ভিনেগার কাকে বলে? | ভিনেগার কি? | vinegar kake bole? | ভিনেগারের কাজ, ব্যবহার এবং সংকেত

ভিনেগার কাকে বলে: আজকে আমরা জানবো ভিনেগার কাকে বলে? এই প্রশ্নের উত্তর পেতে আমাদের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন। আশা করি আপনারা এই প্রশ্নের উত্তর ভালো ভাবে বুঝতে পারবেন।

ভিনেগার কাকে বলে,ভিনেগার কি,vinegar kake bole,ভিনেগারের কাজ,ভিনেগারের ব্যবহার এবং ভিনেগারের সংকেত,ভিনেগারের প্রস্তুতি

ভিনেগার কাকে বলে,ভিনেগার কি,vinegar kake bole,ভিনেগারের কাজ,ভিনেগারের ব্যবহার এবং ভিনেগারের সংকেত
ভিনেগার কাকে বলে

ভিনেগার কাকে বলে?

৪% -১০% এসিটিক অ্যাসিডের জলীয় দ্রবনকে ভিনেগার বলে, আর ভিনেগার এসিটিক এসিডের ( CH3COOH) ৬-১০% ও পানির মিশ্রণে তৈরি।

OR: ভিনেগার হচ্ছে ইথানয়িক এসিড বা অ্যাসিটিক এসিডের ৬-১০% জলীয় দ্রবণ। একে সিরকাও বলা হয়। ভিনেগার তরল পদার্থ। ভিনেগার আচার, চাটনি, জেলি, জ্যাম, মারমালেট ইত্যাদি প্রস্তুতিতে ব্যাবহার করা হয়। এছাড়াও ফল, শাক-সবজি, মাছ-মাংস সংরক্ষণে, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণে, খাদ্যে জীবাণুর বৃদ্ধি রোধ করতে এবং গ্লাস ক্লিনার প্রস্তুতিতে ভিনেগার ব্যবহার করা হয়।

ভিনেগারের কাজ কি?

ভিনিগারের অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ রয়েছে। এটি সম্পর্কে সুস্বাদু করতে এবং ত্বক পরিচর্যার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সেইসাথে রোগ নিরাময়ের ক্ষেত্রে অধিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বিভিন্ন জটিল রোগ নিরাময়ে তার ব্যবহার করা হয়ে থাকে। চলুন জেনে নেওয়া যাক রোগ নিরাময়ের ক্ষেত্রে ভিনেগারের উপকারিতা সম্পর্কে।

Also Read: নবায়নযোগ্য শক্তি কাকে বলে

ভিনেগার এর ব্যবহার

আমরা জানি ভিনেগার সাধারণত রান্নাঘরে রান্নার কাজে ব্যবহার করা হয় বিভিন্ন সুস্বাদু আচার চাটনি এবং স্যালাড তৈরিতে ভিনেগার ব্যবহার করা হয়। এটি মূলত বিদেশি রান্নার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এছাড়া চিকিৎসা ক্ষেত্রে এবং ত্বক পরিচর্যার ক্ষেত্রে এর বহুবিধ ব্যবহার রয়েছে।

আমাদের ত্বক পরিচর্যার ক্ষেত্রে ভিনেগারের ব্যবহার রয়েছে।ভিনেগার ব্যবহার করার ফলে আমাদের ত্বক সুন্দর হয় ওঠে এবং ত্বকের পরিচর্যা করা হয়।

রোগ নিরাময়ের ভিনেগারের উপকারিতা

ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, ক্যান্সার, কোলেস্টেরন, কিডনির সমস্যা, হাইপার টেনশন এসকল জটিল রোগ নিরাময়ে ভিনেগার ব্যবহার করা হয়। সুতরাং ভিনেগারের উপকারিতা রয়েছে আমাদের শরীরের জন্য।

ভিনেগার কার কত প্রকার ও কি কি?

ভিনিগার বিভিন্ন ধরনের ফলের রসের সমন্বয়ে তৈরি করা হয়ে থাকে। যে ফলের রস দিয়ে এটি তৈরি করা হয় সেই ফলের নাম অনুযায়ী এটির নামকরণ করা হয়ে থাকে।

সাধারণভাবে ভিনেগার দুই ধরনের হয়ে থাকে:

  1. সাদা ভিনেগার এবং
  2. অ্যাপেল সিডার ভিনেগার

সাদা ভিনেগার

যুক্তরাষ্ট্রে এটি বেশি ব্যবহার করা হয় ঘরবাড়ি পরিষ্কারের কাজে, যা প্রথমত ইথানল বা পরীক্ষাগারের অ্যাসিটিক অ্যাসিড থেকে তৈরি হয় এবং পরে পানি দিয়ে আরও পাতলা করা হয়। খাবারে এ ধরনের ভিনেগারের স্বাদ খুব একটা ভালো নয়, তবে পরিচ্ছন্নতার কাজে এর জুড়ি নেই।

অ্যাপেল সিডার ভিনেগার

অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার পুরোপুরিভাবে প্রাকৃতিক পণ্য, তৈরি করা হয় আপেল দিয়ে। আপেলকে দুবার প্রোসেসিং করে তৈরি করা হয় এটি। প্রাকৃতিকভাবে তৈরি হওয়া অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার ব্যবহার করে আমরা প্রতিদিন আস্তে আস্তে কমিয়ে আনতে পারি ঘরে, রান্নায় এবং রূপচর্চায় কেমিকেলের ব্যবহার।

