মুসাফির কাকে বলে | মুসাফির কাকে বলে ৫ম শ্রেণী | ইসলামে মুসাফির কাকে বলে | musafir kake bole

মুসাফির কাকে বলে: আজকে আমরা জানবো মুসাফির কাকে বলে? এই প্রশ্নের উত্তর পেতে আমাদের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন। আশা করি আপনারা এই প্রশ্নের উত্তর ভালো ভাবে বুঝতে পারবেন।

মুসাফির কাকে বলে,মুসাফির কাকে বলে ৫ম শ্রেণী,ইসলামে মুসাফির কাকে বলে,musafir kake bole

মুসাফির কাকে বলে,মুসাফির কাকে বলে ৫ম শ্রেণী,ইসলামে মুসাফির কাকে বলে,musafir kake bole
মুসাফির কাকে বলে

মুসাফির কাকে বলে?

যে ব্যক্তি ভ্রমণ বা সফর করে তাকে সফররত অবস্থায় মুসাফির বলে। আবার যখন নিজ বাড়ী বা বাসভবনে চলে আসে তখন শরীয়াতের পরিভাষায় তাকে বলে মুকীম। মুকীম অর্থ হলো নিজ বাসস্থানে অবস্থানকারী ব্যক্তি অর্থাৎ মুসাফির নন।

মুসাফির কাকে বলে ৫ম শ্রেণি?

মুসাফির আরবি শব্দ। এর অর্থ সফরকারী বা ভ্রমণকারী। কোনো ব্যক্তি তিন দিনের রাস্তা বা কমপক্ষে ৪৮ মাইল দূরে গমনের নিয়ত করে বাড়ি থেকে বের হলে তাকে মুসাফির বলে

কমপক্ষে কী পরিমাণ দূরত্ব অতিক্রম করলে অর্থাৎ সফর করলে একজন ভ্রমণকারী বা যাত্রীকে মুসাফির বলা যায়?

হানাফী মাযহাবে কমপক্ষে ৪৮ মাইল। অন্যান্য মাযহাবে সফরের নিম্নতম দূরত্ব আরো কম।

মুসাফির অবস্থায় সিয়াম ও সালাতের নিয়ম কি?

মুসাফির অবস্থায় সিয়াম ভঙ্গ করা জায়েয এবং চার রাকআত বিশিষ্ট ফরয সালাতগুলো ২ রাকআত করে পড়বে। সে সময় ফরয নামাযের আগে বা পরে যে সমস্ত সুন্নাতে রাতেবাহ আছে সেগুলো পড়তে হবে না।

সফরে থাকা অবস্থায় সিয়াম ভঙ্গ করা জায়েয এ নিয়তে রোযার মাসে সফরে বের হওয়া কি বৈধ হবে?

এ নিয়তে সফরে বের হলে সিয়াম ভঙ্গ করা হারাম।

Also Read: চুম্বকীয় আবেশ কাকে বলে

কোন ধরণের ভ্রমণে সিয়াম ভঙ্গ করা যাবে?

হজ্জ, উমরা, জিহাদ, পড়াশুনা, ব্যবসা, বেড়ানো, পর্যটন ইত্যাদি। তবে অধিকাংশ সত্যনিষ্ঠ আলেমদের মতে অন্যায় ও অবৈধ কাজের সফরে সিয়াম ভঙ্গ করা হারাম।

সফরে সিয়াম পালন করা উত্তম না ভঙ্গ করা উত্তম।

মুসাফিরের জন্য যেটা সহজ সেটাই উত্তম। সফররত অবস্থায় সিয়াম পালন যদি কষ্টকর হয়ে যায় তাহলে ভেঙ্গে ফেলাই উত্তম। অতি বেশি কষ্টকরে সিয়াম পালন করা ঠিক নয়।

(ক) আল্লাহ তা‘আলা বলেন :

﴿ يُرِيدُ ٱللَّهُ بِكُمُ ٱلۡيُسۡرَ وَلَا يُرِيدُ بِكُمُ ٱلۡعُسۡرَ ﴾ [البقرة: ١٨٥]

‘‘আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজ চান, কঠিন চান না।’’ (বাকারাহ : ১৮৫)

