সম্পাদ্য কাকে বলে: আজকে আমরা জানবো সম্পাদ্য কাকে বলে? এই প্রশ্নের উত্তর পেতে আমাদের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন। আশা করি আপনারা এই প্রশ্নের উত্তর ভালো ভাবে বুঝতে পারবেন।
সম্পাদ্য কাকে বলে?
যে প্রতিজ্ঞায় কোন জ্যামিতিক বিষয় তথ্য ও উপাত্তের ভিত্তিতে অঙ্কন করে দেখানো হয় এবং যুক্তি দ্বারা অংকনের নির্ভুলতা প্রমাণ করা যায় তাকে সম্পাদ্য বলে।
অথবা: যে প্রতিজ্ঞায় কোনো জ্যামিতিক বিষয় অঙ্কন করে দেখানো হয় এবং যুক্তি দ্বারা অঙ্কনের নির্ভুলতা প্রমাণ করা যায়, তাকে সম্পাদ্য বলে।
সম্পাদ্যের কয়টি অংশ?
একটি সম্পাদ্য মূলত: তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত। অংশ তিনটি হলো –
সম্পাদ্যের ৩টি অংশ
- উপাত্ত
- চিত্র অংকন
- প্রমাণ
Also Read: খনিজ সম্পদ কাকে বলে
সম্পাদ্য লেখার নিয়ম
একটি সম্পাদ্য লেখার ক্ষেত্রে কয়েকটি ধারাবাহিকতা অনুসরণ করতে হয়। সেগুলো হলো:
১. সাধারণ নির্বচন
সাধারণ নির্বচনকে বলা হয় চিত্র নিরপেক্ষ নির্বচন । অর্থ্যাৎ চিত্র অঙ্কন না করেই প্রশ্নে প্রদত্ত তথ্যগুলোর সাহয্যে যে প্রতিজ্ঞাটি অঙ্কন করতে যাচ্ছ সেটির একটি ধারণা দেওয়া । সম্পাদ্য লেখার সময় সাধারণ নির্বচন না লিখলেও কোনো নম্বর কাটা হয় না।
২. চিত্র অঙ্কন
প্রশ্নে প্রদত্ত তথ্যগুলোর সাহায্যে বর্ণিত প্রতিজ্ঞাকে জ্যামিতিক আকৃতি প্রদান করাই হলো চিত্র অঙ্কন । এটি সম্পাদ্যের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ । কারণ চিত্র অঙ্কন ছাড়া সম্পাদ্যে কোনো নম্বর দেওয়া হয় না।
অন্যদিকে সঠিকভাবে সম্পাদ্যের চিত্র অঙ্কন করলে কোনো বর্ণনা না লিখলেও অর্ধেক নম্বর পাওয়া যায়।
৩. বিশেষ নির্বচন
সম্পাদ্যের এ অংশে প্রদত্ত তথ্যকে সরলীকরণ করে বর্ণনা করা হয় । মনে রাখতে হবে বিশেষ নির্বচন হলো চিত্র নির্ভর বর্ণনা ।
৪. অঙ্কনের বিবরণ
সম্পাদ্যের এ অংশে চিত্র অংকনের বিবরণ দিতে হয় । চিত্র অঙ্কন করে ধারাবাহিক ভাবে অঙ্কনের বিবরণ দিলে পরীক্ষায় পূর্ণ নম্বর পাওয়া যায় ।
৫. প্রমাণ
অঙ্কনের একটি যুক্তি যুক্ত বর্ণনা দেওয়াই হলো প্রমাণ ।
তো আজকে আমরা দেখলাম যে সম্পাদ্য কাকে বলে এবং আরো অনেক বিস্তারিত বিষয় । যদি পোস্ট ভালো লাগে তাহলে অব্যশয়, আমাদের বাকি পোস্ট গুলো ভিসিট করতে ভুলবেন না!