ভিনেগারের প্রস্তুতি

25 ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড থেকে 35 ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় রাখা একটি স্টিলের পাত্রে ইথানল (CH₃-CH₂-OH) এবং অ্যাসিটোব্যাকটর নিয়ে এর মধ্যে অক্সিজেন গ্যাসের বুদবুদ প্রবাহিত করলে ভিনেগার বা অ্যাসিটিক এসিড বা ইথানয়িক এসিড (CH₃-COOH) প্রস্তুত হয়। অ্যাসিটোব্যাকটর এমন এক ধরনের এনজাইম নিঃসৃত করে যা ইথানলকে অক্সিজেনের সাথে বিক্রিয়া করতে সাহায্য করে।

খাদ্য সংরক্ষণে ভিনেগারের গুরুত্ব

ভিনেগারের সাহায্যে মাছ, মাংস, বিভিন্ন ফল, শাক-সবজি এবং এদের থেকে সৃষ্ট বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী সংরক্ষণে ব্যবহার করা হয়। এটি বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রীর গুণগতমান, স্বাদ ও পুষ্টি বাড়িয়ে দেয়।

শাক-সবজি সংরক্ষণে ভিনেগার: দেশের সব জায়গায় সব রকমের শাকসবজি পাওয়া যায় না এবং এটি খুব তারাতারি পঁচে যায়। ভিনেগারে শাক সবজি সংরক্ষণ করলে শাক-সবজির বর্ণ, পুষ্টি, ভিটামিন অক্ষুণ্ণ থাকে। অন্যদিকে দীর্ঘসময় পর্যন্ত একে ব্যবহার করা যায়।

ভিনেগার শাক-সবজিতে থাকা বিভিন্ন খনিজ পদার্থ যেমন, ক্যালসিয়াম, লোহা, ফসফরাস প্রভৃতিকে মুক্ত করে শরীরে গ্রহণ উপযোগী করে তোলে। এটি শাক সবজিতে ভিটামিনের পরিমাণ অক্ষুণ্ণ রাখে। তবে ভিনেগার শাক সবজি সংরক্ষণের পূর্বে এদেরকে লবণ পানি দিয়ে ধুয়ে নিলে আরও কার্যকরী ফলাফল পাওয়া যায়। কারণ লবণ পানি শাক-সবজির মুক্ত পানি হ্রাস করে।

ফল সংরক্ষণে ভিনেগার: ভিনেগারের সাহায্যে বিভিন্ন ফল সরাসরি অথবা ফল থেকে বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী তৈরি করে সংরক্ষণ করা যায়। বিশেষ করে বিভিন্ন ফলের আচার তৈরিতে ভিনেগার অনন্য ভূমিকা পালন করে।

মানুষের সুষম পুষ্টির জন্য প্রতিদিন ফল খাওয়া প্রয়োজন কিন্তু ফল সব সময় উৎপন্ন হয় না। তাই ভিনেগারের সাহায্যে বিভিন্ন ফল এবং এদের থেকে সৃষ্ট খাদ্য সামগ্রী তৈরি করে সংরক্ষণ করে সারা বছর খাওয়া সম্ভব।

মাছ ও মাংস সংরক্ষণে ভিনেগার: মাছ তারাতারি পঁচে যাওয়া বস্তু। মাছ এবং মাংস আমাদের প্রোটিনের প্রধান উৎস। কিন্তু মাছ, মাংসে ক্ষারীয় উপাদান থাকায় এরা দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়।

ভিনেগারের সাহায্যে এদের সংরক্ষণ করলে এরা সহজে নষ্ট হয় না, যেমন, খুব সহজে ভিনেগারে মাংস সংরক্ষণ করে দীর্ঘসময় পর্যন্ত ব্যবহার করা যায়। এক্ষেত্রে এক টুকরা কাপড়কে প্রথমে ভিনেগারে ভিজিয়ে তারপর কাপড় দিয়ে মাংসকে মুড়িয়ে রেখে দিলে মাংস দীর্ঘ সময় ধরে ভালো থাকবে।

রোগ প্রতিরোধে ভিনেগার

রোগ প্রতিরোধে ভিনেগারের ভূমিকা অত্যাধিক। খাদ্য দ্রব্যে ভিনেগারের উপস্থিতি খাবারের রুচি বৃদ্ধি করে, রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে দেয়, হজম শক্তি বাড়ায়, শরীরে সৃষ্ট তরল অপদ্রব্য নিঃসরণ সহজ করে দেয়, রক্তের অপ্রয়োজনীয় চর্বি বিদূরিত করে শরীরকে স্লিম রাখতে সাহায্য করে। সম্প্রতি পরীক্ষা করে প্রমাণিত হয় যে, ভিনেগার রক্তচাপ ও রক্তের কোলেস্টেরলের পরিমাণ কম করে। ভিনেগার সমৃদ্ধ খাবার খেলে ক্যান্সার ও টিউমার প্রতিরোধে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।

SOME FAQ:

ভিনেগারের সংকেত‌ কি?

ভিনেগারকে এসিটিক এসিড বলা হয়। এর সংকেত (CH3-COOH)

তো আজকে আমরা দেখলাম যে ভিনেগার কাকে বলে এবং আরো অনেক বিস্তারিত বিষয় । যদি পোস্ট ভালো লাগে তাহলে অব্যশয়, আমাদের বাকি পোস্ট গুলো ভিসিট করতে ভুলবেন না!

ভিনেগার কাকে বলে,ভিনেগার কি,vinegar kake bole,ভিনেগারের কাজ,ভিনেগারের ব্যবহার এবং ভিনেগারের সংকেত,ভিনেগারের প্রস্তুতি

Leave a Comment