগুলো এখন মহাকাশের আবর্জনা ছাড়া আর কিছুই নয়।

Also Read: প্রাকৃতিক সম্পদ কাকে বলে

স্যাটেলাইট কিভাবে কাজ করে?

স্যাটেলাইট কিভাবে কাজ করে: এই স্যাটেলাইটগুলো বায়ুমন্ডলের বাহিরে নির্দিষ্ট কক্ষ পথে স্থাপন করা হয়ে থাকে। স্যাটেলাইট পৃথিবীকে কেন্দ্র করে নিজ অক্ষের উপর চার দিকে ঘুরতে থাকে। আবার বহির্মুখীন শক্তি ওকে বাইরের দিকে গতি প্রদান করে ,কিন্তু পৃথিবীর মধ্যাকর্ষণ শক্তি একে পৃথিবীর আওতার বাইরে যেতে দেয় না।

উভয় শক্তি কৃত্রিম উপগ্রহকে ভারসাম্য প্রদান করে এবং কৃত্রিম উপগ্রহটি পৃথিবীর চতুর্দিকে প্রদক্ষিণ করতে থাকে। যেহেতু মহাকাশে বায়ুর কোন অস্তিত্ব নেই তাই এটি বাধাহীনভাবে পরিক্রমণ করতে পারে।

পৃথিবী থেকে বেতার তরঙ্গ ব্যবহার করে তথ্য পাঠানো হয়, কৃত্রিম উপগ্রহ সেগুলো গ্রহণ করে এবং বিবর্ধিত সময়ের মধ্যে এমপ্লিফাই করে পৃথিবীতে প্রেরণ করে থাকে। সাধারণত স্যাটেলাইট এই ভাব কাজ করে থাকে।

তো আজকে আমরা দেখলাম যে স্যাটেলাইট কাকে বলে এবং আরো অনেক বিস্তারিত বিষয় । যদি পোস্ট ভালো লাগে তাহলে অব্যশয়, আমাদের বাকি পোস্ট গুলো ভিসিট করতে ভুলবেন না!

Leave a Comment