হরমোন কাকে বলে? | হরমোন কাকে বলে class 8 | হরমোন কাকে বলে class 10

হরমোন কাকে বলে: আজকে আমরা জানবো হরমোন কাকে বলে? এই প্রশ্নের উত্তর পেতে আমাদের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন। আশা করি আপনারা এই প্রশ্নের উত্তর ভালো ভাবে বুঝতে পারবেন।

হরমোন কাকে বলে,হরমোন কাকে বলে class 8,হরমোন কাকে বলে class 10,হরমোনের বৈশিষ্ট্য,মানবদেহে হরমোনের প্রভাব,বিভিন্ন হরমোনের পুরো নাম

হরমোন কাকে বলে,হরমোন কাকে বলে class 8,হরমোন কাকে বলে class 10,হরমোনের বৈশিষ্ট্য,মানবদেহে হরমোনের প্রভাব,বিভিন্ন হরমোনের পুরো নাম
হরমোন কাকে বলে

হরমোন কাকে বলে?

যে জৈব রাসায়নিক পদার্থ, জীবদেহের কোনোও বিশেষ কোষগুচ্ছ অথবা অন্তঃক্ষরা অনাল গ্রন্থি থেকে স্বল্পমাত্রায় ক্ষরিত হয়ে সাধারণত রক্ত, লসিকা ইত্যাদির মাধ্যমে উৎপত্তি স্থল থেকে দূরে শরীরের কোনোও বিশেষ স্থানে পরিবাহিত হয় এবং সেখানকার কলা বা কোষের বিভিন্ন বিপাকীয় কাজের মধ্যে রাসায়নিক সমন্বয় সাধন করে এবং কাজের শেষে নষ্ট হয়ে যায়, তাকেই হরমোন বলে।

or: যে জৈব রাসায়নিক বস্তুটি কোষে উৎপন্ন হয় এবং দেহে বার্তাবাহক অণুর মতো কাজ করে, শরীরের এক অংশে তৈরি হওয়ার পরে তারা শরীরের অন্যান্য অংশে ভ্রমণ করে যেখানে তারা কোষ এবং অঙ্গগুলি কীভাবে তাদের কাজ করে তা নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে তাকেই হরমোন বলে।

or: যে সকল জৈব রাসায়নিক পদার্থ জীবদেহে বিশেষ কোনাে কোশগুচ্ছ থেকে তৈরী হয়ে অথবা কোনাে অন্তঃক্ষরাগ্রন্থি থেকে সৃষ্টি বা অনালগ্রন্থি থেকে উৎপন্ন হয়ে বিশেষ উপায়ে বাহিত হয়ে উৎপত্তিস্থল থেকে দূরের কোন স্থানে কোশের বিপাকীয় ক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে এবং ক্রিয়ার পর ধ্বংসপ্রাপ্ত হয় তাকে বলে হরমােন

Also Read: প্যাটার্ন কাকে বলে

হরমোন কথার অর্থ হলো ‘জাগ্রত করা’ বা উত্তেজিত করা। যে সমস্ত পদার্থকে হরমোন হিসেবে চিহ্নিত করা যায় তার মধ্যে রয়েছে স্টেরয়েড জাতীয় যেমন – ইসট্রোজেন, অ্যামাইনো এসিড যেমন অক্সিন, আইকোসানয়েড জাতীয় যেমন প্রোস্টাগ্লানডিন, প্রোটিন জাতীয় যেমন ইনসুলিন এবং গ্যাস জাতীয় যেমন ইথাইলিন।

হরমোন প্রথম আবিষ্কৃত হয় ১৯০২ সালে। সেটি ছিল সিক্রেটিন হরমোন। ১৯০৫ সালে হরমোন শব্দটি ব্যবহৃত হয়।