(খ) মাক্কাহ বিজয়ের বৎসর মাক্কার উদ্দেশ্যে কুরা আলগামীম নামক স্থানে এসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবাদের সামনে আসর বাদ সিয়াম ভঙ্গ করে পানি পান করলেন। (মুসলিম : ১১১৪)

(গ) জাবের রাদিয়াল্লাহু আনহু’র এক হাদীসে বর্ণিত হয়েছে যে, সফরে কষ্ট হওয়ার পর ও একদল লোক সিয়াম পালন করেই যাচ্ছে। বিষয়টি জানার পর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন,

أُولَئِكَ الْعَصَاةُ أُولَئِكَ الْعَصَاةُ

‘‘তারা পাপী তারা পাপী।’’ (মুসলিম : ১১১৪)

উপরোক্ত হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, সফররত অবস্থায়- অতিমাত্রায় কষ্ট করে সিয়াম পালন করা পরহেজগারীর কাজ নয়, বরং এটা পাপের কাজ।

(ঘ) একবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একজায়গায় কিছু মানুষের ভীড় দেখে এগিয়ে দেখলেন যে, এক লোককে ছায়া দেয়া হচ্ছে। তিনি বললেন, সে কে? লোকেরা বলল, এ ব্যক্তি রোযাদার। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন :

لَيْسَ مِنَ الْبِرِّ اَلصِّيَامُ فِي السَّفَرِ

‘‘সফরে সিয়াম পালন করা ভাল কাজ নয়। (বুখারী : ১৯৪৬; মুসলিম : ১১১৫)

এসব দলীলের ভিত্তিতে প্রমাণিত হয় যে, সফর কষ্টকর হলে রোযা না রাখাই শ্রেয়। আর ভ্রমণ যদি খুব বেশি কষ্টের না হয় তাহলে সিয়াম পালন করাই উত্তম।

সফরে সিয়াম ভঙ্গ করা কি বাধ্যতামূলক নাকি ইচ্ছাধীন?

ইচ্ছাধীন। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন :

صُمْ إِنْ شِئْتَ وَأَفْطِرْ إِنْ شِئْتَ

‘‘ইচ্ছা করলে সিয়াম পালন কর এবং চাইলে ভেঙ্গেও ফেলতে পার।’’ (মুসলিম : ১১২১)

সফরে সবল ও দুর্বল ব্যক্তির সিয়ামের হুকুম কি?

সবল হলে পালন করা এবং দুর্বল হলে ভেঙ্গে ফেলা উত্তম।

সফর যদি বাড়ীতে থাকার মতই আরামদায়ক হয় তাহলে সিয়াম কি করবে?

সেক্ষেত্রে সিয়াম পালনই উত্তম। কারণ এতে অতিদ্রুত দায়িত্বমুক্ত হওয়া যায়, সকলের সাথে সিয়াম পালন হয় এবং মাসটাও থাকে ফযীলাতপূর্ণ।

মুসাফিরের রোযা ভঙ্গ করলে পরবর্তীকালে তা কাযা করবে কি না?

হ্যাঁ, কাযা করতে হবে।

আল্লাহ তা‘আলা বলেন :

﴿ فَمَن كَانَ مِنكُم مَّرِيضًا أَوۡ عَلَىٰ سَفَرٖ فَعِدَّةٞ مِّنۡ أَيَّامٍ أُخَرَۚ ﴾ [البقرة: ١٨٤]

‘‘তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি অসুস্থ কিংবা মুসাফির সে অন্য সময় এ সংখ্যা পূরণ করে (কাযা করে) নিবে। (বাকারা : ১৮৪)

তো আজকে আমরা দেখলাম যে মুসাফির কাকে বলে এবং আরো অনেক বিস্তারিত বিষয় । যদি পোস্ট ভালো লাগে তাহলে অব্যশয়, আমাদের বাকি পোস্ট গুলো ভিসিট করতে ভুলবেন না!

মুসাফির কাকে বলে,মুসাফির কাকে বলে ৫ম শ্রেণী,ইসলামে মুসাফির কাকে বলে,musafir kake bole

Leave a Comment