আজকে আমরা জানবো মুলদ সংখ্যা কাকে বলে? এই প্রশ্নের উত্তর পেতে আমাদের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন। আশা করি আপনারা এই প্রশ্নের উত্তর ভালো ভাবে বুঝতে পারবেন।
মুলদ সংখ্যা কাকে বলে? Mulod Sankha Kake Bole? মূলদ সংখ্যা চেনার উপায় ,মূলদ সংখ্যা বের করার নিয়ম
মুলদ সংখ্যা কাকে বলে?
যে সংখ্যাকে দুটি পূর্ণ সংখ্যার অনুপাত হিসেবে প্রকাশ করা যায় তাকে মূলদ সংখ্যা বলে। আবার এভাবেও বলা যায় যে, যে সংখ্যাকে ভগ্নাংশ আকারে প্রকাশ করা যায় তাকে মূলদ সংখ্যা বলে। যেমন:- ৫, ২/৩ ইত্যাদি।
মনে রাখার কৌশল: উপরের যেকোনো একটি সংজ্ঞা ১০ বার পড়ুন। তাহলে দেখবেন এমনিতে মনে থাকছে। ❤️
মূলদ সংখ্যা হচ্ছে সেই সংখ্যা যে সংখ্যাকে দুইটি পূর্ণ সংখ্যার অনুপাত হিসেবে (শূন্য দিয়ে ভাগ করা ছাড়া) প্রকাশ করা যায়। মূলদ সংখ্যাকে দশমিক আকারেও প্রকাশ করা যায় এবং তা হয় সসীম ঘর দশমিক (যেমন: ১.২৯, ৫.৬৯৮৭, ৮.৯৭৯৮৭) অথবা পৌনঃপুনিক (recurrent) দশমিক (যেমন: ১.৬৩৬৩৬৩৬৩৬৩, ৪.৬৯৬৯৬৯৬৯৬৯
মূলদ সংখ্যার উদাহরন
- ৫/১০ বা ০.৫ ( সসীম দশমিক ভগ্নাংশ সংখ্যা )
- ১.৩৩৩৩৩……. ( আবৃত দশমিক ভগ্নাংশ সংখ্যা )
- ৪৫ ( যে কোন পৃর্ণ সংখ্যা )
- ৮/৯ (ভগ্নাংশ সংখ্যা )
- ৬/৮ (ভগ্নাংশ সংখ্যা )
- ৩/৫ (ভগ্নাংশ সংখ্যা )
মূলদ সংখ্যা চেনার উপায়
১। প্রত্যেক পূর্ণসংখ্যা একটি মূলদ সংখ্যা। যেমন ৫ একটি মূলদ সংখ্যা, কারণ ৫ কে ভগ্নাংশ আকারে লেখা যাবে ৫/১, আমরা এটাও জানি সকল পূর্ণ সংখ্যার নিচে ১ থাকে।
২। যদি দশমিকের পরের ঘরগুলো সসীম হয় অর্থাৎগণনা করা যায়, তবে সংখ্যাটি হবে মূলদ সংখ্যা। যেমন:- ৩.৫৬ এবং ৫৬৯.৩৫ ইত্যাদি।
৩। শূন্য, স্বাভাবিক সংখ্যা, প্রকৃত ও অপ্রকৃত ভগ্নাংশ সকলেই মূলদ সংখ্যা।
৪। সকল পৌণপৌনিক সংখ্যা মূলদ সংখ্যা।
৫। দশমিকের পরের ঘরগুলো যদি অভিন্ন আকারে অসীম হয় অর্থাৎ দশমিকের পরের সবগুলো সংখ্যা একই হলে তবে সংখ্যাটি মূলদ। যেমন:- ৫.৪৪৪…
৬। যে কোন পূর্ণবর্গ সংখ্যার বর্গমূল হলো মূলদ সংখ্যা। যেমন:- রুট ৩৬ এবং রুট ৪৯
মূলদ সংখ্যা বের করার নিয়ম
- মূলদ সংখ্যা বের করার জন্য, আমাদের কে মূলদ সংখ্যার বৈশিষ্টগুলো ভালোভাবে মিলিয়ে দেখতে হবে। মূলদ সংখ্যা বাছাই করার জন্য সংখ্যা ওপর নিম্নোক্ত উপায়গুলো সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে হবে।
- প্রত্যেক পূর্ণ সংখ্যা ই মূলদ সংখ্যা – তাই দেখতে হবে সংখ্যাটি পূর্ণ সংখ্যা কিনা পূর্ণ সংখ্যা হলে মূলদ সংখ্যা হিসাবে সেই সংখ্যাটি গন্য করতে হবে।
- তারপর দেখতে হবে কোন সংখ্যার দশমিক পরের অংকগুলো সসীম হলে তা মূলদ সংখ্যা হবে।
- দশমিকের পরের অংক গুলো যদি আবৃত হয় তাহলে সেটিও মূলদ সংখ্যা ।
- সবশেষে , যদি কোন পূর্নবর্গ সংখ্যার বর্গমূল থাকে তা মূলদ সংখ্যা হিসাবে গণ্য হবে।
শূন্য (০) কি মূলদ সংখ্যা?
প্রকৃতপক্ষে শূন্য (০) মূলদ সংখ্যা। এর কারণ হলা আমরা জানি যে মূলদ সংখ্যাকে ভগ্নাংশ আকারে লেখা যায়। এখানে শূন্য (০) কে ভগ্নাংশ আকারে এভাবে লেখা যায় –
০/৮,০/৯,০/৭ ইত্যাদি । যেহেতু শূন্য (০) কে ভগ্নাংশ আকারে বা p/q আকারে লেখা যায়।
p এবং q উভয়ই পূর্ন সংখ্যা আবার q এব মান শূন্য নয়। সুতরাং শূন্য (০) একটি মূলদ সংখ্যা ।
অমূলদ সংখ্যা কাকে বলে?
সহজ ভাবে বললে, যে সকল সংখ্যা মূলদ নয় সে সংখ্যাগুলোই অমূলদ সংখ্যা।
যেমন:- রুট ৬.৩৫৬২… এবং ২
Also Read: সিলভার কাকে বলে?
অমূলদ সংখ্যা চেনার উপায়
১। দশমিকের পরের ঘরগুলো যদি ভিন্ন ভিন্ন আকারে অসীম হয় তবে সংখ্যাটি অমূলদ। যেমন:- ৭.৫৬৮৯…
২। পূর্ণবর্গ নয় এমন যে কোন স্বাভাবিক সংখ্যার বর্গমূল অমূলদ সংখ্যা। রুট ৩, রুট ৫, রুট ৭ ইত্যাদি অমূলদ সংখ্যার উদাহরণ।
তো আজকে আমরা দেখলাম যে মুলদ সংখ্যা কাকে বলে? এবং আরো অনেক বিস্তারিত বিষয় । যদি পোস্ট ভালো লাগে তাহলে অব্যশয়, আমাদের বাকি পোস্ট গুলো ভিসিট করতে ভুলবেন না!