হরমোনের বৈশিষ্ট্য

  • হরমোন এক রকম স্টেরয়েড জৈব রাসায়নিক পদার্থ যা নিঃসৃত স্থান থেকে দূরবর্তী স্থানে সঞ্চিত হয়।
  • ধারাবাহিকভাবে রক্ত হরমোনের মাত্রা স্বাভাবিকের থেকে বেশি বা কম থাকলে নানারকম সমস্যা দেখা যায়।
  • হরমোন রাসায়নিক বার্তাবাহক হিসেবে রাসায়নিক সংযোগ স্থাপন করে।
  • নির্দিষ্ট স্থান ছাড়া দেহের অন্য কোথাও হরমোন সঞ্চিত হয় না।
  • হরমোন জীবদেহে রাসায়নিক সমন্বয়কারী অর্থাৎ কেমিক্যাল হিসেবে কাজ করে।

মানবদেহে হরমোনের প্রভাব

মানবদেহের হরমোনের নিম্নোক্ত প্রভাব দেখা যায়।

  • দেহের বৃদ্ধি
  • ঘুম-জাগরণের চক্র এবং অন্যান্য সার্কেডিয় ছন্দ সম্পন্ন করে (রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণ, হ্রদযন্ত্রের কার্যক্রম বজায় রাখা ইত্যাদি)।
  • শরীরকে জৈবিক নতুন ধাপের জন্য তৈরি করা যেমন বয়ঃসন্ধি, সন্তান লালন-পালন এবং মেয়েদের রজঃস্রাব
  • প্রজননের ধারা নিয়ন্ত্রণ এবং তৈরি করা
  • ক্ষধা তৈরি ও খাদ্য হজম
  • শরীরকে মারাত্মক ক্ষতি থেকে রক্ষা যেমন ঘাম তৈরি অজ্ঞান হয়ে পড়া।
  • মুড সুইং মেজাজের ছন্দপতন, বিভিন্ন আবেগের নিয়ন্ত্রণ।
  • এপপটোসিস প্রবর্তন বা ধ্বংসকরণ।
  • রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা চালু এবং বন্ধ করা।
  • বিপাকীয় কার্য সম্পাদন
  • প্রজনন, আক্রমণ, পলায়ন এবং অন্যান্য কার্যক্রমের জন্য শরীরে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন সাধন করা

বিভিন্ন হরমোনের পুরো নাম

  • TRH- থাইরোট্রফিন রিলিজিং হরমোন
  • ARH- অ্যাড্রেনোকর্টিকোট্রপিক রিলিজিং হরমোন
  • SRH – সোমাটোট্রফিন রিলিজং হরমোন
  • GH – গ্রোথ ইনহিবিটিং হরমোন
  • GnRH – গোনাডোট্রফিন রিলিজিং হরমোন
  • PRH – প্রোল্যাকটিন রিলিজিং হরমোন
  • PIH – প্রোল্যাকটিন ইনহিবিটিং হরমোন
  • MRH – মেলানোসাইট রিলিজিং হরমোন
  • GH – গ্রোথ হরমোন
  • STH – সোমাটোট্রফিক হরমোন
  • GTH – গোনাডোট্রফিক হরমোন
  • FSH – ফলিকল স্টিমুলেটিং হরমোন
  • LH – লিউটিনাইজিং হরমোন
  • ICSH -ইন্টারস্টিসিয়াল সেল স্টিমুলেটিং হরমোন
  • ADH – অ্যান্টিডাইইউরেটিক হরমোন
  • MIH – মেলানোসাইট ইনহিবিটিং হরমোন
  • MSH- মেলানোসাইট স্টিমুলেটিং হরমোন
  • TSH – থাইরয়েড স্টিমুলেটিং হরমোন
  • ACTH – অ্যাড্রেনো কর্টিকো ট্রফিক হরমোন

তো আজকে আমরা দেখলাম যে হরমোন কাকে বলে এবং আরো অনেক বিস্তারিত বিষয় । যদি পোস্ট ভালো লাগে তাহলে অব্যশয়, আমাদের বাকি পোস্ট গুলো ভিসিট করতে ভুলবেন না!

হরমোন কাকে বলে,হরমোন কাকে বলে class 8,হরমোন কাকে বলে class 10,হরমোনের বৈশিষ্ট্য,মানবদেহে হরমোনের প্রভাব,বিভিন্ন হরমোনের পুরো নাম

Leave a Comment